তামিম ৯২ রানে আউট হওয়ার পর মুশফিক কাটা পড়েছেন ৪০ রানে। পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন চা বিরতিতে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ২১৪।
ফলো-অন এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৮০ রান। অভিষেক ইনিংসে ৩ উইকেট শিকার করলেন ২২ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার প্রাভিন জয়াবিক্রমা।
দুই দফায় জীবন পেয়ে ৪৭ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন মুমিনুল হক। তামিমের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫২ রানের, মুশফিকের সঙ্গে ৬৩।
শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণার পর সকালের সেশনে ৯৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে সাইফ হাসান আউট হন ২৫ রানে। লাঞ্চের আগে শেষ বলে নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন শূন্য রানে।
৭০ রান নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া তামিম বিরতির পর সাবধানী ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছিলেন। আউটও হন ডিফেন্স করতে গিয়েই।
টার্নিং উইকেটে অনেক সময়ই বেশি বিপজ্জনক হয় টার্ন না করা বল। তামিম ও মুশফিকের ক্ষেত্রে হয়েছে সেটিই।
অ্যাঙ্গেল বদলে তামিমের জন্য রাউন্ড দা উইকেট আসেন জয়াবিক্রমা। দ্বিতীয় বলটিই টার্ন করবে ভেবে খেলেন তামিম, বল সোজা গিয়ে তার ব্যাটে লেগে আশ্রয় নেয় স্লিপের হাতে।
আগের টেস্টে ৯০ ও অপরাজিত ৭৪ রানের পর এবার তামিম আউট হলেন ১৫০ বলে ৯২ করে।
মুশফিকের সাবলীল ব্যাটিংয়ে সেই ধাক্কা দল সামাল দিয়ে উঠেছিল অনেকটাই। কিন্তু বিরতির ঠিক আগে জয়াবিক্রমার জোরের ওপর করা সোজা ডেলিভারি ছোবল দেয় তার প্যাডে। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে উল্লাসে মাতে লঙ্কানরা। ৭ চারে ৪০ রানে শেষ হয় মুশফিকের ইনিংস।
তামিম-মুশফিকের তুলনায় বেশ নড়বড়ে ব্যাটিং করলেও মুমিনুল টিকে গেছেন। ১ রানে জীবন পান তিনি রমেশ মেন্ডিসের হাতে, ১১ রানে করুনারত্নের হাতে। দুবারই বোলার জয়াবিক্রমা। করুনারত্নের সুযোগটি ছিল খুবই সহজ।
দলের ইনিংস লম্বা করতে হলে এখন অধিনায়ককে এগোতে হবে অনেকটা দূর।