শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চারে বাংলাদেশ

মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার পর মেহেদী হাসান মিরাজের হাত ধরে বোলিংয়ে শুরু হয় দারুণ। পাল্টা আক্রমণে খুনে ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে ফেরান ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। তবে শেষ রক্ষা করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। মিলিত চেষ্টায় লঙ্কানদের ৩৩ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2021, 06:35 AM
Updated : 23 May 2021, 03:21 PM

ওয়ানডে লিগের চারে বাংলাদেশ

সব সংস্করণ মিলিয়ে টানা ১০ ম্যাচ জয়শূন্য থাকার পর এলো জয়। শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ওয়ানডেতে ৩৩ রানে হারিয়ে ১০ পয়েন্ট পেল বাংলাদেশ। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে উঠে এলো চার নম্বরে। 

৩০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫৭/৬ (তামিম ৫২, লিটন ০, সাকিব ১৫, মুশফিক ৮৪, মিঠুন ১, মাহমুদউল্লাহ ৫৪, আফিফ ২৭*, সাইফ ১৩*; উদানা ১০-১-৬৪-০, চামিরা ৮-০-৩৯-১, ধনাঞ্জয়া ১০-২-৪৫-৩, গুনাথিলাকা ২-০-৫-১, হাসারাঙ্গা ১০-০৪-৪৮-০, সান্দাক্যান ১০-০-৫৫-১)

শ্রীলঙ্কা: ৪৮.১ ওভারে ২২৪ (গুনাথিলাকা ২১, কুসল পেরেরা ৩০, নিসানকা ৮, কুসল মেন্ডিস ২৪, ধনাঞ্জয়া ৯, বান্দারা ৩, শানাকা ১৪, হাসারাঙ্গা ৭৪, উদানা ২১, সান্দাক্যান ৮*, চামিরা ৫; মিরাজ ১০-২-৩০-৪, তাসকিন ৯-০-৬২-০, মুস্তাফিজ ৯-০-৩৪-৩, সাইফ ১০-০-৪৯-২, সাকিব ১০-০-৪৪-১, মাহমুদউল্লাহ ০.১-০-১-০)।

৩৩ রানের জয়

শেষ ব্যাটসম্যান দুশমন্থ চামিরাকে আউট করে বাংলাদেশকে ৩৩ রানের জয় এনে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচে বাঁহাতি পেসারের এটি তৃতীয় উইকেট।

মুস্তাফিজকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় টাইমিং করতে পারেননি চামিরা। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ২৫৭ রান তাড়ায় ২২৪ রানে থামে শ্রীলঙ্কা।   

ফিরেই মুস্তাফিজের উইকেট

ওভার অসমাপ্ত রেখে মাঠ ছাড়ার কিছুক্ষণ পর ফিরেন মুস্তাফিজুর রহমান। সাকিব আল হাসানের ২ ওভারের স্পেল শেষে তাকে আক্রমণে ফেরান অধিনায়ক। বল হাতে নিয়েই উইকেট এনে দেন মুস্তাফিজ।

বাঁহাতি পেসারকে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন ইসুরু উদানা। টাইমিং করতে পারেননি। সীমানায় ক্যাচ মুঠোয় জমান মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৩ বলে দুই চারে উদানা করেন ২১।

৪৪.১ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৯ উইকেটে ২১১।

হাসারাঙ্গার ঝড় থামালেন সাইফ

অবশেষে থামল ভানিন্দু হাসারাঙ্গার ঝড়। এই অলরাউন্ডারকে ফিরিয়ে ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে ঘুরিয়ে দিলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

তাকে পুল করে ওড়াতে চেয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। টাইমিং করতে পারেননি। মিড মিউইকেটে ক্যাচ মুঠোয় নেন আফিফ হোসেন। ভাঙে ৫৯ বলে ৬২ রানের জুটি।

৬০ বলে পাঁচ ছক্কা ও তিন চারে ৭৪ রান করেন হাসারাঙ্গা।  

৪৪ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৮ উইকেটে ২১১।

হাসারাঙ্গাকে জীবন দিলেন লিটন

ভানিন্দু হাসারাঙ্গাকে যেন থামানোর পথ পাচ্ছে না বাংলাদেশ। ইচ্ছেমত ছক্কা হাঁকাচ্ছেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার। তাকে থামানোর একটি সুযোগ এসেছিল সাকিব আল হাসানের বলে।

অনেকটা ছুটে গিয়ে আসল কাজ করে ফেলেছিলেন লিটন কিন্তু শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট বুঝতে ভুল করে মুঠোয় জমাতে পারেননি ক্যাচ। সে সময় ৬৩ রানে ছিলেন হাসারাঙ্গা।

৪১ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৭ উইকেটে ১৯৫। ৪৮ বলে ৬৫ রানে খেলছেন হাসারাঙ্গা। ইসুরু উদানারা রান ১৬ বলে ১৪।

এই ওভার শেষে মাঠে ফিরেছেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।

চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন মুস্তাফিজ

ভানিন্দু হাসারাঙ্গার ঝড় থামাতে যার দিকে সবচেয়ে বেশি তাকিয়ে ছিলেন তামিম ইকবাল, সেই মুস্তাফিজুর রহমান মাঠ ছেড়েছেন ওভার অসমাপ্ত রেখে।

ম্যাচের সেটি ৩৯তম ওভার, মুস্তাফিজের সপ্তম।

পঞ্চম বলটি করার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান মুস্তাফিজ। ফিজিও মাঠে কিছুক্ষণ চিকিৎসা দেওয়ার পরও কাজ হয়নি। তার সঙ্গে ধীরে ধীরে হেঁটে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি পেসার। ওভারটি শেষ করেন মাহমুদউল্লাহ।

৩৯ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৭ উইকেটে ১৮১। হাসারাঙ্গা ৪০ বলে ৫৫ ও ইসুরু উদানা ১২ বলে ১০ রানে ব্যাট করছেন।  

৩১ বলে হাসারাঙ্গার ফিফটি

পাল্টা আক্রমণে শ্রীলঙ্কার আশা বাঁচিয়ে রাখা ভানিন্দু হাসারঙ্গা ফিফটি করলেন ৩১ বলে। তাসকিন আহমেদের বলে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে চমৎকার ছক্কায় আসে তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি।

হাসারাঙ্গার খুনে ইনিংসে তিনটি চারের পাশে ছক্কা চারটি। তার ব্যাটে ক্রমেই মন্থর হয়ে পড়া উইকেটে লড়াইয়ে আছে সফরকারীরা।

৩৬ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৭ উইকেটে ১৬৫। ৩২ বলে ৫০ রানে খেলছেন হাসারাঙ্গা। ২ বলে ইসুরু উদানার রান ১। প্রয়োজনে বড় শট খেলতে পারেন তিনিও।

দ্রুত এগোনো জুটি ভাঙলেন সাইফ

পাল্টা আক্রমণে দ্রুত এগোনো জুটি ভাঙলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। তরুণ এই অলরাউন্ডার বোল্ড করে দিলেন দাসুন শানাকাকে।

অফ স্টাম্পে থাকা লেংথ বলের লাইন মিস করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ভেতরে ঢুকে আলতো করে বেল ফেলে দিয়ে যায়। কি হয়েছে বুঝতেই পারেননি ২৫ বলে ১৪ রান করা শানাকা।

তার বিদায়ে ভাঙে ৪০ বল স্থায়ী ৪৭ রানের জুটি।

৩৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৭ উইকেটে ১৫৭। জয়ের জন্য শেষ ১৫ ওভারে ১০১ রান চাই সফরকারীদের। ক্রিজে হাসারাঙ্গার সঙ্গী ইসুরু উদানা।

মিরাজের চতুর্থ উইকেট

আশেন বান্দারাকে বোল্ড করে ওয়ানডেতে তৃতীয়বারের মতো চার উইকেট পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

আশেন বান্দারাকে বেরিয়ে আসতে দেখে বল একটু টেনে দেন এই অফ স্পিনার। ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে উড়িয়ে দেয় মিডল স্টাম্প।

২৪ বলে ৩ রান করেন বান্দারা। পরের তিন বলে মিরাজকে দুটি বাউন্ডারি মারেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গা।

২৮ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান ৬ উইকেটে ১১০।  

উইকেটের ফিফটি মিরাজের

টানা দুই ওভারে উইকেট পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়ানডেতে স্পর্শ করলেন উইকেটের ফিফটি।

পঞ্চাশ উইকেট পেতে ৪৮ ম্যাচ লাগল আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ নম্বরে থাকা এই অফ স্পিনারের।

বাংলাদেশকে বেশ কয়েকবার ভোগানো ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে বোল্ড করে দ্রুত ফেরান মিরাজ। শাফল করে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বল স্পিন করে তার প্যাডে ছুঁয়ে লেগ স্টাম্প স্পর্শ করে ফেলে দেয় বেল।

১৫ বলে ৯ রান করেন ধনাঞ্জয়া।

২৪ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫ উইকেটে ৯৮। ক্রিজে আশেন বান্দারার সঙ্গী দাসুন শানাকা।

মিরাজের দ্বিতীয় শিকার কুসল

সহ-অধিনায়কের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকলেন না অধিনায়কও। দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে কুসল পেরেরাকে থামালেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা বলের লাইন পুরোপুরি মিস করেন বাঁহাতি ওপেনার। উপরে যায় তার অফ স্টাম্প। অন্য ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকাকেও ফিরিয়েছিলেন মিরাজ।

লঙ্কান অধিনায়ক স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিংয়ে এক চারে ৫০ বলে করেন ৩০।

২২ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান ৪ উইকেটে ৯৪। ক্রিজে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গী আশেন বান্দারা।

বোলিংয়েও রিভিউ শেষ বাংলাদেশের

ম্যাচে আরেকটি ব্যর্থ রিভিউ নিল বাংলাদেশ। ব্যাটিং-বোলিং     মিলেয়ে স্বাগতিকদের এটি চতুর্থ রিভিউ। ব্যর্থ হলো চারটিই। 

১৯তম ওভারের শেষ বলে সাকিবের ফুলটস ব্যাটে খেলতে পারেননি কুসল পেরেরা। জোরালো আবেদনে অম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেছে বল পিচ করত লেগ স্টাম্পের বাইরে। তাতে বোলিংয়ে দ্বিতীয় ও শেষ রিভিউটাও হারায় বাংলাদেশ।  

সাকিবের হাজারতম শিকার মেন্ডিস

এক হাজার উইকেটের ঠিকানায় যেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো না সাকিব আল হাসানকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই কুসল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে ভাঙলেন জুটি। নিজের উইকেট সংখ্যা নিয়ে গেলেন চার অঙ্কে।

প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ৯৯৯ উইকেট নিয়ে এই ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সাকিব। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার উইকেট ৩৬২টি। টি-টোয়েন্টিতে ৩১০। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে মেন্ডিস তার ৩২৮তম শিকার।

বাঁহাতি স্পিনারকে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন মেন্ডিস। একটু ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি লঙ্কান সহ-অধিনায়ক। পয়েন্টে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ মুঠোয় নেন আফিফ হোসেন। ভাঙে ৪১ রানের জুটি।

৩৬ বলে দুই চারে ২৪ রান করেন মেন্ডিস।

১৯ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান ৩ উইকেটে ৮৫। ক্রিজে কুসল পেরেরার সঙ্গী ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

একটুর জন্য হলো না

১৯তম ওভারে বোলিং এসে উইকেট প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। হলো না একটুর জন্য। আউট হতে হতে বেঁচে গেলেন কুসল পেরেরা।

বাঁহাতি স্পিনারের বলে ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি লঙ্কান অধিনায়ক। ঝাঁপিয়ে পড়লেও একটুর জন্য বলের নাগাল পাননি সাকিব। এক ড্রপে বল যায় তার হাতে।

১৭ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান ২ উইকেটে ৭৫। কুসল পেরেরা ৩৮ বলে ২৪ ও কুসল মেন্ডিস ৩০ বলে ১৮ রানে ব্যাট করছেন।

পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট

পাওয়ার প্লেতে শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরত পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

১০ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান ২ উইকেটে ৪৯। কুসল পেরেরা ২১ বলে ১৫ রানে ব্যাট করছেন। কুসল মেন্ডিস খেলছেন ৭ বলে ১ রানে।

৪৯ রানের ২৭ এসেছে তাসকিন আহমেদের তিন ওভার থেকে। এই পেসার হজম করেছেন ছয় বাউন্ডারি। পাওয়ার প্লেতে এর বাইরে কেবল একটি বাউন্ডারি মারতে পেরেছে লঙ্কানরা। 

বাকি তিন বোলার ওভার প্রতি দিয়েছেন তিনের নিচে রান।  

এসেই মুস্তাফিজের আঘাত

তিনটি খরুচে ওভারের পর তাসকিন আহমেদকে সরিয়ে দিলেন তামিম ইকবাল। বল তুলে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে। আক্রমণে এসেই পাথুম নিসানকাকে ফিরিয়ে দিলেন বাঁহাতি এই পেসার।

লেংথ বল পুল করেছিলেন নিসানকা। কিন্তু বল যথেষ্ট বাউন্স না করায় ঠিক মতো টাইমিং করতে পারেননি। মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান আফিফ হোসেন। এক চারে ১৩ বলে ৮ রান করেন নিসানকা।

৮ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ২ উইকেটে ৪১। ক্রিজে অধিনায়ক কুসল পেরেরার সঙ্গী সহ-অধিনায়ক কুসল মেন্ডিস।   

প্রথম আঘাত মিরাজের

নতুন বলে দারুণ বোলিং করা মেহেদী হাসান মিরাজ এনে দিলেন প্রথম সাফল্য। ফিরিয়ে দিলেন দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় থাকা দানুশকা গুনাথিলাকাকে।

অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পের একটু বাইরের ফুল লেংথ ডেলিভারি বোলারের পাশ দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন গুনাথিলাকা। ঠিক মতো পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। সহজ ফিরতি ক্যাচ মুঠোয় জমান মিরাজ।

১৮ বলে পাঁচ চারে ২১ রান করেন গুনাথিলাকা।

৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩০। ক্রিজে কুসল পেরেরার সঙ্গী পাথুম নিসানকা।

রিভিউ হারাল বাংলাদেশ

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে একটি রিভিউ হারাল বালাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের ফুল লেংথ বল লাগে কুসল পেরেরার পায়ে। এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। অনেক আলোচনা করে শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। দেখা যায়, বল চলে যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে।

দুই রিভিউয়ের একটি হারাল বাংলাদেশ।

শ্রীলঙ্কাকে ২৫৮ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহর ফিফটিতে প্রথম ওয়ানডেতে লড়াইয়ের পুঁজি গড়েছে বাংলাদেশ। ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান করেছে স্বাগতিকরা।

রান হতে পারতো আরও বেশি। কিন্তু ডেথ ওভারে লঙ্কানদের দারুণ বোলিং আর বাংলাদেশের বাজে ব্যাটিং মিলিয়ে অন্তত ২০ রান কম হয়েছে। শেষ ১০ ওভারে বাংলাদেশ যোগ করতে পেরেছে কেবল ৬৪।

ফিনিশারের ভূমিকায় নেমে তিন চারে ২২ বলে ২৭ রান করেন আফিফ হোসেন। দুই চারে ১৩ রান করেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

অনিয়মিত অফ স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে। ২৩তম ওভারে পরপর দুই বলে তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ মিঠুনকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ডেথ ওভারে ২ ওভার বোলিং করে মাত্র ৭ রান দিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহর উইকেট।   

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫৭/৬ (তামিম ৫২, লিটন ০, সাকিব ১৫, মুশফিক ৮৪, মিঠুন ১, মাহমুদউল্লাহ ৫৪, আফিফ ২৭*, সাইফ ১৩*; উদানা ১০-১-৬৪-০, চামিরা ৮-০-৩৯-১, ধনাঞ্জয়া ১০-২-৪৫-৩, গুনাথিলাকা ২-০-৫-১, হাসারাঙ্গা ১০-০৪-৪৮-০, সান্দাক্যান ১০-০-৫৫-১)   

বোল্ড মাহমুদউল্লাহ

ডেথ ওভারে উঠেনি প্রত্যাশিত ঝড়। মাহদুউল্লাহ পারেননি পরিস্থিতির দাবি মেটাতে। ফিফটির পর ফিরে গেলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বোল্ড হয়ে।

ফুল লেংথ বলের লাইন মিস করেন মাহমুদউল্লাহ। অনিয়মিত অফ স্পিনার পেয়ে যান তৃতীয় উইকেট।

৭৪ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ডেথ ওভারে তার ব্যাট থেকে আসেনি কোনো বাউন্ডারি। 

৪৮ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ২৩৩। ক্রিজে আফিফ হোসেনের সঙ্গী মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

মাহমুদউল্লাহর ফিফটি

লড়াকু এক ফিফটিতে দলকে টানছেন মাহমুদউল্লাহ। ৬৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করা অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের কাজ শেষ হয়নি। শেষের ঝড়ের জন্য তার দিকেই তাকিয়ে দল।

ডেথ ওভারের প্রথম অর্ধটা ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। মুশফিকুর রহিমকে হারিয়ে যোগ করতে পেরেছে কেবল ২২। আড়াইশ ছাড়ানো একটা সংগ্রহ পেতে স্বাগতিকরা তাকিয়ে নির্ভরযোগ্য ফিনিশার মাহমুদউল্লাহর দিকে।

৪৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ২১৫। মাহমুদউল্লাহ ৭২ বলে ৫১ রানে ব্যাট করছেন। আফিফ হোসেনের রান ৫ বলে ২।

দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ফিরলেন মুশফিক

পরিস্থিতির দাবি মেটানোর চেষ্টায় ফিরলেন মুশফিকুর রহিম। লাকশান সান্দাক্যানকে রিভার্স সুইপ করে বাউন্ডারির চেষ্টায় ফিরলেন শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে।

জায়গা থেকে একটুও নড়তে হয়নি ইসুরু উদানার। সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান তিনি। ভাঙে ১২২ বল স্থায়ী ১০৯ রানের জুটি। ৮৭ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৮৪ রান করে ফিরেন মুশফিক।

৪৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ২১০ রান। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী আফিফ হোসেন। ফিনিশারের ভূমিকায় খেলা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান পেয়েছেন নিজের সামর্থ্য দেখানোর আদর্শ মঞ্চ।  

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে একশ

অনেকবারই জুটি গড়ে দলকে উদ্ধার করেছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। আরও একবার ত্রাতা এই দুই জনে। অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে গড়েছেন শত রানের জুটি।

১১৭ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেছে তাদের জুটির রান। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে তিন অঙ্ক ছোঁয়া জুটি আছে কেবল তিনটি জুটিতে।

ওয়ানডেতে দেশের দ্বিতীয় সফলতম জুটির দৃঢ়তায় দৃঢ় ভিতের উপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। ৪২ ওভারে স্বাগতিকদের স্কোর ১৯৯/৪।  

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে ভিত

দারুণ ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির পথে ছুটছেন মুশফিকুর রহিম। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পঞ্চাশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পথে তাদের জুটি। এই দুজনের ব্যাটে ভিত পেয়ে গেছে বাংলাদেশ।

৪০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১৯৩ রান। শেষ ২০ ওভারে স্বাগতিকরা যোগ করেছে ১১৪ রান। এতে বড় অবদান মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর। ১৭ ওভারে তাদের জুটিতে এসেছে ৯৪ রান।

৭৭ বলে ৭২ রানে ব্যাট করছেন মুশফিক। ৫৭ বলে মাহমুদউল্লাহর রান ৪৪। শেষ ১০ ওভারে ঝড় তোলার মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছেন অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান।   

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে পঞ্চাশ

পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশকে টানছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। ৬৪ বলে তাদের জুটি ছুঁয়েছে পঞ্চাশ।

বাংলাদেশের ইনিংসে এটি দ্বিতীয় পঞ্চাশ রানের জুটি। আগেরটিতেই ছিলেন মুশফিক, তৃতীয় উইকেট জুটিতে তার সঙ্গী ছিলেন অধিনায়ক তামিম।

৩৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১৫৩ রান। মুশফিক ৬১ বলে খেলছেন ৫৫ রানে। মাহমুদউল্লাহর রান ৩৭ বলে ২৩।

মুশফিকের ফিফটিতে বাংলাদেশের লড়াই

দলের বিপদে আবারও ত্রাতা মুশফিকুর রহিম। তামিম ইকবালের ফিফটির পর মাঝপথে দিক হারানো দলকে টানছেন অভিজ্ঞ এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। দারুণ আস্থার সঙ্গে ব্যাটিং করে পৌঁছে গেলেন ফিফটিতে। ওয়ানডেতে তার ক্যারিয়ারের ৪০তম। 

৫২ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় এসেছে মুশফিকের ফিফটি। আক্রমণে ফেরা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ইন সাইড আউটে চমৎকার এক বাউন্ডারিতে পঞ্চাশে যান এই কিপার-ব্যাটসম্যান।

মূলত এক-দুই করে নিয়েই এগোচ্ছেন মুশফিক। ডট খেলছেন কম। নিজের জোনে পেলেই কেবল মারছেন বাউন্ডারি। স্পিনের বিপক্ষে তার পায়ের ব্যবহার দারুণ। পরিস্থিতি বুঝে প্রিয় স্লগ সুই খেলা থেকে নিজেকে কিছুটা গুটিয়ে রেখেছেন তিনি।

৩২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৪১/৪। মুশফিক ৫৪ বলে ৫১ ও মাহমুদউল্লাহ ৩১ বলে ১৬ রানে খেলছেন।  

জুটি গড়ার চেষ্টায় মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ

পরপর দুই বলে তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ মিঠুনের ধাক্কা সামাল দিতে লড়াই করছেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে চেষ্টা করছেন জুটি গড়ে তুলতে।

৩১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৪ উইকেটে ১৩২। ৪৯ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ৪৩ রানে খেলছেন মুশফিক। ৩০ বলে এক ছক্কায় মাহমুদউল্লাহর রান ১৫। ৮ ওভারে তাদের জুটিতে এসেছে ৩৩ রান।

ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্পিনারদের দিয়ে বোলিং করাচ্ছেন লঙ্কান অধিনায়ক কুসল পেরেরা। অহেতুক কোনো ঝুঁকি নিচ্ছেন না মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। তবে ছাড়ছেন না নিজের জোনে বল পেলে।

ফিফটির পর আউট তামিম, শূন্যতেই শেষ মিঠুন

মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জমে গিয়েছিল জুটি। আগের ওভারে ফিফটি পেয়েছিলেন তামিম, জুটি ছুঁয়েছিল পঞ্চাশ। বাড়তে শুরু করেছিল রানের গতি। এমন সময়ে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন তামিম। পরের বলে প্যাডল সুইপের চেষ্টায় এলবিডব্লিউ হলেন মোহাম্মদ মিঠুন।

পরপর দুই বলে দুটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ। একই সঙ্গে হারাল দুটি রিভিউ। 

ধনাঞ্জয়ার বলের লাইন বুঝতে পারেননি তামিম। ইয়র্কার লেংথের বল তার ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে পায়ের নিচের দিকে। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি, ৭০ বলে ছয় চার ও এক ছক্কায় ৫২ রান করে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক।

ক্রিজে গিয়েই অফ স্পিনারের বলে প্যাডল সুইপ করেন মিঠুন। কোনো দরকার ছিল না এমন শটের। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নেন তিনিও, কিন্তু পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত। গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পাওয়া মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ফিরেন শেষ রিভিউটাও নষ্ট করে।

২৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৯৯/৪। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ। অনেকবার দলকে রক্ষা করা দুই ব্যাটসম্যানের কাঁধে আবারও বাংলাদেশকে টেনে তোলার দায়িত্ব।   

দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তামিমের ফিফটি

গত চার-পাঁচ বছর ধরে যেভাবে ব্যাটিং করছি, সেভাবেই ব্যাটিং করব- সিরিজ শুরুর আগেই বলেছিলেন তামিম ইকবাল। ঠিক সেভাবেই ব্যাটিং করে দলকে টানছেন অধিনায়ক। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে করেছেন ফিফটি।

২২তম ওভারে লাকশান সান্দাক্যানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৬৬ বলে পঞ্চাশ পৌঁছান তামিম। সবশেষ ৯ ইনিংসে তার ষষ্ঠ পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস।  

ফিফটি করার পথে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ছয়টি চার ও একটি ছক্কা। ক্রমেই মন্থর হয়ে যাওয়া উইকেটে বাঁহাতি এই ওপেনারই সচল রেখেছেন রানের চাকা।  

তামিম-মুশফিকের জুটিতে বাংলাদেশের লড়াই

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মন্থর হচ্ছে উইকেট। উইকেটের আচরণ বুঝে স্পিনারদের দিয়ে বোলিং করাচ্ছেন লঙ্কান অধিনায়ক। কঠিন হয়ে যাচ্ছে রানের পথ। এর মধ্যেই জুটি গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গত পাঁচ বছরে দেশের সফলতম দুই ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল।

২০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেট হারিয়ে ৭৯। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা করেছিল ৪০ রান। 

৬১ বলে ৪৩ রানে খেলছেন তামিম। ২৩ বলে মুশফিকের রান ১৬। তাদের জুটিতে এসেছে ৩৬ রান।

২০তম ওভারে এসেছে ম্যাচের প্রথম ছক্কা। রিস্ট স্পিনার লাকশান সান্দাক্যানকে লং অন দিয়ে উড়িয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান তামিম। মুশফিক খেলে যাচ্ছেন নিজের মতো করে।

বাংলাদেশের ফিফটি

মন্থর উইকেটে বাংলাদেশের ইনিংসও এগিয়ে চলছে ধীরগতিতে। দুশমন্থ চামিরার বলে তামিম ইকবালের সিঙ্গেলে দলের রান পঞ্চাশ স্পর্শ করেছে ১৩.৫ ওভারে।

হাঁসফাঁস করে শেষ সাকিব

উইকেটে বেশ কিছুক্ষণ কাটিয়েও ছন্দ পাচ্ছিলেন না সাকিব আল হাসান। ধুঁকছিলেন রান বের করতে। শেষ পর্যন্ত ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে শট খেলে তিনি বিলিয়ে এলেন উইকেট।

ত্রয়োদশ ওভারের সেটি প্রথম বল। দানুশকা গুনাথিলাকার ফ্লাইটেড বলটিতে বেরিয়ে এসে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু বলের কাছে যেতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় লং অনে পাথুম নিসানকার হাতে।

সাকিবের অস্বস্তিময় ইনিংস শেষ ৩৪ বলে ১৫ রান করে। থামল তামিম ইকবালের সঙ্গে তার ৬৪ বলে ৩৮ রানের জুটি।

১২.১ ওভারে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৪৩।

আত্মবিশ্বাসী তামিম, সাবধানী সাকিব

শুরুতেই উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশকে টানছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলছেন অধিনায়ক তামিম। গিয়েই বাউন্ডারিতে রানের খাতা খোলা সাকিব এগোচ্ছেন সাবধানী ব্যাটিংয়ে।

পাওয়ার প্লেতে ১০ ওভারে লিটন দাসকে হারিয়ে ৪০ রান করেছে বাংলাদেশ। ২৮ বলে চার বাউন্ডারিতে ২৩ রানে ব্যাট করছেন তামিম। ২৯ বলে দুই চারে ১৩ রানে খেলছেন সাকিব।

উইকেটে শুরুতে বেশ বাউন্স আছে। দুই পেসার ইসুরু উদানা ও দুশমন্থ চামিরা বেশ সুইং পেয়েছেন। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকায় মূল স্পিনারদের আগে অনিয়মিত অফ স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে বোলিংয়ে এনেছেন লঙ্কান অধিনায়ক। ২ ওভারে কেবল ৪ রান দিয়েছেন ধনাঞ্জয়া।  

নিজের মতো করেই খেলে যাচ্ছেন তামিম। প্রথম ওভারেই উদানার বলে বাউন্ডারি মেরে খুলেন রানের খাতা। লঙ্কান পেসারকে নবম ওভারে মারেন টানা দুই চার। টাইমিং পেতে একটু সংগ্রাম করছেন সাকিব।

শূন্যতেই শেষ লিটন

আগের ৬ ওয়ানডেতে ব্যর্থ লিটন দাস এবার রানের খাতাই খুলতে পারলেন না। ৪৩ ইনিংসে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের সপ্তম শূন্য, সবশেষ সাত ইনিংসে তৃতীয়।

দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে শ্রীলঙ্কাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন দুশমন্থ চামিরা। বলটা এমন আহামরি কিছু ছিল না। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ বল, স্লটেই পেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু একটু আউট সুইং করা বলে ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি তিনি। প্রথম স্লিপে চমৎকার ক্যাচ মুঠোয় নেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

সেই ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খোলেন তিনে ফেরা সাকিব আল হাসান। আগের ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারিতে রানের দেখা পান তামিম ইকবালও।

২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১ উইকেটে ৯।

শ্রীলঙ্কা দলে নেই ডিকভেলা-দনাঞ্জয়া

প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও প্রথম ওয়ানডেতে দলে জায়গা হয়নি কিপার-ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকভেলার। অধিনায়ক ও ওপেনার কুসল পেরেরাই দাঁড়াবেন উইকেটের পেছনে। এই ম্যাচ দিয়ে নেতৃত্বের অভিষেক হচ্ছে বিস্ফোরক এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের।

বাংলাদেশের বিপক্ষে রেকর্ড বেশ ভালো আকিলা দনাঞ্জয়ার। একাদশে জায়গা হয়নি তারও। দলের মূল দুই স্পিনার ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ও লাকশান সান্দাক্যান। দুই জনই রিস্ট স্পিনার।    

শ্রীলঙ্কা: কুসল পেরেরা (অধিনায়ক), কুসল মেন্ডিস (সহ-অধিনায়ক), দানুশকা গুনাথিলাকা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, পাথুম নিসানকা, দাসুন শানাকা, আশেন বান্দারা, ভানিন্দু হাসারাঙ্গা, ইসুরু উদানা, দুশমন্থ চামিরা, লাকসান সান্দাক্যান।

সুযোগ পেলেন আফিফ

ফিনিশারের ভূমিকায় খেলার লড়াইয়ে ছিলেন তিন জন। মেহেদি হাসান ও মোসাদ্দেক হোসেনকে পেছনে ফেলে প্রথম সুযোগটা পেলেন আফিফ হোসেন।

অনুমিতভাবে একাদশে ফিরেছেন নিউ জিল্যান্ড সিরিজে বিশ্রামে থাকা সাকিব আল হাসান। সেই সিরিজে তিনে ব্যাটিং করা সৌম্য সরকার জায়গা হারিয়েছেন একাদশে। 

বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতেছেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিয়েছেন ব্যাটিং।

শ্রীলঙ্কা দলে করোনাভাইরাসের হানা

প্রথম ওয়ানডে শুরুর আগে প্রথম কোভিড পরীক্ষায় শ্রীলঙ্কার তিনজন পজিটিভ হওয়ার খবর আসে। তবে ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা দুয়েক আগে পাওয়া দ্বিতীয় পরীক্ষায় জানা যায় পজিটিভ কেবল একজন। এরপর বিসিবি জানায়, আইসিসির প্রটোকল অনুযায়ী খেলা চালাতে সমস্যা নেই।

শঙ্কা ও অনিশ্চয়তার পর অবশেষে সময়মতোই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ।

ম্যাচের আগের দিন নিয়মিত কোভিড পরীক্ষায় পজিটিভ হন শ্রীলঙ্কার বোলিং কোচ চামিন্দা ভাস, দুই পেসার ইসুরু উদানা ও শিরান ফার্নান্দো। পরে দ্বিতীয় পিসিআর পরীক্ষায় ভাস ও উদানার নেগেটিভ আসে। আবারও পজিটিভ আসে ফার্নান্দোর ফল। নিয়ম অনুযায়ী তাকে আইসোলেশনে রেখে চলবে সিরিজের কার্যক্রম।

সুপার লিগের পয়েন্টের লড়াই

বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশড করে আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ড সফরে হয় উল্টো অভিজ্ঞতা। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে রয়েছে দলটি। সিরিজে দুটি জয় দলকে নিয়ে যাবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।

সুপার লিগে এখনও কোনো পয়েন্ট পায়নি শ্রীলঙ্কা। উল্টো মন্থর ওভার রেটের জন্য হারিয়েছে দুই পয়েন্ট।  

২০২৩ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দলের চেহারা আমূল পাল্টে ফেলেছে ১৯৯৬ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। কুসল পেরেরা ও কুসল মেন্ডিসের নেতৃত্বে তারুণ্য নির্ভর একটি দল নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে তারা।