‘আমি অন্তত ম্যাচ ফিক্সার নই’, বাটকে ভনের খোঁচা

সালমান বাটের ইটের জবাবে পাটকেল ছুঁড়তে খুব বেশি সময় নিলেন না মাইকেল ভন। বাটের কলঙ্কময় অতীতের প্রসঙ্গ টেনে ভন বললেন, তিনি অন্তত ক্রিকেট খেলাকে কলুষিত করেননি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2021, 11:58 AM
Updated : 16 May 2021, 12:03 PM

বিতর্কের সূত্রপাত ভনের একটি মন্তব্য থেকে, যেখানে তিনি তুলনা করেন বিরাট কোহলি ও কেন উইলিয়ামসনের। সেই আলোচনায় বাট ঢুকে পড়েন অনেকটা বাইরে থেকেই। বিতর্ক তাই নেয় নতুন মোড়।

নিউ জিল্যান্ডের স্পার্ক স্পোর্টে আলোচনায় সম্প্রতি ভন বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইক ও ক্লিকের আশায় সবাই কোহলিকে বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান বলেন। অন্য কাউকে সেরা বললে ভারতীয়দের কাছে অন্তর্জালে তুলাধুনা হতে হয়। ভনের মতে, তিন সংস্করণ মিলিয়ে ব্যাটসম্যান হিসেবে উইলিয়ামসন আছেন কোহলির সমান্তরালেই এবং ভারতীয় হলে উইলিয়ামসনকেই বিশ্বসেরা বলা হতো।

ভনের মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের ঢেউ তোলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ক্রিকেট সমর্থকদের পাশাপাশি সেই আলোচনায় যোগ দেন বাটও। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক বলেন, কোহলি ও উইলিয়ামসনের তুলনা করার মতো যোগ্য নন ভন।

“দুজনের তুলনা করেছে কে? মাইকেল ভন। ইংল্যান্ডের হয়ে সে দুর্দান্ত অধিনায়ক ছিল। কিন্তু সে যেখানে ব্যাট করত, সেখানকার দাবি মেটাতে পারেনি। টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে ভালো ছিল, কিন্তু ওয়ানডেতে একটি সেঞ্চুরিও করতে পারেনি।”

“কোহলির ৭০টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি আছে, ভনের ওয়ানডেতে একটিও নেই। কোনো ওপেনার যখন সেঞ্চুরিই করতে পারে না, সেখানে আলোচনারই কিছু নেই। ব্যাপারটি হলো, স্রেফ হাবিজাবি বলে বিতর্ক ছড়ানোর প্রবণতা আছে তার। লোকেরও অনেক সময় আছে সেই বিতর্ক টেনে লম্বা করার।”

ইংল্যান্ডের হয়ে ৮২ টেস্টে ১৮ সেঞ্চুরি করলেও ৮৬ ওয়ানডেতে কোনো সেঞ্চুরি নেই ভনের। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে তার ফিফটি ১৬টি, গড় ২৭.১৫। বাটের ইঙ্গিত সেদিকেই।

বাটের সেই মন্তব্য দেখে ভন পাল্টা তির ছুঁড়েন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

“আমি দেখেছি, সালমান আমাকে নিয়ে কী বলেছে। কোনো সমস্যা নেই, নিজের মতামত সে জানাতেই পারে। তবে খুব ভালো হতো, যদি ২০১০ সালে ম্যাচ ফিক্সিং করার সময়ও তার চিন্তাভাবনায় এই স্বচ্ছতা থাকত।”

“তুমি বলতে ভুলে গেছো, আমি অন্তত ম্যাচ ফিক্সার ছিলাম না, আমাদের দারুণ খেলাটিকে দূষিত করিনি…।”

২০১০ সালে ইংল্যান্ডে মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ধরা পড়েন সেই সময়ের পাকিস্তান অধিনায়ক বাট। তিন জনকেই জেলে যেতে হয়েছিল। ৫ বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ মোট ১০ বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বাট। পরে নিষেধাজ্ঞা শেষে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে দারুণ পারফর্ম করলেও অন্ধকার অতীতের জন্য তাকে আর জাতীয় দলে নেওয়া হয়নি।