গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কনুইয়ের চোট বেশ ভোগাচ্ছে আর্চারকে। নানা সময়ে ব্যথানাশক নিয়ে তবু খেলে যাচ্ছিলেন। এই চোটে এবারের আইপিএল থেকেও সরিয়ে নিয়েছিলেন নাম।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল আঙুলের অস্বস্তি। সেখানে অস্ত্রোপচার করলে বের হয় কাঁচের টুকরা। সেরে উঠে এই মাসের শুরুতে আর্চার মাঠে ফেরেন সাসেক্সের দ্বিতীয় একাদশের একটি ম্যাচ দিয়ে। পরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সাসেক্সের হয়ে খেলেন একটি ম্যাচ। ওই ম্যাচেই আবার মাথাচাড়া দেয় কনুইয়ের ব্যথা। শেষ পর্যন্ত গত শুক্রবার করানো হয় অস্ত্রোপচার।
আর্চারের মাঠে ফেরার সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসিবি। তবে এটা নিশ্চিত, অন্তত মাস তিনেক সময় তার লাগবেই। অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের কোনো একটা পর্যায়ে তাকে পাওয়ার আশা করছে ইংল্যান্ড।
আর্চার অবশ্য ভাবছেন ভিন্নভাবে। মহাগুরুত্বপূর্ণ ভারত সিরিজে খেলতে না পারলেও সমস্যা নেই তার। ডেইলি মেইলে নিজের কলামে ২৬ বছর বয়সী এই পেসার লিখেছেন, তার সামনে এখন গুরুত্ব পাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ।
“কনুইয়ে অস্ত্রোপচারের পর আমি একটি জায়গায় সংকল্পবদ্ধ যে, ফেরার জন্য তাড়াহুড়া নয়। কারণ, আমার মূল লক্ষ্য ইংল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এই বছরের শেষ দিকে অ্যাশেজ খেলা।”
“এগুলোই আমার লক্ষ্য। আমি যদি এর আগে ফিরতে পারি এবং ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠের টেস্ট সিরিজে খেলার জন্য তৈরি হতে পারি, তাহলে দারুণ, ওইটাই হোক। তবে যদি না পারি, এই গ্রীষ্মে বসে থাকতে আমি প্রস্তুত। আমি বিষয়গুলিকে যেভাবে দেখছি, তা হলো আমি দরকার হয় বছরের কয়েক সপ্তাহ মিস করব, যেন আমার ক্যারিয়ারে আরও কয়েক বছর খেলতে পারি।”
কনুইয়ের এই চোট তার বোলিংকে প্রবলভাবেই প্রভাবিত করেছে। চোটের পর থেকে ৬ টেস্টে কেবল ১২ উইকেট নিয়েছেন ৪০.১৬ গড়ে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও কমে গেছে ধার ও গতি। তাই যেভাবেই হোক এই চোটের সঙ্গে লড়াইয়ে জিততে মরিয়া আর্চার।
“আমি স্রেফ এই চোট একেবারে ঠিক করতে চাই। আর তাই মাঠে ফিরতে খুব বেশি দূরে বা কোনো তারিখের দিকে তাকিয়ে নেই আমি। কারণ, আমি যদি ঠিকভাবে সেরে না উঠতে পারি, আমি কোনো ক্রিকেটই খেলতে পারব না।”
“পুরোপুরি ফিট হওয়ার আগে ফিরে নিজের জন্য আমি ভালো কিছু করব না। আমি সময় নেব এবং যেটা আমার জন্য ও আমার জীবনের জন্য ভালো সেটাই করব।”