শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগের দিন শনিবার সকালে বাংলাদেশের অনুশীলন পর্ব শুরু হলো ক্যাচিং দিয়ে। সেই অনুশীলনেই ক্যাচ পড়ল দেদার। বেশ নির্ভরযোগ্য বলে পরিচিত ফিল্ডাররাও হাতছাড়া করলেন সহজ কিছু ক্যাচ।
অনুশীলনে এমন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে সাম্প্রতিক অতীতের ফিল্ডিংয়ের চিত্র যখন হতাশার, তখন অনুশীলনের এই অবস্থা ভবিষ্যৎ নিয়েও জাগায় শঙ্কা।
ফিল্ডিং অনুশীলনে বেশ সক্রিয় ভূমিকাই ছিল ডমিঙ্গোর। পরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বললেন, ফিল্ডিংয়ের ভুল নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি উল্টো ডেকে আনতে পারে বিপদ।
“আমার মনে হয় না, ফিল্ডিং নিয়ে কোচের ভিন্ন কিছু করার আছে। খেলাটির অন্য সবকিছুর মতো ফিল্ডিং ব্যাপারটি হলো আত্মবিশ্বাসের। যতই এটি নিয়ে কথা বলবেন, কখনও কখনও তা ততই কঠিন হবে। আমরা আমাদের দুর্দান্ত ফিল্ডিং পারফরম্যান্সগুলোর কথা মনে করতে পারি, সেসবে মনোযোগ দিতে পারি ও সেখান থেকে ইতিবাচক দিকগুলো নিতে পারি।”
“দারুণ সব ক্যাচ আমরা নিয়েছি এবং রান আউট করেছি। সেসব আরও ধারাবাহিকভাবে করতে হবে আমাদের। ভুলগুলি নিয়ে বেশি ভাবলে চলবে না।”
ডমিঙ্গোর চাওয়া, ফিল্ডিংয়ের ভুলগুলো ভুলে মানসিকভাবে চাঙা থেকে যেন মাঠে নামে দল।
“কোনো কোনো দলের অসাধারণ কিছু ফিল্ডার থাকে, কোনো কোনো দলের থাকে কিছু গড়পড়তা ফিল্ডার। ব্যাপারটি হলো সঠিক জায়গায় সঠিক ফিল্ডারকে রাখা। যেমনটি বললাম, ব্যাটিং-বোলিংয়ের মতো ফিল্ডিংও আত্মবিশ্বাসের ব্যাপার। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন মানসিকভাবে খুব ভালো অবস্থায় থেকে এই সিরিজে খেলতে নামি। নিজেদের ওপর যেন আস্থা রাখি এবং বিশ্বাস রাখি যে চাপের মধ্যে আমরা ভালো ফিল্ডিং দল।”
বাংলাদেশের জন্য ফিল্ডিং যেখানে বড় মাথাব্যথার কারণ, শ্রীলঙ্কার সেখানে ফিল্ডিংই বড় শক্তি। নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে নতুন চেহারার দল অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও ফিল্ডিং নিয়ে বড় আশার কথা শোনালেন অধিনায়ক কুসল পেরেরা।
“আমার মনে হয়, আমাদের ফিল্ডিংয়ের সামর্থ্য আছে এই সিরিজে বড় প্রভাব রাখার।”