আক্রান্ত লঙ্কান ক্রিকেটার, সতর্কতা বাড়াবে বিসিবি

জৈব-সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে কারও কোভিড আক্রান্ত হওয়ার কারণ দেখেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন। শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার শিরান ফার্নান্দোর কোভিড পজিটিভ হওয়াটা তার পূর্বের আক্রান্ত হওয়ার জের বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি। তারপরও সুরক্ষা বলয় নিয়ে বোর্ড আরও সতর্ক হবে বলে জানালেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2021, 01:47 PM
Updated : 23 May 2021, 01:47 PM

প্রথম ওয়ানডের আগে কোভিড পরীক্ষায় ফার্নান্দোর পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার বোলিং কোচ চামিন্দা ভাস ও পেসার ইসুরু উদানা পজিটিভ হওয়ায় শঙ্কা দেখা দেয় ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে। তবে দ্বিতীয় পরীক্ষায় ভাস ও উদানার ফল নেগেটিভ আসে ম্যাচ শুরুর মাত্র ঘণ্টা দুয়েক আগে। দূর হয় খেলা হওয়া নিয়ে শঙ্কা।

ফার্নান্দোর অবশ্য দ্বিতীয় ফলও পজিটিভ আসে। নিয়ম অনুযায়ী আইসোলেশনে রাখা হয় তাকে।

পরে প্রথম ম্যাচের মাঝ বিরতিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি সভাপতি বললেন, ফার্নান্দোও আসলে আক্রান্ত নাও হতে পারেন।

“শ্রীলঙ্কার তিন জনের পজিটিভ এসেছে, আগের টেস্টগুলোতে নেগেটিভ ছিল। আমাদের জানা মতে, বায়ো-বাবলে গিয়ে নেগেটিভ কারও পজিটিভ হওয়াটা অস্বাভাবিক। এমন কিছু হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও হতে তো পারেই। তিন জন পজিটিভ হওয়ার পর তাদের আইসোলেট করা হয়। তারপর যখন টেস্ট করতে দিলাম, কারণ তাদের কোনো সিম্পটম নাই। সেকেন্ড টেস্ট যখন করল, তখন নেগেটিভ। কিন্তু একজনের পজিটিভ।”

“কেন পজিটিভ এলো, সেটি দেখতে গিয়ে আমাদের ধারণা, যেহেতু সে (শিরান) কিছু দিন আগেই কোভিড থেকে রিকভার করেছে, অনেক সময় ডেড আরএনএ ডিটেক্ট করে পিসিআর, তার ক্ষেত্রেও এটা হতে পারে। অনেকের কিন্তু ২৮ দিন পর্যন্ত পাওয়া যায়। যেহেতু ওর ২৮ দিন হয়নি, তাই পেতে পারে। এজন্য আমরা আবার টেস্ট করতে পাঠিয়েছি।”

বিসিবি সভাপতি এখানে উদাহরণ দিয়েছেন খালেদ মাহমুদের ঘটনার। শনিবার এই বিসিবি পরিচালকের কোভিড পজিটিভ হওয়ার খবর জানা যায়। পরে আরেকটি পরীক্ষায় রাতেই নেগেটিভ আসে তার ফল, ‘টিম লিডার’ হিসেবে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি ম্যাচের আগে। বিসিবি সভাপতির মতে, এরকম হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

“একই জিনিস কিন্তু হয়েছে আমাদের খালেদ মাহমুদ সুজনকে নিয়ে। সুজন বায়ো-বাবলে ঢোকার আগে টেস্ট করেছে, নেগেটিভ। তারপর লাস্ট টেস্ট করতে গিয়ে এসেছে পজিটিভ। কিন্তু ও বলে, ‘আমার তো কিছু হয় নাই।’ তারপর আমরা আবার টেস্ট করালাম, আসে নেগেটিভ। আজকে আবার করালাম, নেগেটিভ।”

“মাঝেমধ্যে এরকম আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য প্রোটোকল করা আছে, একবার পজিটিভ হলে কী করতে হবে, কতবার টেস্ট করে শিওর হতে হবে, আমরা তা অনুসরণ করছি। কাজেই এটা নিয়ে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি, যেটা খুব চিন্তার বিষয়। তবে অবশ্যই আমরা সতর্কতা আরও বাড়াব।”

ম্যাচের আগে লঙ্কান গণমাধ্যমের খবর ছিল, বাংলাদেশে জৈব-সুরক্ষা বলয়ের সুরক্ষা নিয়ে খুশি নয় শ্রীলঙ্কা দল। তবে শ্রীলঙ্কার ম্যানেজার মানুজা কারিয়াপেরুমা ভিডিও বার্তায় বললেন, তারা সন্তুষ্টই।

“আমাদের দুজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফের একজন সদস্য পজিটিভ হয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় পরীক্ষায় দুজনের নেগেটিভ আসে। এই ব্যাপারগুলি হয়ই। ফলস পজিটিভ বলে একটি ব্যাপার আছে, এখানেও তেমন কিছু হয়ে থাকতে পারে।

“এটা প্রশংসনীয়, দুই বোর্ডের পারস্পরিক সম্পর্ক দারুণ। কোনো কিছু যদি থাকেও, আমরা এক হয়ে ঠিকঠাক করে ফেলি। কোনো সমস্যাই তাই নেই। দুই বোর্ডের বোঝাপড়া দুর্দান্ত। আমাদেরকে যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, তা যথেষ্টরও বেশি ও পর্যাপ্ত। বিসিবি সম্ভব সব চেষ্টাই করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি, নিউ নরম্যালের মধ্যে সম্ভব সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।”