রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএলে এবার ৭ ম্যাচে ২৮ গড়ে মুস্তাফিজ নেন ৮ উইকেট। এই পরিসংখ্যান ফুটিয়ে তুলতে পারছে না তার বোলিংয়ের আসল চিত্র। ব্যাটসম্যানদের বেশ ভুগিয়েছেন মুস্তাফিজ। পিচ থেকেও পেয়েছেন কিছুটা সহায়তা। ফিল্ডাররা সহজ-কঠিন কিছু সুযোগ নষ্ট না করলে তার উইকেট বাড়তে পারতো আরও।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আইপিএল থমকে যাওয়ার আগে মুস্তাফিজের বোলিংয়ে বেশ কিছু বৈচিত্র্য দেখা গেছে। ‘ব্যাক অব দা হ্যান্ড’ স্লোয়ার করেছেন, স্লোয়ার ইয়র্কার করেছেন, তার বোলিংয়ে যা দেখা যায়নি আগে। প্রায় হারিয়ে ফেলা সেই ইয়র্কারের ঝলকও কিছুটা দেখা গেছে।
মুস্তাফিজের এই চেহারা আশান্বিত করছে বাংলাদেশ দলকে। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার তামিম বললেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজেও দেখতে চান এই বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা।
“মুস্তাফিজ সব সময়ই আমাদের জন্য বিরাট অস্ত্র। যে ধরনের বোলিং সে আইপিএলে করে, তা দারুণ, আমরা সবাই চাই সে এভাবে বোলিং করুক। কিন্তু সঙ্গে কিছু দেখতে হবে যে, সে উইকেট থেকে সাহায্য পেয়েছিল, কোনো সন্দেহ নেই সে বোলিংটাও ভালো করেছে। এভাবে যদি হয়, তাহলে বাংলাদেশ দলই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে।”
আগামী রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে প্রথম ওয়ানডে।