প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা একজন ক্রিকেটারকে সরিয়ে জায়গা পেতে হবে, বাউচারের মতে এই ব্যাপারটা ভালোভাবে নিতে পারেননি ডি ভিলিয়ার্স।
“এবির নিজস্ব কারণ রয়েছে, যেটা আমি সম্মান করি। দুর্ভাগ্যবশত, সে আর ভাবনায় নেই। আমি দুর্ভাগ্য বলছি, কারণ আমার মনে হয় আমরা সবাই সম্মত যে, ক্রিকেট বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় না হলেও এখনও সেরাদের একজন সে।”
“যারা সিস্টেমের অংশ, তাদের একজনের জায়গা নেওয়ার বিষয়টা ভালোভাবে নিতে পারছিল না সে। আমার ধারনা, বিষয়টাতে সে স্বস্তি পাচ্ছিল না। তবে কোচ হিসেবে আমার চেষ্টা করা দরকার ছিল, আমাদের সেরা খেলোয়াড়কে দলে ও এই পরিবেশে আনার। এবি যেকোনো পরিবেশে প্রাণশক্তি, উদ্যম বাড়িয়ে দেয়। আমি তার যুক্তিকে সম্মান করছি। চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তবে এখন এগিয়ে যেতে হবে।”
ওই বছরের শেষ দিকে বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে গ্রায়েম স্মিথ ও দলের প্রধান কোচ হিসেবে বাউচার দায়িত্ব নেওয়ার পর আবার ডি ভিলিয়ার্সের ফেরার গুঞ্জন শুরু হয়। এবার মূলত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরে। তবে করোনাভাইরাসের হানায় বিশ্বকাপ পিছিয়ে গেলে তার ফেরার আয়োজনও থমকে যায়।
আইপিএলের গত আসর চলাকালে বাউচারের সঙ্গে ডি ভিলিয়ার্সের ইতিবাচক আলোচনা হয়। গত মাসে আইপিএল চলার সময়ও জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে তাকে বেশ উৎসাহী মনে হয়েছিল।
কিন্তু মঙ্গলবার ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা নিশ্চিত করে, এসব কিছুর সমাপ্তি টেনেছেন ডি ভিলিয়ার্স। সাবেক অধিনায়কের অবসরের সিদ্ধান্ত পাকাপাকিভাবেই থেকে যাচ্ছে। ডি ভিলিয়ার্স কারণ স্পষ্ট না করলেও বাউচার ঠিকই বুঝতে পারছেন তার যুক্তি।