২৩ সদস্যের দলে ইমরুলসহ ওপেনার পাঁচ জন। আপাতত তামিম ইকবাল ও লিটন দাস খেলছেন ওপেনিংয়ে। সৌম্য সরকার কখনও তিন কখনও সাত নম্বরে নামছেন। টি-টোয়েন্টিতে সামর্থ্যের ঝলক দেখানো মোহাম্মদ নাঈম শেখও আছে দলে।
চূড়ান্ত দলে জায়গা করে নেওয়া এবং এরপর একাদশে খেলার পথ সহজ নয় ইমরুলের। ২০১৭ সালের পর থেকে থমকে তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার। ২০১৯ সালে ভারতে নিদারুণ ব্যর্থতার পর টেস্ট দল থেকেও আছেন বাইরে। ভারতে চার ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন কেবল ২১ রান। আউটের ধরন ছিল দৃষ্টিকটু।
২০১৮ সালের পর থেকে দেশের হয়ে খেলা হয়নি ওয়ানডেতে। সেই বছরই এশিয়া কাপের মাঝপথে হঠাৎ করে ডাক পেয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিডল অর্ডারে নেমে খেলেন অপরাজিত ৭২ রানের চমৎকার ইনিংস।
পরে দেশের মাটিতে তামিমের অনুপস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে ফিরে খেলেন ১৪৪, ৯০ ও ১১৫ রানের তিনটি দারুণ ইনিংস। গড়েন দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪৯ রানের রেকর্ড।
ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তামিম ফেরায় সুযোগ মেলেনি ওপেনিংয়ে। মানিয়ে নিতে পারেননি তিনে, দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে করেন ৪ ও শূন্য। এরপর থেকে এই সংস্করণে আর সুযোগ মেলেনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুযোগ পেয়ে আবার নতুন করে শুরুর সম্ভাবনায় রোমাঞ্চিত ইমরুল। ৩৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান ভালো করেই জানেন, সামনের পথটুকু হবে ভীষণ কঠিন।
“২৩ জনের প্রাথমিক দলে ডাক পাওয়া আমার জন্য অনুপ্রেরণার। আবার সুযোগ পেয়েছি, নিজেকে নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করতে এটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ। নিজেকে আবার সেভাবে তৈরি করতে পারব। আমার যে ঘাটতিগুলো ছিল সেগুলো নিয়ে নতুন করে কাজ করতে পারব। আমার জন্য আবার দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বড় একটা সুযোগ।”
ক্যারিয়ার জুড়ে অসংখ্যবার আসা যাওয়ার মধ্য দিয়ে গেছেন ইমরুল। বাদ পড়ায় হতাশা থাকলেও তার মাঝে কিছু ইতিবাচক দিকও খুঁজে পান তিনি।
“জাতীয় দলের বাইরে থাকলে যেটা হয়, অনেক আপসেট থাকি। জাতীয় দলের খেলা দেখলে ওই জায়গাটা খুব মিস করা হয়। তবে কিছু কিছু সময় বাদ পড়াটা একজন খেলোয়াড়ের জন্য ভালো। কি কি ভুল হয়েছে সেগুলো নিয়ে অনেক কিছু শেখা যায়।”
“আমি কখনও মনে করি না, আমি জাতীয় দলের বাইরে চলে গেছি। জাতীয় দলে খেলতে যে অনুশীলন, যে কঠোর পরিশ্রম করা দরকার সেটা আমি করে যাই। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লে আমি কখনও ভাবি না, আমি বাইরে চলে গেছি। আমি মনে করি, পাশেই আছি, যখনই পারফরম করতে পারব আবার ফিরতে পারব।”