সেই রমেশ পাওয়ার আবারও মিতালিদের কোচ

অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মিতালি রাজের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে শেষ হয়েছিল ভারত নারী দলের কোচ হিসেবে রমেশ পাওয়ারের প্রথম অধ্যায়। আড়াই বছর পর আবারও দলটির কোচ হয়ে ফিরলেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 May 2021, 03:45 PM
Updated : 13 May 2021, 03:45 PM

তখন পাওয়ারের উত্তরসূরি হয়েছিলেন ডব্লিউভি রামন। এবার তারই স্থলাভিষিক্ত হলেন পাওয়ার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআই বৃহস্পতিবার বিবৃতিতে তাকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি জানায়। 

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দায়িত্ব পাওয়া রামনের কোচিংয়ে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে ভারত। যেখানে তারা হেরে যায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। এর পরপরই বিশ্বজুড়ে আঘাত হানে করোনাভাইরাস।

বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের আগ পর্যন্ত কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি ভারতের মেয়েরা। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ৪-১ ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে তারা। এতেই মূলত বিদায় ঘণ্টা বাজে রামনের। 

গত মাসের মাঝামাঝি দুই বছরের জন্য কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বিসিসিআই। যেখানে পাওয়ার-রামনসহ আবেদন করেন ৩৫ জন। সেখান থেকে সাবেক অফ স্পিনারকে বেছে নেয় তিন সদস্যের (মদন লাল, আরপি সিং ও সুলক্ষনা নায়েক) ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি।

পাওয়ার প্রথমবার এই দায়িত্ব পেয়েছিলেন ২০১৮ সালের জুলাইয়ে অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে। এরপর তার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০১৮ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ওই আসরের সেমি-ফাইনালে উঠেছিল ভারত।

এরপরই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন পাওয়ার ও মিতালি। তখন মিতালি প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, পাওয়ারের আচরণে তিনি হতাশ। প্রত্যুত্তরে পাওয়ার জানান, মিতালি হুমকি দিয়েছিলেন, ওপেনিংয়ে খেলতে না দিলে অবসর নিয়ে নেবেন।

ওই বিতর্কিত ঘটনার পর পাওয়ারের চুক্তির মেয়াদ আর বাড়েনি। তাকে দায়িত্বে রাখতে বোর্ডের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন হারমানপ্রিত কাউর ও স্মৃতি মান্ধানার মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা। কিন্তু লাভ হয়নি।

পাওয়ার এরপর বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে ও ভারত ‘এ’ দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে মুম্বাইয়ের কোচের দায়িত্ব পান তিনি। সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফির হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর তার হাত ধরেই ৫০ ওভারের প্রতিযোগিতা বিজয় হাজারে ট্রফি জেতে মুম্বাই। 

খেলোয়াড়ি জীবনে ২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ভারতের হয়ে ২টি টেস্ট ও ৩১টি ওয়ানডে খেলেন পাওয়ার। উইকেট নেন সব মিলিয়ে ৪০টি। ১৪৮ প্রথম শ্রেণির ম্যাচে তার উইকেট ৪৭০টি। রান করেছেন চার হাজারের বেশি।