কোয়ারেন্টিনে ছাড় পাচ্ছেন না সাকিব ও মুস্তাফিজ

না, মহামারীর মধ্যে সাকিব আল হাসান বা মুস্তাফিজুর রহমানের জন্য শিথিল হবে না নিয়ম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2021, 03:43 PM
Updated : 4 May 2021, 03:58 PM

ভারতে আইপিএল খেলতে যাওয়া এ দুই তারকা ক্রিকেটারকেও দেশে ফিরে ১৪ দিনের ‘প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে’ থাকতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন মানে হল, দেশে ফেরার পর তাদের নিজেদের খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে দুই সপ্তাহ আইসোলেশনে থাকতে হবে।

তবে সাকিব আর মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে ওই নিয়ম শিথিল করে বাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকার অনুমতি দেওয়া যায় কি না জানতে চেয়ে বিসিবি থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতামত বিসিবিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বলেছি, ইনডিয়ার ক্ষেত্রে এটা করা যাবে না। এ বিষয়ে কেবিনেটের অর্ডার আছে, এটা করতে হবে। কেউ যদি এরপরও চলে যায়, এটা তার দায়িত্বে যাবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলা আছে। বিষয়টি আমরা তাদের জানিয়ে দেব।”

আইপিএলে এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন ওয়ানডের বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আর পেসার মুস্তাফিজুর রহমান খেলেছেন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আগামী ১৯ মে দেশে ফেরার কথা ছিল তাদের।

তিন ম্যাচের সিরিজটি শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ২৩ মে। কিন্তু সরকারের নিদের্শনা অনুযায়ী ভারত থেকে বাংলাদেশে ফিরলে দুই সপ্তাহের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ওই নিয়ে এমনিতেই জটিলতা চলছিল। তার মধ্যেই মঙ্গলবার দুপুরে মহামারীর কারণে আইপিএল স্থগিতের ঘোষণা আসে।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, সাকিব-মুস্তাফিজের ফেরার জন্য ‘বিশেষ ব্যবস্থার’ কথা চিন্তা করা হচ্ছে।

“ফ্লাইট চালু নেই, তাদের যদি আনতে হয়, স্পেশাল অ্যারেঞ্জমেন্টে আনতে হবে বা স্পেশাল অ্যারেঞ্জমেন্টে তাদের আসতে হবে। ভারতের সঙ্গে যেহেতু ফ্লাইট বন্ধ, স্পেশাল ব্যবস্থাই লাগবে।”

তারা যেহেতু আইপিএলে জৈব-সুরক্ষা বলয়ে ছিলেন, বোর্ড আশা করছিল, দেশে ফেরার পর এ দুই ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিনের নিয়ম শিথিল করা যাবে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাতে ‘না’ বলে দিল।

ভারতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় এবং সেখানে করোনাভাইরাসের ‘অতি সংক্রামক’ একটি নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ায় আকাশ পথের পাশাপাশি স্থলপথেও প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে চলাচল আপাতত বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ।

গত ২৫ এপ্রিল সরকারের এক সিদ্ধান্তে জানানো হয়েছিল, ৯ মে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্থলবন্দরগুলোতে যাত্রী চলাচলে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

তবে চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে যাদের ভিসায় ১৫ দিনের কম‍ মেয়াদ আছে, তারা বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।

সেজন্য তাদের দিল্লি, কলকাতা বা আগরতলায় বাংলাদেশ মিশন থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং সীমান্ত পার হওয়ার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা আরটিপিসিআরে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ‘নেগেটিভ’ সনদ অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। দেশে ফিরে তাদের অবশ্যই দুই সপ্তাহের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।