দ্বিতীয় টেস্ট ২০৯ রানে জিতে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ ঘরে তুলেছে শ্রীলঙ্কা। ৪৩৭ রানের প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ থেমেছে ২২৭ রানে।
লঙ্কানদের চতুর্থ পছন্দের স্পিনারের জবাব শেষ দিনেও খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ। এদিনও তিনটি উইকেট নিয়েছেন জয়াবিক্রমা। ম্যাচে সব মিলিয়ে ১৭৮ রানে পেয়েছেন ১১ উইকেট। ক্রিকেট ইতিহাসে অভিষেকে তার চেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন কেবল চার জন।
অভিষেকে দুই ইনিংসেই পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেলেন জয়াবিক্রমা। শ্রীলঙ্কার প্রথম বোলার হিসেবে নিজের প্রথম টেস্টে নিয়েছেন ১০ উইকেট।
শেষ দিনে লড়াইয়ের জন্য যার দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ সেই লিটন দাসই ফেরেন সবার আগে। জয়াবিক্রমার আগের বলটি বিশাল টার্ন করে বেরিয়ে যায়। পরের বলটিও টার্ন করবে ভেবে ডিফেন্স করার চেষ্টা করেন লিটন। সোজা আসা বল ব্যাটের কানা এড়িয়ে আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলে রিভিউ নেন লিটন, কিন্তু পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত।
বোলিংয়ে এসেই উইকেট নেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। জায়গায় দাঁড়িয়ে থার্ড ম্যানে স্টিয়ার করার চেষ্টায় তাইজুল ইসলাম ধরা পড়েন কিপারের গ্লাভসে।
প্রথম ঘণ্টায় ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ পানি পানের বিরতির পর ভেঙে পড়ে হুড়মুড় করে।
রমেশ মেন্ডিসকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় উইকেট বিলিয়ে আসেন তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারে এক প্রান্ত আগলে রাখা মেহেদী হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে দেন জয়াবিক্রমা।
মিরাজের উইকেটের পেছনে দারুণ অবদান আছে পাথুম নিসানকার। বাঁহাতি স্পিনারের বলে সুইপ করেছিলেন ব্যাটসম্যান, তার মুভমেন্ট বুঝে আগেই শর্ট লেগের ফিল্ডার ডানে সরে যান এবং ঠিক সেখানেই ক্যাচটা পান।
দুই বল পর আবু জায়েদ চৌধুরিকে এলবিডব্লিউ করে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন জয়াবিক্রমা। সঙ্গে গড়েন অভিষেকে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। সেই ১৯৫০ সালে ম্যানচেস্টারে ২০৪ রানে ১১ উইকেট নিয়ে এত দিন রেকর্ডটা ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যালফ ভ্যালেন্টাইনের অধিকারে।
প্রথম ইনিংসে ৯২ রানে ৬ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৬ রানে ৫ উইকেট নেওয়া জয়াবিক্রমা জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৪ রানে ৪ উইকেট নেন অফ স্পিনার মেন্ডিস।
একটি করে ফিফটি, সেঞ্চুরি ও ডাবল সেঞ্চুরিতে ৪২৮ রান করা লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৪৯৩/৭ (ডি.)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৫১
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ১৯৪/৯ (ডি.)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৪৩৭, আগের দিন ১৭৭/৫) ৭১ ওভারে ২২৭ (লিটন ১৭, মিরাজ ৩৯, তাইজুল ২, তাসকিন ৭, শরিফুল ০*, আবু জায়েদ ০; লাকমল ৪-২-১৪-০, মেন্ডিস ২৮-২-১০৩-৪, জয়াবিক্রমা ৩২-১০-৮৬-৫, ধনাঞ্জয়া ৭-১-১৯-১)
ফল: শ্রীলঙ্কা ২০৯ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে জয়ী শ্রীলঙ্কা
ম্যান অব দা ম্যাচ: প্রাভিন জয়াবিক্রমা
ম্যান অব দা সিরিজ: দিমুথ করুনারত্নে