সিনিয়র বেশ কজনকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সফরে দল পাঠিয়েছে শ্রীলঙ্কা। দুই দলের অভিজ্ঞতায় তাই পার্থক্য হয়ে গেছে অনেক। মাঠের পারফরম্যান্সেও ফুটে উঠেছে সেই ব্যবধান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবার সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।
শেষ ম্যাচের আগের দিন বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আর্থার তুলে ধরলেন দুই দলের অভিজ্ঞতার পার্থক্যের বিষয়টি।
“সাকিব, তামিম, মুশফিকরা দুইশর বেশি ম্যাচ খেলেছে, মাহমুদউল্লাহ দুইশর কাছাকাছি। সঙ্গে মুস্তাফিজ, মেহেদিদের (মিরাজ) নিয়ে নিজেদের কন্ডিশনে তারা ভালো একটি ইউনিট। বাংলাদেশের কাছ থেকে কঠিন লড়াই আমরা আশা করেছিলাম। তারা নিশ্চিতভাবেই আমাদের তা দিয়েছে।”
আগের অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর পাশাপাশি দল থেকেও বাদ দিয়ে এই সফরে অধিনায়ক করা হয় কুসল পেরেরাকে। দলে জায়গা পাননি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দিনেশ চান্দিমাল, সুরাঙ্গা লাকমলের মতো সিনিয়ররা।
সিরিজ হারার পর দেশে প্রবল সমালোচনা হচ্ছে লঙ্কানদের। সিনিয়রদের বাদ দেওয়া নিয়ে প্রশ্নও উঠছে। তবে আর্থারের মতে, দল ঠিক পথেই আছে। সিনিয়রদের ফেরার দুয়ার খোলা বলেও জানালেন তিনি।
“২০২৩ (বিশ্বকাপের) দিকে তাকানোর ভাবনা নিয়ে আমরা একটি পথচলা শুরু করেছি। দুয়ার কারও জন্যই বন্ধ নয়। পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে একটা সময়ে সিনিয়রদের ফিরে আসার সুযোগ আছে। আমরা স্কোয়াডের গভীরতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সবাই যেন পরস্পরকে চাপে রাখে, তাতে নিজেদের সম্ভাব্য সেরাটা যেন তারা দিতে পারে।”
“আমার মনে হয়, দলকে আমরা সঠিক পথেই নিচ্ছি। কারও জন্যই দরজা বন্ধ নয়। অ্যাঞ্জেলো ও চান্দি দারুণ ক্রিকেটার, এই মুহূর্তে আমাদের টেস্ট দলের অংশ ওরা। কিন্তু একটা পর্যায়ে আমাদের দেখতে হতোই যে, ২০২৩ সালে কে খেলবে এবং ভালো করবে। পরিবর্তনের প্রক্রিয়ার সময় এই ভারসাম্য ধরে রাখা জরুরি। ঠিকঠাক না হওয়া পর্যন্ত এটা চলতেই থাকবে।”