আইসিসির বুধবার হালনাগাদ করা র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানেরও।
লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মিরাজ। পরের ম্যাচে ২৮ রানে তিনটি। এতে র্যাঙ্কিংয়ে এই অফ স্পিনার তিন ধাপ উপরে উঠে এসেছেন, আছেন দুই নম্বরে। পেয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পয়েন্ট-৭২৫। চূড়ায় থাকা ট্রেন্ট বোল্ট তার চেয়ে কেবল ১২ পয়েন্টে এগিয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে এর আগে ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দুইয়ে উঠতে পেরেছিলেন কেবল দুই জন। ২০০৯ সালে সাকিব আল হাসান প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে উঠেছিলেন শীর্ষে আর ২০১০ সালে আব্দুর রাজ্জাক দুইয়ে।
তবে তাদের একটা জায়গায় এরই মধ্যে ছাড়িয়ে গেছেন মিরাজ। দেশের হয়ে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্ট এখন এই অফ স্পিনারের। আগের সেরা ছিল ২০০৯ সালের নভেম্বরে সাকিবের ৭১৭।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ করে নেমে মুজিব-উর-রহমান তিনে, ম্যাট হেনরি চারে ও জাসপ্রিত বুমরাহ আছেন পাঁচে।
দুই ওয়ানডেতেই চাপে পড়া দলকে টেনেছেন মুশফিক। এই কিপার-ব্যাটসম্যান প্রথম ম্যাচে করেন ৮৪, দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেন ১২৫ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। দুই ম্যাচেই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। চার ধাপ এগিয়ে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছেন ১৪ নম্বরে। এই মুহূর্তে যা বাংলাদেশিদের মধ্যে সেরা।
মিরাজের মতো ক্যারিয়ার সেরা রেটিং পেয়েছেন মুশফিকও। তার ৭৩৯ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের যে কোনো ব্যাটসম্যানেরই সেরা। তামিম ইকবালের ৭৩৭ ছিল আগের সেরা, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে এই রেটিং পেয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার।
এই দুই ওয়ানডেতেই মুশফিককে দারুণ সঙ্গ দিয়ে দলের হাল ধরা মাহমুদউল্লাহ খেলেন ৫৪ ও ৪১ রানের ইনিংস। তিনি দুই ধাপ এগিয়ে আছেন ৩৮তম স্থানে। লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের কারো উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি।
ব্যাটসম্যানদের তালিকায় শীর্ষস্থানগুলোতে আসেনি কোনো পরিবর্তন। বাবর আজম, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, রস টেইলর, অ্যারন ফিঞ্চরা যথারীতি আছেন সেরা পাঁচে।
বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি পেসার দুই ম্যাচে নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। এতে আট ধাপ এগিয়ে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছেন নবম স্থানে। তার ক্যারিয়ার সেরা অবস্থান পঞ্চম, ২০১৮ সালে।
শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে দুশমন্থ চামিরা ও ভানিন্দু হাসারাঙ্গার উন্নতি হয়েছে। পেসার চামিরা এগিয়েছেন ১১ ধাপ আর লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গা আট ধাপ। যুগ্মভাবে আছেন ৬১তম স্থানে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও লাকসান সান্দাক্যানেরও উন্নতি হয়েছে।
অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে যথারীতি শীর্ষে আছেন সাকিব।