বাংলাদেশের বিপক্ষে ভয়ডরহীন ক্রিকেটের মন্ত্র পেরেরার

দায়িত্ব পেয়েই দল নিয়ে নিজের ভাবনা জানিয়ে দিলেন শ্রীলঙ্কার নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক কুসল পেরেরা। খেলতে চান ভয়ডরহীন আর আগ্রাসী ক্রিকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে সতীর্থদের মাঝে এই বার্তাই ছড়িয়ে দিলেন তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2021, 05:32 PM
Updated : 13 May 2021, 05:32 PM

একগাদা পরিবর্তন এনে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের জন্য বুধবার ১৮ জনের দল দেয় শ্রীলঙ্কা। আগের অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে, অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দিনেশ চান্দিমালসহ নিয়মিত খেলোয়াড়দের অনেকেই নেই দলে। পেরেরা মাঝে দলেই ছিলেন না, এক বছরের বেশি সময় পর তিনিই দলে ফিরেছেন অধিনায়ক হয়ে।

এই সংস্করণে শ্রীলঙ্কার সময়টা ভালো যাচ্ছে না। র‍্যাঙ্কিংয়ে নেমে গেছে ৯ নম্বরে। সবশেষ সিরিজে গত মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হোয়াইটওয়াশড হয় ৩-০ ব্যবধানে।

আইসিসি ওয়ানডে লিগে এখনও মেলেনি কোনো পয়েন্ট। উল্টো মন্থর ওভার রেটের জন্য কাটা পড়েছে ২ পয়েন্ট। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া শ্রীলঙ্কা। এজন্য সতীর্থদের কাছে নিজের চাওয়াটাও জানিয়ে দিলেন পেরেরা।

“ম্যাচ জিততে আমাদের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। হারের ভয় পেলে চলবে না। কেউ দলে নিজের জায়গা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকলে শতভাগ দিতে পারবে না। খেলোয়াড়দের আমি যা বলতে চাই, তা হলো সবকিছু উজাড় করে দাও।”

“আমরা যদি নির্ভয়ে খেলি, এমনকি সেটা অনুশীলনেও, তাহলে মূল ম্যাচেও একইভাবে খেলা সম্ভব হবে। আর এটাই আমি দলের সবাইকে বলেছি। যদি আমরা ভয় পাই তাহলে আরও পিছিয়ে পড়ব। দলের মধ্যে আমি এমন একটি সংস্কৃতি গড়ে তোলার চেষ্টা করছি, যেখানে খেলোয়াড়দের অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস থাকবে।”

পেরেরা নিজে আগ্রাসী ব্যাটসম্যান। ২০১৯ সালে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে তার ২০০ বলে অপরাজিত ১৫৩ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস জায়গা করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডেতে তিনি ফিফটি করেছিলেন ১৭ বলে, এই সংস্করণে যা যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম।

“ব্যক্তিগতভাবে সত্যিই আমি ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে চাই। আমার সাফল্যও এখানেই। যখনই আমি ভয় নিয়ে খেলেছি, ভালো করতে পারিনি। আমি চাই অন্যরাও এইরকম খেলুক।”

ওয়ানডেতে সব মিলিয়ে পেরেরার ক্যারিয়ার রেকর্ড অবশ্য ততটা সমৃদ্ধ নয়। ১৯৬ ইনিংসে ২ হাজার ৮২৫ রান করেছেন ৩১.০৪ গড় ও ৯২.০৪ স্ট্রাইক রেটে। তার বিশ্বাস, নেতৃত্বের দায়িত্ব তাকে বড় ইনিংস খেলতে সহায়তা করবে।

“আমাকে নির্বাচিত করার সময় নির্বাচকরা বলেছেন যে, আমি প্রায়ই ৫০ বা ৬০ রান করে তা সেঞ্চুরিতে রূপান্তর না করে আউট হয়েছি। আমি তা মেনে নিয়েছি। যদি আমি সেঞ্চুরি করি, তাহলে ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। নির্বাচকরাও আমার কাছে সেটাই চান।”

আগামী ২৩, ২৫ ও ২৮ মে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচ তিনটি। এই সিরিজ দিয়ে ওয়ানডেতে শেষ পাঁচ বছরের মধ্যে নবম লঙ্কান অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু করবেন পেরেরা।