কোচদের অনুপস্থিতিতে উতরে যাওয়ার আশায় বাংলাদেশ

স্পিন বোলিং কোচ অনেক দিন ধরেই নেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে নেই পেস বোলিং ও ফিল্ডিং কোচও। বিষয়টি মোটেও আদর্শ নয়। তবে অভিজ্ঞতার জোরে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশের প্রধান কোচের বিশ্বাস, দেশের মাটির সিরিজে কোচদের অনুপস্থিতি ততটা প্রভাব ফেলবে না।

বছরের শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ড্যানিয়েল ভেটোরিকে পায়নি বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ড সফরে অবশ্য দেশটির সাবেক এই বাহাঁতি স্পিনারকে পেয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদরা।

ভেটোরির অনুপস্থিতিতে কদিন আগে শ্রীলঙ্কা সফরে দলের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় কোচ সোহেল ইসলাম। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকতে এই সিরিজে নেই তিনিও। পারিবারিক কারণে নেই পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন ও ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। তাদের অনুপস্থিতিতে অনুশীলনে সহায়তা করছেন দুই স্থানীয় কোচ মিজানুর রহমান বাবুল ও তালহা জুবায়ের। দুই জনই বাংলাদেশের সাবেক পেসার।   

নিয়মিত কোচদের অনুপস্থিতিতে অনেক দিকই সামাল দিতে হচ্ছে প্রধান কোচ ডমিঙ্গোকে। শনিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, গিবসন-কুকদের অনুপস্থিতিতে যথাসাধ্য ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছেন ক্রিকেটাররা। 

“ছেলেরা গত দিন ধরে ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছে। কোচিং স্টাফদের প্রায় সবাইকে ছাড়া ব্যাপারটা আদর্শ নয়। তবে ঘরোয়া কোচ বাবুল, তালহা আছে, তারা খুব সহায়তা করছে।”

“ছেলেরা অনেক দিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আছে, ওরা জানে প্রস্তুতির জন্য কী প্রয়োজন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিক থেকে প্রধান কোচের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে মাঠের সব সিদ্ধান্ত অধিনায়কই নেয়। আমার মনে হয় না, কোচদের না থাকাটা আমাদের খুব একটা প্রভাবিত করবে।”

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।