প্রথম টেস্টে ১৭৯ ওভার ফিল্ডিং করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে ১৫৯.২ ওভার। দুই টেস্ট মিলিয়ে এতো লম্বা সময় ফিল্ডিং করার প্রভাবই ব্যাটিংয়ে দেখছেন ডমিঙ্গো।
দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে এক পর্যায়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ২১৪। সেখান থেকে ২৫১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। বাংলাদেশকে ফলো অন না করিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নেমেছে শ্রীলঙ্কা। ২ উইকেটে ১৭ রানে দিন শেষ করা স্বাগতিকরা এগিয়ে ২৫৯ রানে।
পাল্লেকেলেতে শনিবারের খেলা শেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আসা ডমিঙ্গো ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলেন জানালেন, খেলোয়াড়দের চেষ্টায় কোনো ঘাটতি দেখছেন না তিনি।
“বেশ কয়েকটি ব্যাপার মিলিয়ে এই ধস। ছেলেরা গত ৪-৫ দিনে অনেকটা সময় ফিল্ডিং করেছে। সব মিলিয়ে ৩৪০ ওভারে মতো ফিল্ডিং করে সম্ভবত ওরা মানসিকভাবে কিছুটা ক্লান্ত। এটা একজন ক্রিকেটারকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত করে তোলে। এটা একটা কারণ হতে পারে।”
“ব্যাটিং ব্যর্থতার কোনো অজুহাত নেই। ছেলেরা সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছে। আমি কোনো অজুহাত দেখাচ্ছি না, কিন্তু আমরা অনেকটা সময় ফিল্ডিং করেছি। আমার মনে হয়, চার-পাঁচ দিন ফিল্ডিং করে ছেলেরা আগে থেকেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। আর এরপরেই ওই ভেঙে পড়া। এটা আংশিকভাবে আমাদের আজকের ব্যর্থতার কারণ।”
টেস্টে এখনও দুদিন বাকি। এখনও অনেক কিছুই ঘটতে পারে। তাই খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখার দিকে নজর ডমিঙ্গোর।
“সব দলেরই একটা খারাপ সময় আসে। আমাদের সেই সময়টা এসেছে এই বিকেলে, যখন আমরা ব্যাট করছিলাম। এটা আমাদের জন্য ছিল কঠিন একটি দিন। আমাদের ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করতে হবে। এখনও অনেক খেলা বাকি। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, কাল বোলিংয়ের সময় ওদের মানসিক অবস্থা ভালো আছে।”