আগামী মাসের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে নিউ জিল্যান্ড। সব ঠিকঠাক থাকলে, সেই সিরিজেই টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হবে কনওয়ের। এরপর ১৮ জুন শুরু হবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল।
ইংল্যান্ডের উইকেটে এমনিতে স্পিনারদের সহায়তা খুব একটা থাকে না। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের ভেন্যু সাউথ্যাম্পটনে উইকেট অনেক সময়ই বেশ মন্থর থাকে। ম্যাচে সময় গড়ানোর সঙ্গে স্পিন উপযোগীও হয়ে ওঠে অনেক সময়।
ভারতের ২০ সদস্যের স্কোয়াডে দুই অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার পাশাপাশি স্পিনার আছেন আরও দুজন-ওয়াশিংটন সুন্দর ও আকসার প্যাটেল।
এই স্পিন আক্রমণ সামলানোর জন্য নিজের বিশেষ প্রস্তুতির কথা কনওয়ে শোনালেন স্পার্ক স্পোর্টকে। উইকেটে ‘কিটি লিটার’ ছড়িয়ে দিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করছেন তিনি।
“এটি করার পেছনে মূল ভাবনা হলো, বল যেন উইকেটে ক্ষত থেকে ছোবল দেয়। এভাবে খেলা বেশ কঠিন, তবে খুব ভালো অনুশীলন হচ্ছে। ব্যাপারটি হলো, স্পিনের মোকাবেলার জন্য পরিকল্পনা বের করা ও ম্যাচে কিভাবে খেলব, সেটির অনুশীলন করা।”
‘কিটি লিটার’ হলো এক ধরনের গুঁড়া মাটি, যা কুকুর-বিড়াল বা অন্য পোষা প্রাণীদের বর্জ্য শুষে নেয়।
কনওয়ে বললেন, স্পিনের বিপক্ষে যতটা সম্ভব ইতিবাচক থাকতে চান তিনি।
“উইকেটে যখন ক্ষত তৈরি হয়, বল তখন লাফায়, ছোবল দেয় এবং অনেক টার্ন করে। তখন তাই ইতিবাচক থাকতে হয়। যদি সবসময় ডিফেন্স করার চেষ্টাই থাকে, একটা পর্যায়ে কোনো একটি বল পতন ডেকে আনবে।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা কনওয়ে নিউ জিল্যান্ডে থিতু হওয়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের জোয়ার বইয়ে দিয়ে জায়গা পেয়েছেন কিউইদের জাতীয় দলে। চলতি মৌসুমেই তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে। আবির্ভাবেই সাড়া জাগিয়েছেন তিনি অসাধারণ পারফরম্যান্সে।
এখনও পর্যন্ত ১৪ টি-টোয়েন্টি খেলে ৫৯.১২ গড় ও ১৫১.১১ স্ট্রাইক রেটে তার রান ৪৭৩। অভিষেক ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যান অব দা সিরিজ হয়েছেন তিন ম্যাচে ৭৫ গড়ে ২২৫ রান করে। এরপর জায়গা করে নিয়েছেন ইংল্যান্ড সফরে নিউ জিল্যান্ডের টেস্ট স্কোয়াডেও। টেস্ট ক্যাপ পাওয়াও কেবল সময়ের ব্যাপার।
নিউ জিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে তার পারফরম্যান্স দুর্দান্ত। ওয়েলিংটনের হয়ে ২২ ম্যাচে ৬৬.২৫ গড়ে তার রান দুই হাজারের বেশি, খেলেছেন ৩২৭ রানের ইনিংসও।