প্রস্তুতির ঘাটতি, ঢাকা লিগের শুরুতে খেলবেন না মাশরাফি

১৪ মাসের বেশি বিরতির পর আবার শুরু হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। তবে মাশরাফি বিন মুর্তজা মাঠে ফিরছেন না এখনই। লিগের প্রথম পর্বে তিনি খেলছেন না নিশ্চিতভাবেই। আসরের শেষ দিকে খেলার চেষ্টা করবেন বলে জানালেন জাতীয় দলে জায়গা হারানো অভিজ্ঞ এই পেসার।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2021, 12:58 PM
Updated : 30 May 2021, 01:23 PM

ক্রিকেট মাঠ থেকে আপাতত দূরে থাকলেও আরেক পরিচয়ে তিনি প্রবলভাবেই সক্রিয়। নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য সম্প্রতি ঘুরে এলেন নিজ এলাকায়। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন ও এলাকার মানুষের কাছে যাওয়ার নানা ভিডিও ক্লিপ ও ছবি আলোড়ন তুলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এলাকার নানা প্রকল্পের কাজে সচিবালয় থেকে সচিবালয়ে ছুটোছুটি তো আছেই।

এসবের মধ্যেই জানতে পারেন লিগ শুরুর তারিখ চূড়ান্ত হওয়ার খবর। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এবারের ঢাকা লিগ শুরু হচ্ছে সোমবার থেকে। গত বছর এক রাউন্ডের পরই স্থগিত হওয়া লিগেরই ধারাবাহিকতা এটি। মাশরাফি খেলছিলেন শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের হয়ে।

লিগ শুরুর আগের দিন ফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মাশরাফি বললেন, নতুন করে শুরু হতে যাওয়া লিগে খেলার মতো অবস্থায় তিনি আপাতত নেই।

“একটা সময় ছিল, যখন টানা খেলার মধ্যে থাকতাম। কিংবা বিরতিতে থাকলেও লিগ শুরুর বেশ আগে জানতে পেরে প্রস্তুতি নিতাম। এখন পরিস্থিতি অন্যরকম। অনেকটা হুট করেই জানতে পেরেছি, খেলা শুরু হচ্ছে। এরপর যেটুকু সময় ছিল, প্রস্তুতির সুযোগ হয়ে ওঠেনি নানা ব্যস্ততায়। একেবারেই প্রস্তুতি ছাড়া লিগ খেলতে চাইনি।”

তার দল অবশ্য তারপরও খুব করে চেয়েছিল তাকে। টিম ম্যানেজমেন্ট, অধিনায়ক তাকে বলেছিলেন, মাঠে মাশরাফির উপস্থিতিই হবে দলটির বড় শক্তি। কিন্তু শুধু প্রস্তুতিই যে সবকিছু নয়!

অনুশীলনের ঘাটতি, শারীরিক প্রস্তুতির ব্যাপার তো আছেই, সঙ্গে আছে মানসিকভাবে নিজের ভেতরে তাড়নার অভাবও। বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর তার প্রেরণার জ্বালানী ছিল দলে জায়গা ধরে রাখা। গত ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে খেলেছিলেন সেই লক্ষ্য নিয়েই। ওই টুর্নামেন্টের শেষ দিকে মাঠে নেমে বেশ কার্যকর বোলিং করেন। চার ম্যাচের একটিতে পাঁচ উইকেটও শিকার করেন। তারপরও জায়গা পাননি জাতীয় দলে।

সেই সম্ভাবনা যে সামনেও আর নেই, তা বুঝে গেছেন মাশরাফি। এই বাস্তবতায় তাই জৈব-সুরক্ষা বলয়ে ঢাকা লিগ খেলার মানসিক ধকল নিতে চান না তিনি।

“বায়ো-বাবলের ব্যাপারটিও আছে। এখনকার অবস্থায় ২০-২২ দিন হোটেলে বাবলে থাকার মানসিকতায় আমি নেই। কারণ, তাড়না তো খুব বেশি নেই। যদি জানতাম, এখানে ভালো করলে জাতীয় দলে আমার সুযোগ থাকবে বা অন্তত বিবেচনাও করতে পারে, তাহলে এই চ্যালেঞ্জটা নিয়ে হোটেলে উঠতাম, চেষ্টা করতাম পারফর্ম করার। কিন্তু বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট নেওয়ার পরও নেওয়া হয়নি দলে। এই লিগে খুব ভালো করলেও লাভ নেই।”

তার মানে কি মাশরাফির ক্রিকেট অধ্যায়েরও সমাপ্তি? সেই ধারণাও তিনি উড়িয়ে দিলেন। ৩৭ বছর বয়সী পেসার জানিয়ে দিলেন, শেষ নয় এখনই।

“লম্বা সময় বাবলে থাকতে চাই না। দ্বিতীয় রাউন্ডে বা পরের দিকে খেলার ভাবনা আছে। যদি এর মধ্যে প্রস্তুতি নিতে পারি, তাহলে হয়তো শেষ ৭-১০ দিন খেলতে পারি।”

“ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে যাব সামনেও। এ লিগে এখনই না হলেও পরের দিকে খেলতে চাওয়ার কথা তো বললাম, বিপিএলেও খেলার ইচ্ছা আছে।”