ঠিক সময়ে লিগ হয়ে গেলে এবারও খেলা হতো না সাকিবের। দল-বদলের সময় তিনি ছিলেন নিষিদ্ধ। স্বাভাবিকভাবেই তাকে নেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত বছরের মার্চে এক রাউন্ড হয়েই থমকে যায় একদিনের ম্যাচের ক্রিকেটে দেশের মূল এই টুর্নামেন্ট।
লম্বা বিরতির পর অবশেষে আগামী ৩১ মে নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। সংস্করণ বদলে এবার খেলা হবে টি-টোয়েন্টিতে। গত বছর শুরু হওয়া টুর্নামেন্টেরই ধারাবাহিকতা এটি, ২০১৯-২০ মৌসুমের লিগ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে গত মার্চে ৫০ ওভারের সংস্করণে শুরু হওয়া লিগের ওই এক রাউন্ড বাতিল হয়ে যাবে পুরোপুরি।
আইপিএল থেকে ফিরে এবার এই টুর্নামেন্টে মোহামেডানের হয়ে খেলার আগ্রহ জানান সাকিব। যদিও এই লিগের সময় পাকিস্তান সুপার লিগও চলবে, যেখানে তাকে নিলাম থেকে নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। তবে সাকিব সেটি বাদ দিয়ে বেছে নেন ঢাকা লিগই।
টুর্নামেন্টের আয়োজক ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) এরই মধ্যে তাকে খেলার অনুমতিও দিয়েছে। সিসিডিএমের সদস্য সচিব আলী হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সব দিক বিবেচনা করেই সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন তারা।
“ঈদের আগের দিন আমাদের কাছে একটা আবেদন জমা পড়ে। মোহামেডানের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে খেলতে চান সাকিব।”
“এর মাঝে ঈদের ছুটির জন্য অফিস বন্ধ ছিল। খোলার পর আমরা সব দিক বিবেচনা করেছি। গত দুই লিগে সাকিবের কোনো দল ছিল না, ফ্রি একজন খেলোয়াড় হিসেবে তার মোহামেডানের হয়ে খেলতে কোনো বাধা নেই। গতকালই আমরা তাকে টুর্নামেন্টে খেলার অনুমতি দিয়েছি।”
সবশেষ ২০১৬ সালে প্রিমিয়ার লিগে খেলেন সাকিব। সেই আসরের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর হয়ে ৮ ম্যাচে ১৩.৭৭ গড়ে বাঁহাতি এই স্পিনার নেন ১৮ উইকেট। একবার করে নেন চার ও পাঁচ উইকেট। ৭ ইনিংসে ৩০ গড় ও ১৩১ স্ট্রাইক রেটে রান করেন ২১০।
আলী হোসেন জানান, বিকেএসপিতে হবে ঢাকা লিগের সব ম্যাচ। বিসিবির খরচে প্রতিটি দল থাকবে জৈব সুরক্ষা বলয়ে।