বোল্টের এই স্বপ্নের ভিত্তি তাদের গত কয়েক বছরের পারফরম্যান্স। ২০১৭ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ হারার পর থেকে এ পর্যন্ত নিউ জিল্যান্ড হেরেছে কেবল একটি সিরিজ।
এই সময়ে তারা দুটি সিরিজ জিতেছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশকে, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে দেশের মাটিতে, সিরিজ ড্র করেছে শ্রীলঙ্কায় গিয়ে, পাকিস্তানকে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করার আগে হারিয়ে এসেছে তাদের ‘হোম’ ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতে, দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে ভারতকে ও দুইবার হোয়াইটওয়াশ করেছে ক্যারিবিয়ানদের। এই সময়টায় তাদের একমাত্র সিরিজ হার ছিল ২০১৯-২০ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে, তিন টেস্টের সবকটিতে হার।
কঠিন সব চ্যালেঞ্জ উতরে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। সাউথ্যাম্পটনে আগামী ১৮ জুন থেকে তাদের ফাইনালের প্রতিপক্ষ টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা ভারত।
আইপিএল থেকে ফিরে কোয়ারেন্টিন শেষে বোল্ট এখন অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন নিজ শহর মাউন্ট মঙ্গানুইতে। সেখানেই মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমকে বললেন ফাইনাল নিয়ে তার প্রত্যাশার কথা।
“যেভাবে এই দল নিউ জিল্যান্ডে ও বিদেশে গিয়ে পারফর্ম করেছে, ইতিহাস তৈরি করতে আশা করি ছেলেরা দারুণ অবস্থায় আছে।”
করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে। তাই ফাইনালিস্ট নির্বাচন করতে পয়েন্টের শতকরা হার বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বোল্টের কাছে অবশ্যই প্রক্রিয়াটি পরিষ্কার নয়। তবে শেষ পর্যন্ত ফাইনালে জায়গা করে নিতে পেরে বেশ রোমাঞ্চিত তিনি।
“ফাইনালে ওঠার প্রক্রিয়া বুঝতে আমার কিছুটা সময় লেগেছে, কীভাবে পয়েন্টের বিষয়গুলো কাজ করে, এখনও মনে হয়, কেউ জানে না প্রক্রিয়াটি আসলে কীভাবে কাজ করে। তবে ফাইনালে উঠতে পেরে রোমাঞ্চ বেড়ে গেছে। আমি যখন যুক্তরাজ্যে পা রাখব, ইংল্যান্ডের সতেজ বাতাসে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পাব এবং দেখব যে বল মুভ করছে, এসব অবশ্যই আমাকে আন্দোলিত করবে।”
বোল্ট এখনও নিউ জিল্যান্ডে থাকলেও তার সতীর্থরা সপ্তাহ দুয়েক আগেই চলে গেছে ইংল্যান্ডে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে কিউইরা। আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য ইংলিশদের বিপক্ষে এই সিরিজ থেকে ছুটি পেয়েছেন বোল্ট।