পৃথিবী থমকে গিয়েছিল, কেঁদে বললেন সাইফার্ট

আইপিএল স্থগিত, দেশে ফিরতে কেবল বিমানে ওঠার অপেক্ষা। ঠিক এমন সময় টিম সাইফার্ট পেয়েছিলেন করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার খবর। মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল! ভয়াবহ সেই দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে চোখের জল আটকে রাখতে পারলেন না কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা নিউ জিল্যান্ড কিপার-ব্যাটসম্যান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2021, 10:48 AM
Updated : 25 May 2021, 10:48 AM

ভারতে কোভিড-১৯ মহামারী ভয়ঙ্কর রূপ নেওয়ায় গত ৪ মে আইপিএল স্থগিত করে দেওয়া হয়। চার দিন পর দেশে ফিরতে নিউ জিল্যান্ডের আরও কজনের সঙ্গে চার্টার্ড ফ্লাইটে চড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সাইফার্ট। কিন্তু দুর্ভাগ্য সঙ্গী হয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই ক্রিকেটারের। যাত্রার আগে নিয়মিত দুটি পিসিআর পরীক্ষার দুটিতেই পজিটিভ হন তিনি।

ওই দুই পরীক্ষার আগে ১০ দিনের মধ্যে সাতটি পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছিলেন সাইফার্ট। কিন্তু শেষ সময়ে দুটি পরীক্ষায় আটকে যান তিনি ভারতে। পরে তাকে চেন্নাইয়ে আইসোলেশনে রেখে দেওয়া হয় চিকিৎসা।

নিয়ম অনুযায়ী কোভিড-১৯ নেগেটিভ হয়ে গত বৃহস্পতিবার ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ফিরেছেন নিউ জিল্যান্ডে। আইপিএলের সবশেষ বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে ভারত ছাড়েন তিনি।

দেশে ফিরে এখন অকল্যান্ডে আছেন হোটেল কোয়ারেন্টিনে। সেখান থেকেই সাইফার্ট জানালেন, ভারতে মুখোমুখি হওয়া সেই অভিজ্ঞতার কথা। করোনাভাইরাস পজিটিভ শুনে প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছিলেন তিনি।

“পৃথিবী যেন থমকে গিয়েছিল। আমি ঠিক ভাবতে পারছিলাম না, এরপর কী। সেটাই ছিল ওই সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয়।”

“চারদিক থেকে খারাপ খবর আসছিল। আর আমি ভাবছিলাম, এমনটা আমার সঙ্গেও ঘটবে।”

আইপিএল চলাকালে ভারতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক আকারে। দৈনিক রেকর্ড আক্রান্ত ও মৃত্যুর খবর আসছিল। হাসপাতালগুলোতে দেখা দেয় অক্সিজেনের অভাব। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জৈব-সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের মাঝেও।

“ভারতে অক্সিজেন অভাবের খবর শুনছিলাম। কেউ জানত না সেও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে কিনা।”

কঠোর জৈব-সুরক্ষা বলয় ভেদ করেও আইপিএলে কোভিড-১৯ হানা দিলে টুর্নামেন্ট স্থগিত করতে বাধ্য হয় ভারত। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে দেশটিতেই হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সাইফার্টের অবশ্য সেখানে আবার যেতে দ্বিধা নেই। আক্রান্ত হওয়ার আগে সুরক্ষা বলয়ে নিজেকে বেশ নিরাপদই মনে হয়েছে তার।

“সত্যি কথা বলতে, সেখানে থাকা পুরোটা সময় জৈব-সুরক্ষা বলয়ে আমি ভালো ও নিরাপদ অনুভব করেছি।