‘টেস্ট খেলতে হলে এসব স্পিন সামলানো উচিত’

উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ কঠিন। তবে টেস্ট ক্রিকেট ব্যাপারটিতেই তো মিশে আছে নানা চ্যালেঞ্জ! নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে তাই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত বলছেন, এই পর্যায়ে খেলতে হলে এসব সামলাতে পারা উচিত।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 May 2021, 03:17 PM
Updated : 2 May 2021, 03:17 PM

স্পিন পরীক্ষায় উতরাতে ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয় টেস্টে হারের মুখে বাংলাদেশ। পাল্লেকেলের ২২ গজ হয়ে উঠেছে স্পিনারদের মৃগয়ার ক্ষেত্র। টার্ন মিলেছে যথেষ্ট, বাড়তি বাউন্সও পেয়েছেন স্পিনাররা।

দুই ইনিংসে বাংলাদেশের যে ১৫ উইকেট পড়েছে, তার ৮টি নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার প্রাভিন জয়াবিক্রমা, ৫টি নিয়েছেন দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার রমেশ মেন্ডিস।

ম্যাচের চার দিন শেষে বাংলাদেশের হার একরকম নিশ্চিতই। শেষ ইনিংসে ৪৩৭ রানের লক্ষ্যে নেমে রান ৫ উইকেটে ১৭৭। এই ৫ উইকেটই নেন লঙ্কান স্পিনাররা। শান্ত নিজে আউট হন বিশাল টার্ন করা বলে। তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমও আউট হন দারুণ দুটি ডেলিভারিতে।

তবে দিনশেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উইকেটকে ব্যর্থতার অজুহাত হিসেবে দাঁড় করালেন না শান্ত।

প্রাভিন জয়াবিক্রমার বিশাল টার্নে বোল্ড হন শান্ত। ছবি: শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট

“টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ-পঞ্চম দিনে স্পিনারদের সহায়তা থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। সবাই ভালো শুরু করেছিল, এরপর আর ইনিংস বড় করতে পারেনি। এখানে যদি ৩ উইকেট থাকত, তাহলে দিনটি হয়তো আমাদের ভালো হতো।”

“স্পিন সামলানো কঠিন ছিল। স্পিন একটু বেশি করেছে। তবে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে হলে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে হলে এসব আমাদের আরও ভালোভাবে সামলানো উচিত।”

টস এই টেস্টে বড় একটা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা, উইকেট তখন ছিল বেশ ব্যাটিং বান্ধব। তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামার সময় হতে হতেই বদলাতে থাকে উইকেটের চরিত্র। ভালো শুরুর পরও ৩৭ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় তারা ২৫১ রানে। শ্রীলঙ্কা পায় ২৪২ রানের লিড।

শান্তর মতে, ওখানেই বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে গেছে।

“প্রথম ইনিংসে আরও ভালো করা উচিত ছিল আমাদের। ওখানেই আমরা একটু পিছিয়ে গেছি। ভালো শুরু করেছিলাম আমরা, ৩ উইকেটে ২০০ রানের মতো ছিল (৩ উইকেটে ২১৪)। পরে আর জুটি হয়নি। সেখানেই আমরা পিছিয়ে গেছি।

চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের সব ব্যাটসম্যানের মধ্যেই দেখা গেছে শট খেলার প্রবণতা। সাইফ হাসান, মুমিনুল হক আউট হয়েছেন ঝুঁকির পথে হেঁটে। অন্যরাও দ্রুত রান করার চেষ্টা করেছেন। শান্ত জানালেন, সেটি তাদের পরিকল্পনারই অংশ।

“এই উইকেটে ব্যাটসম্যানরা যত বেশি নেগেটিভ থাকতো, তত কঠিন হতো। পজিটিভ মানে এই নয় যে সব বলেই ব্যাটসম্যানরা মারার পরিকল্পনায় ব্যাট করেছে। এরকম কিছু নয়, সবাই ‘ইন্টেন্ট’ নিয়ে ব্যাট করেছে।”

বাংলাদেশের হয়ে উইকেটে টিকে আছেন এখন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। বাইরে ব্যাটিংয়ের অপেক্ষায় থাকা সবাই বোলার। বৃষ্টি ছাড়া ম্যাচ বাঁচানোর বাস্তব সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবু আশা ছাড়ছেন না শান্ত।

“এখনও উইকেটে দুজন ব্যাটসম্যান আছে আমাদের। ওরা যতক্ষণ ব্যাট করতে পারে, ততক্ষণই ভালো আমাদের জন্য। এই দুজন যদি দুই ঘণ্টা, প্রথম সেশনে ভালো ব্যাট করতে পারে, তাহলে পরে আমরা ভালো কিছু চিন্তা করবে পারব।”