২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন আমির, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে হুট করে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন এই সংস্করণে ৩৬ ম্যাচ খেলা এই পেসার। এরপর থেকে তাকে নিয়ে চলতে থাকে সমালোচনা। যেখানে শামিল ছিলেন দেশের সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই। এমনকি প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসও আমিরকে নিয়ে কথা বলতে ছাড়েননি।
টিম ম্যানেজমেন্টের মানসিক নির্যাতন ও প্রচণ্ড চাপকে কারণ দেখিয়ে গত ডিসেম্বরে আচমকাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ৬১টি ওয়ানডে ও ৫০ টি-টোয়েন্টি খেলা আমির। তবে ফেরার একটি সম্ভাবনাও দেখান ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
যা মোটেও ভালো লাগেনি আজমলের। ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, আমিরকে কোচদের সরানোর দাবি করার আগে নিজের পারফরম্যান্সে নজর দিতে বললেন তিনি।
“সে যা বলেছে তা থেকে মনে হচ্ছে, তার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। তবে ভেতরে তার ও টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে কী হয়েছিল তা আমি জানি না। সে বলছে, মিসবাহ ও ওয়াকার প্রধান কোচ ও বোলিং কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালে সে পাকিস্তানের হয়ে খেলবে।”
“কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই কোচকে বাদ দেওয়ার দাবি করা ঠিক নয়। আমিরের উচিত এসব চাওয়ার আগে নিজের পারফরম্যান্সে মনোযোগ দেওয়া ও দলে জায়গা পোক্ত করা।”
আমিরকে অবসরের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার পরামর্শও দিয়েছেন পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি স্পিনার আজমল।
“হতাশ হয়ে আমির অবসর নিয়েছিল। তবে এখন সে ফেরার কথা চিন্তা করছে। সে যদি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকে, তাহলে তার সেটায় অটল থাকা উচিত।”