সিলভারউডের অনুপস্থিতিতে একটি করে সিরিজে প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করবেন দলের দুই সহকারী কোচ পল কলিংউড ও গ্রাহাম থর্প।
গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত সফরে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের বেশ কজনকে বিশ্রাম দিয়ে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলায় ইংল্যান্ড। দলের পারফরম্যান্সে এটির প্রভাব পড়ে স্পষ্টই। এই নীতি নিয়ে তখন সমালোচনাও হয় তুমুল। কিন্তু এই সময়ের ব্যস্ত সূচিতে ক্রিকেটারদের চোটমুক্ত ও চাঙা রাখতে এই নীতি জরুরি বলেই মনে করে ইংল্যান্ডের বোর্ড।
দল মাঠে থাকার সময় কোচের বিশ্রামে থাকা যদিও পছন্দ নয় সিলভারউডের, তবে সময়ের বাস্তবতা তিনি মেনে নিচ্ছেন।
“ অস্বীকার করব না, আমার জন্য দূরে থাকাটা সহজ নয়। তবে আমাদের দল সংশ্লিষ্টদের যতটা সম্ভব তরতাজা রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি শতভাগ দিতে না পারি, ক্রিকেটারদের প্রতি তা অন্যায়। নিজের প্রতিও ঠিক নয়। যে পর্যায়ের কাজ করার প্রয়োজন, যা আমি করতে পারব না।”
“ গত শীত মৌসুমে আপনারা দেখেছেন, আমাদের ক্রিকেটারদের সঙ্গেও আমরা এটার চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব। কোচিং স্টাফদের সঙ্গে এটা করা সমানভাবেই জরুরি। পরস্পরের দেখভাল করা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য।”
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি হবে আগামী জুন-জুলাইয়ে, পাকিস্তানের বিপক্ষে সমান ম্যাচের সিরিজ জুলাইয়ে।
টেস্ট সিরিজের সময় প্রধান কোচকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ নেই, সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বলে এই সংস্করণেও কোচের থাকা জরুরি। তাই ওয়ানডে সিরিজকেই বিশ্রামের জন্য বেছে নিয়েছে ইংল্যান্ডের বোর্ড।