আমি তো পোলার্ড বা রাসেল নই: মুশফিক

৮৭ বলে ৮৩ রানের ইনিংস, স্ট্রাইক রেট প্রায় ৯৭। অথচ সেখানে বাউন্ডারি থেকে রান কেবল ২২! মুশফিকুর রহিমের ইনিংসটি আরও একবার মেলে ধরল তার ব্যাটসম্যানশিপের উজ্জ্বল বিজ্ঞাপন। ম্যাচের পর অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান বললেন, পেশী শক্তির ব্যাটসম্যান নন বলে নিজের মতো করেই দ্রুত রান তোলার পথ বের করে নিতে হয় তাকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2021, 04:22 PM
Updated : 23 May 2021, 04:47 PM

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে রোববার মুশফিকের ইনিংসটি বদলে দেয় বাংলাদেশের ইনিংসের চিত্র। দলের ধুঁকতে থাকা ইনিংসকে দারুণ গতিময়তায় এগিয়ে নেন তিনি।

সেই কাজটি করেন তিনি বারবার প্রান্ত বদলের পথে ছুটে। মন্থর উইকেটে শট খেলা ছিল কঠিন, মুশফিক জোর করে সেই চেষ্টা করেননি। মাঠের চারপাশে খেলে এক-দুই করে নিয়ে তিনি বাড়ান রান।

মেহেদী হাসান মিরাজ ৪ উইকেট নিলেও দারুণ ইনিংসের জন্য ম্যাচের সেরা মুশফিকই। ম্যাচ শেষে তিনি বললেন, আপন পথে হেঁটেই তিনি হয়েছেন নায়ক। কৃতিত্ব দিলেন সতীর্থদেরও।

“আমি বিশালদেহী কেউ নই, সহজে বাউন্ডারি মারতে পারি না। আমি পোলার্ড বা রাসেল নই। নিজের শক্তির জায়গায় থাকার চেষ্টা করি। কন্ডিশনও আমাকে সুযোগ দেয়নি খুব বেশি বাউন্ডারি মারার। তাই সময় নিয়েছি, আস্তে আস্তে রান বাড়িয়েছি। একটা প্রান্ত নিরাপদ রাখতেও হতো আমাকে। সেটা করেছি। রিয়াদ ভাইও সঙ্গ দিয়েছেন। আফিফ ও সাইফের ফিনিশিং টাচ ছিল দুর্দান্ত।”

মুশফিক যখন উইকেটে যান, বাংলাদেশের ইনিংসের গতি তখন ছিল ভীষণ মন্থর। শুরুতে লিটন দাস আউট হওয়ার পর তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের ৩৮ রানের জুটিতে বল লাগে ৬৪টি। ৩৪ বলে ১৫ রান করে আউট হন সাকিব।

মুশফিক বললেন, পরিস্থিতির দাবি মিটিয়েই ব্যাট করার চেষ্টা করেছেন তিনি।

“ব্যাটিংয়ের জন্য এই উইকেট খুব সহজ নয়। শুরুতে লিটন ও সাকিবকে হারিয়ে আমরা একটু চাপে ছিলাম। তবে তামিম সেই সময় খুব ভালো ব্যাট করেছে, যে কারণে আমি সময় নিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছি। রিয়াদ ভাইও খুব ভালো ব্যাট করেছেন। সব মিলিয়ে এটা ভালো ম্যাচ ছিল, কারণ লম্বা সময় পর আমরা ঘরের মাঠে ওয়ানডে ম্যাচ খেলছি।”

এক-দুই করে রান বাড়ানোর লড়াইয়ে মুশফিকের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কন্ডিশন। প্রচণ্ড গরমে এত বেশি দৌড়ে রান নেওয়া ছিল ফিটনেসের বড় পরীক্ষা। মুশফিক এখানে নিজের পাশাপাশি বললেন বোলারদের কথাও।

“সত্যি বলতে, এটা ক্রিকেটের জন্য আদর্শ কন্ডিশন নয়। শুধু গরমই নয়, ভেতর থেকে অনেক কিছুই শুষে নেয় এটা। প্রচণ্ড আর্দ্রতা, অনেক ঘাম ঝরে। প্রতিটি বলে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। তবে আমাদের ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব, তারা খুব ভালো সামলেছে। বিশেষ করে বোলাররা। মিরাজ অসাধারণ ছিল, মুস্তাফিজ ও সাকিবও সঙ্গ দিয়েছে তাকে।”