মুশফিকের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে সিরিজ বাংলাদেশের

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতে বাংলাদেশের দুটি লক্ষ্যই পূরণ হলো। অসাধারণ সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেন মুশফিকুর রহিম। পরে মিলিত চেষ্টায় বোলাররা এনে দিলেন বড় জয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। উঠল আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের চূড়ায়।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2021, 06:35 AM
Updated : 25 May 2021, 04:22 PM

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়

ব্যাটিংয়ে প্রায় একাই দলকে টানলেন মুশফিকুর রহিম, করলেন অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। তার মাস্টারক্লাস ইনিংসের পরও খুব একটা বড় হলো না বাংলাদেশের স্কোর। তবে মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসানের দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশ পেল অনায়াস জয়।

ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ১০৩ রানে জিতল বাংলাদেশ। ৪০ ওভারে দলটি পেয়েছিল ২৪৫ রানের লক্ষ্য। করতে পারে ৯ উইকেটে ১৪১ রান।

৫০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ উঠল আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের চূড়ায়।

অভিষেকে বল হাতে ভালো করেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। আগের ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ের জন্য জায়গা হারিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের কানকাশন সাব হিসেবে খেলার সুযোগ পেয়ে এদিন চমৎকার বোলিং করেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৪৮.১ ওভারে ২৪৬ (তামিম ১৩, লিটন ২৫, সাকিব ০, মুশফিক ১২৫, মোসাদ্দেক ১০, মাহমুদউল্লাহ ৪১, আফিফ ১০, মিরাজ ০, সাইফ ১১, শরিফুল ০, মুস্তাফিজ ০*; উদানা ৯-০-৪৯-২, চামিরা ৯.১-২-৪৪-৩, হাসারাঙ্গা ১০-১-৩৩-১, শানাকা ৭-০-৩৮-০, সান্দাক্যান ১০-০-৫৪-৩, ধনাঞ্জয়া ৩-০-২৩-০)

শ্রীলঙ্কা: (লক্ষ্য ৪০ ওভারে ২৪৫) ৪০ ওভারে ১৪১/৯ (গুনাথিলাকা ২৪, পেরেরা ১৪, নিসানকা ২০, মেন্ডিস ১৫, ধনাঞ্জয়া ১০, বান্দারা ১৫, শানাকা ১১, হাসারাঙ্গা ৬, উদানা ১৮*, সান্দাক্যান ৪, চামিরা ৪*; মিরাজ ১০-০-২৮-৩, শরিফুল ৬-০-৩০-১, তাসকিন ৮-০-২৭-০, মুস্তাফিজ ৬-১-১৬-৩, সাকিব ৯-০-৩৮-২, মোসাদ্দেক ১-০-২-০)

২ ওভারে ১১৯ রান চাই শ্রীলঙ্কার

তৃতীয় দফা বৃষ্টিতে কমেছে ম্যাচের দৈর্ঘ্য। ৪৫ মিনিট খেলা বন্ধ থাকায় ওভার কমেছে ১০টি। ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৪০ ওভারে ২৪৫ রানের লক্ষ্য পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। অর্থাৎ শেষ ২ ওভারে ১১৯ রান চাই সফরকারীদের।   

বাংলাদেশকে অপেক্ষায় রেখে নামল বৃষ্টি

বাংলাদেশের জয় যখন সময়ের ব্যাপার তখন আবার ফিরে এলো বৃষ্টি। ৩৮ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান ৯ উইকেটে ১২৬। ইসুরু উদানা ৪ ও দুশমন্থ চামিরা ৩ রানে ব্যাট করছেন।  

বড় জয়ের কাছে বাংলাদেশ

টানা দুই ওভারে উইকেট পেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বড় জয়ের আরও কাছে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ।

বাঁহাতি পেসারের বলটি স্লটেই পেয়েছিলেন লাকসান সান্দাক্যান। কিন্তু পার করতে পারেননি মিড অনের ফিল্ডারকে। একটু সরে গিয়ে ক্যাচ মুঠোয় নেন তামিম ইকবাল।

৩৭ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৯ উইকেটে ১২২। ক্রিজে ইসরু উদানার সঙ্গী দুশমন্থ চামিরা।

মুস্তাফিজের আরেকটি, জয়ের কাছে বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার সবশেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান আশেন বান্দারাকে ফিরিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বড় জয়ের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

বাঁহাতি পেসার স্লোয়ার বুঝতেই পারেননি বান্দারা। মিড অফে মাহমুদউল্লাহকে সহজ ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার সংগ্রাম। ৩১ বলে এক চারে তিনি করেন ১৫ রান।

৩৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৮ উইকেটে ১১৮। ক্রিজে ইসুরু উদানার সঙ্গী লাকসান সান্দাক্যান।

আগের বলে জীবন, পরের বলে আউট

ভানিন্দু হাসারাঙ্গাকে জীবন দেওয়ার তেমন একটা মাশুল দিতে হলো না। আগের বলে আফিফ হোসেনের হাতে জীবন পাওয়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলেন বোল্ড হয়ে। তিনি মেহেদী হাসান মিরাজের তৃতীয় শিকার।

আগের দিন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন হাসারাঙ্গা। এবার পারলেন না তেমন কিছু করতে। ডিপ মিডউইকেটে আফিফের হাত ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান হাসারাঙ্গা। পরের বলে এগিয়ে এসে চড়াও হতে গিয়ে হন বোল্ড।

৩৪ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৭ উইকেটে ১১৬। ক্রিজে আশেন বান্দারার সঙ্গী ইসুরু উদানা। 

মিরাজের দ্বিতীয় শিকার শানাকা

সাকিব আল হাসানকে ছক্কা মেরে ডানা মেলার আভাস দিয়েছিলেন দাসুন শানাকা। তবে ঝড় তোলার আগেই তাকে ফিরিয়ে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

অফ স্পিনারকে সুইপ করে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন দাসুন শানাকা। টাইমিং করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। মিডউইকেটে কিছুটা এগিয়ে এসে ক্যাচ মুঠোয় নেন মাহমুদউল্লাহ।

এক ছক্কায় ১৯ বলে ১১ রান করেন শানাকা।

৩০ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৬ উইকেটে ১০৬। ক্রিজে আশেন বান্দারার সঙ্গী আগের ম্যাচে ঝড় তোলা ভানিন্দু হাসারাঙ্গা।

ধনাঞ্জয়াকে ফিরিয়ে মাশরাফির পাশে সাকিব

ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে এলবিডব্লিউ করে মাশরাফি বিন মুর্তজার পাশে বসলেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট এখন যৌথভাবে এই দুই জনের।  

২৬৯ উইকেট নিয়ে এতো দিন রেকর্ড ছিল পেসার ও সাবেক অধিনায়ক মাশরাফির। ধনাঞ্জয়া সাকিবের ২৬৯তম উইকেট।

বিপদ নিজেই ডেকে এনেছিলেন ধনাঞ্জয়া। স্টাম্প সোজা বল পিছিয়ে গিয়ে ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে যেতে পারেননি বলের লাইনে। ২১ বলে ফিরে যান ১০ রান করে।

২৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫ উইকেটে ৯০। ক্রিজে আশেন বান্দার সঙ্গী দাসুন শানাকা।

মিরাজের শিকার মেন্ডিস

তাসকিন আহমেদের জায়গায় বোলিংয়ে ফিরেই আঘাত হানলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কুসল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে দিলেন তরুণ এই অফ স্পিনার।

মেন্ডিসের ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে বল প্যাডে আঘাত হানতেই এক রকম উইকেট উদযাপন শুরু করেন মিরাজ। রিভিউ নিয়েছিলেন লঙ্কান সহ-অধিনায়ক। পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত, রিভিউ নষ্ট করে ১৫ রানে ফিরেন মেন্ডিস।

২২ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৪ উইকেটে ৮১। ক্রিজে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গী আশেন বান্দারা।

নিসানকাকে থামালেন সাকিব

থিতু হয়ে যাওয়া পাথুন নিসানকাকে বিদায় করলেন সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কা হারাল তৃতীয় উইকেট।

একটু দ্রুত গতিতে করা শর্ট বল পুল করে ওড়াতে চেয়েছিলেন নিসানকা। বাড়তি গতির জন্যই সম্ভবত টাইমিং করতে পারেননি। পিছিয়ে গিয়ে ক্যাচ ধরতে গিয়ে তালগোল প্রায় পাকিয়েই ফেলেছিলেন তামিম ইকবাল। তবে শেষ পর্যন্ত তৃতীয় চেষ্টায় মুঠোয় জমান বল।

দুই চারে ৩৬ বলে ২০ রান করেন নিসানকা।

১৯ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৩ উইকেটে ৭১। ক্রিজে কুসল মেন্ডিসের সঙ্গী ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

গুনাথিলাকাকে ফেরালেন মুস্তাফিজ

অনেকটা সময় ক্রিজে থেকেও সুবিধা করতে পারছিলেন না দানুশকা গুনাথিলাকা। বাঁহাতি এই ওপেনারের সংগ্রাম শেষ হলো মুস্তাফিজুর রহমানের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে।

বাঁহাতি পেসারের বলে কাট করেন গুনাথিলাকা। এমন শটের জন্যই সীমানায় অপেক্ষায় ছিলেন সাকিব আল হাসান। ক্যাচ মুঠোয় জমান তিনি।

দুই চারে ২৪ বলে ৪৬ রান করেন গুনাথিলাকা।

১৪ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ২ উইকেটে ৫৩। ক্রিজে পাথুম নিশানকার সঙ্গী সহ-অধিনায়ক কুসল মেন্ডিস।

পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের আঁটসাঁট বোলিং

লঙ্কান বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানদের পাওয়ার প্লেতে হাত খোলার সুযোগ দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদরা বেঁধে রেখেছেন সফরকারীদের।

১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১ উইকেটে ৩৮। ৩২ বলে ১৩ রানে ব্যাট করছেন দানুশকা গুনাথিলাকা। ১৩ বলে ১১ রানে খেলছেন পাথুম নিশানকা।

আগের ম্যাচে প্রথম স্পেলে ৩ ওভারে ২৭ রান দেওয়া তাসকিন আহমেদ এবার ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৭ রান। বাংলাদেশ রিভিউ নিলে পেতেন গুনাথিলাকার উইকেট।

অভিষিক্ত পেসার শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নিয়েছেন কুসল পেরেরার উইকেট।

শরিফুলের প্রথম উইকেট পেরেরা

অভিষেকে নিজের তৃতীয় ওভারেই উইকেট পেলেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসার ফিরিয়ে দিলেন লঙ্কান অধিনায়ক কুসল পেরেরাকে।

শুরু থেকে রানের জন্য ছটফট করছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। বড় শট খেলার চেষ্টা করছিলেন কিন্তু টাইমিং হচ্ছিল না খুব একটা। শরিফুলের বলে মিড অন দিয়ে ভাসিয়ে খেলেছিলেন। কিন্তু পার করতে পারেননি তামিম ইকবালকে। চমৎকার ক্যাচ নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

১৫ বলে ২ চারে ১৪ রান করেন পেরেরা।

৬ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১ উইকেটে ২৪। ক্রিজে দানুশকা গুনাথিলাকার সঙ্গী পাথুম নিসানকা।

‘বাঁচলেন’ গুনাথিলাকা

পঞ্চম ওভারে ভাঙতে পারতো শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি। ৮ রানে ফেরত যেতে পারতেন দানুশকা গুনাথিলাকা। কিন্তু কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিল না বাংলাদেশ, বেঁচে গেলেন বাঁহাতি ওপেনার। 

তাসকিনের বাউন্সারে পুল করতে চেয়েছিলেন গুনাথিলাকা। ঠিক মতো পারেননি, গ্লাভস ছুঁয়ে বল যায় কিপারের কাছে। অনেকটা লাফিয়ে চমৎকার ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। খুব একটা জোরালো আবেদন করেননি ফিল্ডাররা।

পরে আল্ট্রাএজে দেখা গেছে বল ছুঁয়ে গেছে গ্লাভসে।

সাইফের কনকাশন সাব তাসকিন

দুশমন্থ চামিরার শর্ট বল ঠিক মতো ব্যাটে খেলতে পারেননি মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। বল আঘাত হানে হেলমেটে। পরে দ্রুত রান নেওয়ার চেষ্টায় ফিরেন রান আউট হয়ে। কনকাশনের ইঙ্গিত মেলায় তাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়নি বাংলাদেশ। বিকল্প হিসেবে মাঠে নেমেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

আগের ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ের জন্য বাদ পড়েছিলেন এই পেসার। তার জায়গায় অভিষেক হয়েছে শরিফুল ইসলাম। সাইফ ছিটকে যাওয়ায় নিজেকে প্রমাণের আরেকটি সুযোগ পেলেন তাসকিন।

২৪৭ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

১১ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস। দুশমন্থ চামিরার উপর চড়াও হতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মুশফিকুর রহিম। ২৪৬ রানে গুটিয়ে গেল স্বাগতিকরা।

অষ্টম সেঞ্চুরিতে ১২৭ বলে ১০ চারে ১২৫ রান করেছেন মুশফিক। দল যেতে পারেনি ৫০ ওভার পর্যন্ত। 

৪৪ রানে ৩ উইকেট নেন পেসার চামিরা। রিস্ট স্পিনার লাকশান সান্দাক্যান ৩ উইকেট নেন ৫৪ রানে। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৪৮.১ ওভারে ২৪৬ (তামিম ১৩, লিটন ২৫, সাকিব ০, মুশফিক ১২৫, মোসাদ্দেক ১০, মাহমুদউল্লাহ ৪১, আফিফ ১০, মিরাজ ০, সাইফ ১১, শরিফুল ০, মুস্তাফিজ ০*; উদানা ৯-০-৪৯-২, চামিরা ৯.১-২-৪৪-৩, হাসারাঙ্গা ১০-১-৩৩-১, শানাকা ৭-০-৩৮-০, সান্দাক্যান ১০-০-৫৪-৩, ধনাঞ্জয়া ৩-০-২৩-০)

অভিষেকে গোল্ডেন ডাক শরিফুল

ব্যাট হাতে অভিষেকটা ভালো হলো না শরিফুল ইসলামের। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান পেলেন গোল্ডেন ডাকের স্বাদ।

ইসুরু উদানার বলে খোঁচা মেরে কিপার কুসল পেরেরার গ্লাভসে ধরা পড়েন শরিফুল।

মুস্তাফিজুর রহমানের সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল ওভারের শেষ দুটি বল কাটিয়ে দেওয়ার। প্রথম বল আঘাত হানে হেলমেটে। পরের বলটি নিরাপদে কাটিয়ে দেন তিনি।

৪৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৯ উইকেটে ২৪৬।

রান আউট সাইফ

দ্রুত একটি রান নেওয়ার চেষ্টায় সফল হলেন না মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ফিরে গেলেন কুসল মেন্ডিসের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে।

ডাইভ দিয়ে ক্রিজে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছিলেন সাইফ, কাজ হয়নি। উল্টো ফিরেন চোট পেয়ে। ভাঙে ৪৮ রানের জুটি।

৩০ বলে ১১ রান করেন সাইফ।

৪৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৮ উইকেটে ২৩৭। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম।

আবার খেলা শুরু

৩৮ মিনিট বিরতির পর আবার শুরু হয়েছে খেলা। দুই দফায় বৃষ্টিতে এক ঘণ্টার বেশি সময় খেলা বন্ধ থাকলেও কমেনি ম্যাচের দৈর্ঘ্য।

বৃষ্টিতে ফের খেলা বন্ধ

২৫ মিনিট বিরতির পর খেলা হতে পারল কেবল ১৪ বল। এই সময়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ যোগ করতে পেরেছে ১৭ রান।

৪৩.৩ ওভারে বৃষ্টি নামার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেটে ২১৩। অষ্টম সেঞ্চুরির দুয়ারে থাকা মুশফিকুর রহিম খেলছেন ১১১ বলে ৯৬ রানে। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের রান ২১ বলে ৮।

খেলা শুরু

২৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হলো খেলা। কমেনি কোনো ওভার। আকাশ কালো মেঘেই ঢাকা। দুপুর থেকেই জ্বলছে ফ্লাড লাইট।    

বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ

ইনিংসের মাঝপথে ঘন কালো মেঘে ঢাকা পড়েছিল আকাশ। শেষ দিকে এসে নামলো বৃষ্টি। বন্ধ হয়ে গেল খেলা।

৪১.১ ওভারে বৃষ্টি নামার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেটে ১‌৯৬। ১০৬ বলে মুশফিকুর রহিমের রান ৮৫। ১২ বলে ২ রানে খেলছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

শূন্য রানে বোল্ড মিরাজ

দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ। ভানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে শূন্য রানেই বোল্ড হয়ে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আগের ম্যাচে ব্যাটিং না পাওয়া এই অলরাউন্ডার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন লেগ স্পিনারকে। বলের লাইনে যেতে পারেননি মিরাজ, এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্প।

৩৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেটে ১৮৪। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

টিকলেন না আফিফ

ক্রিজে গিয়েই দুটি চার মেরে আত্মবিশ্বাসী শুরু করেছিলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলেন না এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

ইসুরু উদানাকে উড়িয়ে মেরে পাথুম নিসানকার হাতে ধরা পড়েন আফিফ। মিড অন থেকে পিছন দিকে অনেকটা দৌড়ে চমৎকার ক্যাচ নেন ফিল্ডার।

৯ বলে দুই চারে ১০ রান করে ফিরেন আফিফ।

মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার দায়িত্ব এখন মুশফিকুর রহিমের কাঁধে।

৩৭ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ১৭৯। ৯৫ বলে ৭০ রানে খেলছেন মুশফিক। ক্রিজে তার সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।

পেরেরার নৈপুণ্যে ভাঙল জুটি

সাবধানী শুরুর পর শট খেলতে শুরু করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। জমে গিয়েছিল মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তার জুটি। বাড়তে শুরু করেছিল রানের গতি। এমন সময়ে কুসল পেরেরার নৈপুণ্যে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ।

লাকসান সান্দাক্যানের বলে প্যাডল সুইপ করেছিলেন অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তিনি কি করতে যাচ্ছেন আগেই বুঝে ফেলেন পেরেরা। দ্রুত পৌঁছে যান জায়গা মতো এবং গ্লাভসে জমান ক্যাচ। ভাঙে ১০৮ বল স্থায়ী ৮৭ রানের জুটি।

আগের ম্যাচে ফিফটি করা মাহমুদউল্লাহ দুই ছক্কা ও এক চারে ৫৮ বলে করেন ৪১। সেই ওভারেই বাউন্ডারিতে রানের খাতা খুলেছেন আফিফ হোসেন।

৩৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ১৬৫। ৮৩ বলে ৬২ রানে খেলছেন মুশফিক। ৩ বলে আফিফের রান ৪।

মুশফিকের ফিফটি

অনেক বিপদের ত্রাতা মুশফিকুর রহিম দাঁড়িয়ে গেলেন আবারও। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পথ দেখালেন দলকে। আগের ম্যাচের নায়ক এবার ফিফটি করলেন ৭০ বলে।

ওয়ানডেতে এটি মুশফিকের ৪১তম ফিফটি। খেলছেন এক-দুই নিয়ে প্রান্ত বদল করে। তার ইনিংসে বাউন্ডারি কেবল একটি।

৩০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১৪১। ৭৫ বলে ৫৬ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক। ৪৫ বলে মাহমুদউল্লাহর রান ৩১।

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে পঞ্চাশ

আগের ম্যাচে শতরানের জুটিতে দেখিয়েছিলেন পথ। এবার তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশ পেল প্রথম পঞ্চাশ রানের জুটি। 

ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ওয়াইড লং অন দিয়ে মাহমুদউল্লাহর ছক্কায় ৭৬ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করে জুটির রান। ইনিংসে এটাই বাংলাদেশের প্রথম ছক্কা।

২৯ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১৩৪। ৪৫ বলে ৩১ রানে খেলছেন মাহমুদউল্লাহ। ৬৯ বলে মুশফিকের রান ৪৯।

বাংলাদেশের একশ

চার উইকেট হারিয়ে পড়া বাংলাদেশকে টানছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান চেষ্টা করছেন জুটি গড়ে তোলার। 

প্রায় একই গতিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। ৫০ হয়েছিল ৭০ বলে, একশ এসেছে ১৩৭ বলে। ২৩তম ওভারে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেছে বাংলাদেশের রান।

২৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১০৩। ৫৯ বলে ৪১ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক। ১৯ বলে মাহমুদউল্লাহর রান ৮।

সুযোগ হারালেন মোসাদ্দেক

মোহাম্মদ মিঠুনের জায়গায় সুযোগ পেয়ে ব্যর্থ মোসাদ্দেক হোসেন। ষোড়শ ওভারে আউট হওয়া খুব কঠিন এমন বলে কট বিহাইন্ড হয়ে গেলেন এই তরুণ অলরাউন্ডার।

রিস্ট স্পিনার লাকশান সান্দাক্যানের লেগ স্টাম্পের বাইরের কিপারকে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক। নিশ্চিত ছিলেন না বলে ব্যাট বা গ্লাভসের স্পর্শ আছে কি না। তবে নন স্ট্রাইকার মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে রিভিউ না নিয়েই ফিরে যান তিনি।

আগের ম্যাচে ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জুটি বেঁধেছিলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। এবার তাদের জুটি শুরু হওয়ার সময় দলের রান ৪ উইকেটে ৭৪।   

পারলেন না লিটন

রানখরা কাটানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু তা রূপ পেল না পূর্ণতার। বাজে শটে আউট হলেন ২৫ রান করে।

বল হাতে নিয়ে প্রথম বলেই সাফল্য পেলেন লাকশান সান্দাক্যান। তবে তা লিটনেরই উপহার।

অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে নিরীহ এক লেংথ বলে লিটন কাট করলেন, কিন্তু পা নড়ল না একটুও। পয়েন্টে সহজ ক্যাচ নিলেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গা।

৪২ বলে ২৫ রানে আউট লিটন। ৮ ওয়ানডে ইনিংসের মধ্যে এটিই তার সর্বোচ্চ ইনিংস।

মুশফিকের সঙ্গে তার জুটি থামল ৩৪ রানে। বাংলাদেশের বিপদ বাড়ল আরেকটু। ১১.১ ওভারে রান ৩ উইকেটে ৪৯।

শূন্যতেই শেষ সাকিব

প্রথম ওভারে ৩ চারে ভালো শুরুর পর দ্বিতীয় ওভারে দুটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের পর এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন সাকিব আল হাসান।

মিডল স্টাম্পে থাকা ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি ব্যাটে খেলতে পারেননি সাকিব। সঙ্গে সঙ্গে এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। লিটন দাসের সঙ্গে কথা বলে রিভিউ না নিয়েই ফিরে যান সাকিব।

বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, মিডল স্টাম্পের উপরের দিকে লাগতো বল।

আগের ম্যাচে চার দিয়ে শুরুর পর টাইমিং পেতে ভুগছিলেন সাকিব। এবার টিকলেন কেবল তিন বল।

২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৫/২। ক্রিজে লিটনের সঙ্গী আগের ম্যাচের নায়ক মুশফিকুর রহিম।

রিভিউ নিয়ে তামিমকে ফেরাল শ্রীলঙ্কা

প্রথম ওভারে তিন চার মেরে দারুণ কিছুর আভাস দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে রিভিউ নিয়ে বাঁহাতি ওপেনারকে দ্রুতই ফিরিয়ে দিতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা।

দুশমন্থ চামিরার লেগ স্টাম্পের বল ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যাটে খেলতে পারেননি তামিম। আম্পায়ার জোরালো আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেন লঙ্কান অধিনায়ক। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, বল লাগতো লেগ স্টাম্পে।

প্রথম ওভারে ১২ রানে জীবন পাওয়া তামিম ফিরেন ৬ বলে ১৩ রান করে।    

৩১ বছর পর একাদশে ২ বাঁহাতি পেসার

সেই ১৯৯০ সালে ওয়ানডেতে সবশেষ একাদশে দুই বাঁহাতি পেসার রেখেছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে চন্ডিগড়ের সেই ম্যাচে খেলেছিলেন গোলাম নওশের ও জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার।

মুম্তাফিজুর রহমান কয়েক বছর ধরেই নিয়মিত একাদশে। এই ম্যাচে তার সঙ্গী আরেক বাঁহাতি পেসার শরিফুল।  

অপরিবর্তত শ্রীলঙ্কা দল

আগের ম্যাচে জেতা বাংলাদেশ দল দুটি পরিবর্তন আনলেও একই একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচে বোলিংয়ে খুব একটা ভালো না করলেও টিকে গেছেন রিস্ট স্পিনার লাকসান সান্দাক্যান।

শ্রীলঙ্কা: কুসল পেরেরা (অধিনায়ক), কুসল মেন্ডিস (সহ-অধিনায়ক), দানুশকা গুনাথিলাকা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, পাথুম নিসানকা, দাসুন শানাকা, আশেন বান্দারা, ভানিন্দু হাসারাঙ্গা, ইসুরু উদানা, দুশমন্থ চামিরা, লাকসান সান্দাক্যান।

শরিফুলের অভিষেক, মিঠুনের জায়গায় মোসাদ্দেক

আগের ম্যাচে খরুচে বোলিং করে বাদ পড়লেন তাসকিন আহমেদ। তার জায়গায় অভিষেক হচ্ছে শরিফুল ইসলামের। এরই মধ্যে দেশের হয়ে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলা তরুণ এই বাঁহাতি পেসার বাংলাদেশের ১৩৬তম ওয়ানডে ক্রিকেটার।

আগের ম্যাচের বাজে শট কাল হলো মোহাম্মদ মিঠুনের জন্য। একাদশে জায়গা হারালেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। তরুণ এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার সবশেষ ওয়ানডে খেলেন ২০১৯ সালের জুলাইয়ে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই।

বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন এই দুইটি। প্রথম ওয়ানডের মাঝপথে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান বলেছিলেন, লিটন দাসকে মিডল অর্ডারে দেখতে চান তিনি। তবে আপাতেত টপ অর্ডারেই থাকছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
 
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টস জিতলেন তামিম ইকবাল। আগের ম্যাচের মতো এবারও বাংলাদেশ অধিনায়ক নিলেন ব্যাটিং।
 
মেঘ ও সূর্যের লুকোচুরি

আগের রাতের বৃষ্টির পর মঙ্গলবার সকালেও আকাশ মেঘে ঢাকা। তবে আছে রোদও। চলছে মেঘ আর রোদের লুকোচুরি। সন্ধ্যায় বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।  

বাংলাদেশের দুই প্রাপ্তির হাতছানি
 
এক সঙ্গে দুটি প্রাপ্তির হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। শেষ দুই ম্যাচের একটিতে জিতলেই প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতবে তারা। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো উঠবে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের চূড়ায়।
 
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই দুটি লক্ষ্য পূরণ করে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। ম্যাচ শুরু হবে বেলা একটায়।
 
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি নবম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুটি সিরিজ ড্র হয়, বাকি সবগুলোয় জয় লঙ্কানদের। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এর আগে ২৮টি আসরে মুখোমুখি হয়ে লঙ্কানদের কখনও একাধিকবার হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার হাতছানি সেসব অপূর্ণতা ঘুচিয়ে দেওয়ার।