সম্প্রতি জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ খেলে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়াই জমে বেশ, জিম্বাবুয়ে একটি ম্যাচও জিতে নেয়। তবে টেস্টে তারা স্রেফ উড়ে যায়। পাকিস্তান দুই টেস্টই জিতে নেয় ইনিংস ব্যবধানে। এক টেস্ট শেষ হয় তিন দিনে, আরেকটিতে স্রেফ শেষ উইকেটের জন্য খেলা গড়ায় চতুর্থ দিনে।
“জিম্বাবুয়ের এখনকার অবস্থা দেখা দুঃখজনক, কারণ একসময় তারা দারুণ লড়াকু দল ছিল। ১৯৯২ বিশ্বকাপে তাদের দলে তিন-চারজন বিশ্বমানের ক্রিকেটার ছিল। তাদের নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা করা না হলে তারা প্রতিপক্ষের কাছ থেকে ম্যাচ বের করে নিতে পারত।”
“ কিন্তু তাদের ক্রিকেট সিস্টেম ও কাঠামোয় ক্রমশ অধঃপতন হচ্ছে, পাশাপাশি বোর্ডের দুর্নীতি তো আছেই। এছাড়াও শেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের সংঘাত চলছেই। গত ১৫-২০ বছর ধরে ক্রমাগত পতনের প্রতিফলন এবারের এই পারফরম্যান্স। আশা করি ভবিষ্যতে তারা ভালো করবে। তবে এখনকার জন্য, তাদের টেস্ট খেলা উচিত নয় ও শুধু সাদা বলের ক্রিকেটেই মনোযোগ দেওয়া উচিত।”
পাকিস্তান সিরিজে ভালো না করলেও এমনিতে টেস্টে জিম্বাবুয়ের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব ভয়াবহ নয়। এই সিরিজের আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে তারা, যেখানে জিতেছে দুই টেস্টের একটি।
গত বছর বাংলাদেশে এসে একমাত্র টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারলেও তার আগে ড্র করেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের একটি ম্যাচ। সেই সিরিজের আগে বাংলাদেশ সফরে এসে তারা একটি টেস্ট জিতেও যায়। নিয়মিত টেস্ট খেলার সুযোগই তারা পায় না।