মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুক্রবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে অবশ্য দলকে উদ্ধার করতে পারেননি মুশফিক। আউট হয়ে যান থিতু হয়ে। প্রথম দুই ম্যাচ জেতা বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধান।
২৩৭ রান করে মুশফিক জিতেছেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। ম্যাচ শেষে অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান জানান, দলের জন্য অবদান রাখাই তার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
“১৫ বছরের বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পর একজন ক্রিকেটারের দেশের জন্য যত সম্ভব বেশি অবদান রাখা উচিত। প্রতি ম্যাচে আমি সেই চেষ্টাই করি।”
গত দুই বছরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। দারুণ ধারাবাহিকতা দেখিয়ে মুশফিক ৮২.৪০ গড়ে করেছেন ৪১২ রান। দুইশ রান নেই আর কারো। ১৬৬ করে অনেক পিছিয়ে দুই নম্বরে মাহমুদউল্লাহ, এর মধ্যে ১৪৮ রান তিনি করেছেন এই সিরিজেই। এই দুই জনের বাইরে তিন অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল তামিম ইকবাল (১০৩)।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ ৬ ওয়ানডেতে চারটি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস, গড় আশির ওপরে। তাহলে কি মুশফিকের জন্য সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা সহজ প্রতিপক্ষ?
“হয়তো আমি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো খেলেছি। তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে ওরা সহজ কোনো দল নয়। ওরা কখনও হাল ছাড়ে না এবং আমাদের বিপক্ষে সব সময় ভালো খেলে। এই সিরিজে যেভাবে ব্যাট করেছি তাতে আমি খুশি। পরে যখনই সুযোগ পাব আশা করি, তখনও যেন অবদান রাখতে পারি।”
বছরের পর বছর ধরে মিডল অর্ডারে দলকে পথ দেখাচ্ছেন মুশফিক। ইনিংস মেরামত করে দলকে ফেরাচ্ছেন ম্যাচে। সবশেষ পাঁচ বছরে দলের সফলতম ব্যাটসম্যান তিনি। প্রতিটি ম্যাচে মাঠে নামেন কাঁধে প্রত্যাশার বিপুল চাপ নিয়ে। মুশফিক জানালেন, এই চাপই তাকে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে সাহায্য করে।
“আমি (প্রত্যাশার চাপ) খুব উপভোগ করি। যখনই আমার ওপর কোনো প্রত্যাশা বা চাপ থাকে আমি সেটার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে শান্ত থাকার চেষ্টা করি। আমি জানি, প্রতিপক্ষও হয়তো আমাকে বড় খেলোয়াড় ভাবে। এটা আমাকে ভালো খেলতে বাড়তি সুবিধা দেয়। আমি এই চাপ উপভোগ করি।”