এই উদ্যোগ যুক্তরাজ্য সরকারের একটি গবেষণা প্রকল্পের অংশ। স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতার ৭০ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। মূল উদ্দেশ্য, স্টেডিয়ামে ঘোরাঘুরির সময় প্রোটোকল, সামাজিক দূরত্ব ও মুখ ঢাকার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা। একই সঙ্গে বড় এই সমাবেশের ঝুঁকি কতটা, তা দেখা।
দেশটির সরকারের বিধিনিষেধ অনুযায়ী, যারা ম্যাচের টিকেট পাবেন তাদের অবশ্যই কোভিড-১৯ নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। তাদের পরীক্ষা করাতে হবে মাঠে প্রবেশের আগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে তাদের সম্মতিপত্রও জমা দিতে হবে এবং তাদের বয়স হতে হবে অন্তত ১৬।
স্টেডিয়ামে প্রবেশের জন্য সারিবদ্ধভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রবেশের পর হসপিটালিটি এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও সামাজিক দূরত্ব প্রয়োজনীয় নয়। বসে থাকার সময় কিংবা খাওয়া ও পানি পানের সময় মুখ ঢাকা আবশ্যক নয়।
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) ও দেশটির জনস্বাস্থ্য বিভাগের মিলিত সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইসিবির প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন জানিয়েছে, এই উদ্যোগকে তারা সাদরে গ্রহণ করেছেন।
“মাঠে দর্শক ফেরানো খেলাটির জন্য ও সমর্থকদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বহু মানুষের জীবনে ক্রিকেট কত বড় ভূমিকা পালন করে, গত ১৫ মাস তা আমাদের দেখিয়েছে। আগামী মাসগুলোতে স্টেডিয়ামে ফেরা প্রচুর ভক্তদের স্বাগত জানাতে তর সইছে না আমাদের।”
আগামী ২ জুন লর্ডস টেস্ট দিয়ে শুরু হবে ইংল্যান্ড-নিউ জিল্যান্ডের দুই ম্যাচের সিরিজটি। এজবাস্টনে শেষ টেস্ট শুরু ১০ জুন।