অনেক ঝঞ্জা পেরিয়ে দেশের হয়ে খেলতে পেরেছেন ৩৬ টেস্ট। পাকপ্যাশন ডটনেটকে আমির জানান, এই জন্য গর্ব অনুভব করলেও ঘরের মাঠে টেস্ট খেলতে না পারার দুঃখ রয়েই গেছে।
“দেশের মাটিতে কোনো টেস্ট খেলতে না পারাটা অনেক বেদনার। এর পেছনে বেশ কিছু কারণ ছিল। আমি যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করি তখন পাকিস্তানে কোনো ম্যাচ হতো না। এরপর তো আমি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরই নিলাম।”
“এরপরও আমি গর্বিত। টেস্ট ক্রিকেটে একবার, দুইবার নয়, ৩৬ বার পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি।”
২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন আমির, ২০১৯ সালের জুলাইয়ে হুট করে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন বাঁহাতি এই পেসার। গত ডিসেম্বরে চাপ সইতে না পেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে যাওয়ার কথা জানান।
আমিরের অভিষেকের মাস তিনেক আগে দেশের মাটিতে টেস্ট খেলেছিল পাকিস্তান। এরপর লম্বা বিরতি শেষে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দেশটিতে ফেরে টেস্ট ক্রিকেট। এর পাঁচ মাস আগেই লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানান বাঁহাতি এই পেসার।
মাঝে মধ্যে আমির ভাবেন, ১০ বছরের ওই বিরতি না হলে কি হতো?
“যদি ভাগ্য আমার পক্ষে থাকতো, আমি যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতাম তখন যদি পাকিস্তান দেশের মাটিতে হোম সিরিজ খেলতো, আমার জন্য সেটি হতো বিশেষ কিছু এবং অনেক সম্মানের। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমি টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছি, যদিও সেটা দেশের বাইরে।”
২৯ বছর বয়সী এই পেসারকে জাতীয় দলে ফেরানোর দাবি ওঠে মাঝে মধ্যেই। বর্তমান ম্যানেজমেন্ট সরে গেলে ফেরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না আমিরও।
“এই মুহূর্তে আমার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে যদি কিছু ব্যাপারে উন্নতি হয়, তাহলে কে জানে ভবিষ্যতে আবারও হয়তো আমাকে পাকিস্তানের হয়ে খেলতে দেখা যেতে পারে।”
টিম ম্যানেজমেন্টের মানসিক নির্যাতন ও প্রচণ্ড চাপকে কারণ দেখিয়ে গত ডিসেম্বরে আচমকাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান ৬১টি ওয়ানডে ও ৫০ টি-টোয়েন্টি খেলা আমির।