পাল্লেকেলে টেস্টে জমে উঠেছে ব্যাট-বলের লড়াই। তৃতীয় দিনে দারুণ উদ্বোধনী জুটির পর লাঞ্চের আগে পরপর দুই ওভারে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতিতে রান ২ উইকেটে ৯৯।
সাইফ হাসান নড়বড়ে শুরু করলেও কোনোরকমে টিকে গিয়ে সঙ্গ দেন তামিমকে। শুরুর জুটিতে আসে ৯৭ রান। চার বছর ও ৪৫ ইনিংসের মধ্যে বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী জুটি এটি।
কিন্তু সাইফ ২৫ রানে বিদায় নেওয়ার পর তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন শূন্য রানেই।
বাংলাদেশের স্বস্তি ভরসা হয়ে টিকে আছেন তামিম। ১১ চারে ৯৬ বলে ৭০ রান করে লাঞ্চে গেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
তবে উইকেটে তীক্ষ্ন টার্ন ও বাড়তি বাউন্স পাচ্ছেন লঙ্কান স্পিনাররা। বাংলাদেশের অপেক্ষায় তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ।
সকালে ১৫ মিনিট ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামার পর শুরু থেকেই তামিম আবির্ভূত হন আপন চেহারায়।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সুরাঙ্গা লাকমল এলবিডব্লিউয়ের রিভিউ নিয়ে সফল হননি। পরের বলেই দারুণ অফ ড্রাইভে বাউন্ডারিতে তামিম দেন জবাব। শুরু হয় তার ছুটে চলা।
পরে টানা দুটি বাউন্ডারি মারেন বিশ্ব ফার্নান্দোকে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের প্রথম ওভারে দৃষ্টিনন্দন ড্রাইভে মারেন আরেকটি চার।
তাকে থামাতে অফ স্পিনার রমেশ মেন্ডিসকে একাদশ ওভারে আক্রমণে আনে শ্রীলঙ্কা। শুরু থেকেই মেন্ডিসকে আক্রমণের পথ বেছে নেন তামিম। প্রথম ওভারেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন চার দফায়। পেয়ে যান বাউন্ডারিও।
মেন্ডিসের আরেক ওভারে টানা দুটি বাউন্ডারির পর সিঙ্গেল নিয়ে তামিম পঞ্চাশে পা রাখেন ৫৭ বলে। তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩১তম ফিফটি এটি।
অস্বস্তিময় শুরুর পর মেন্ডিসকে মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে কিছুটা আত্মবিশ্বাস পেয়ে যান সাইফও। মেন্ডিসকেই আরেক ওভারে টানা দুটি বাউন্ডারি মারেন দারুণ দুটি ড্রাইভে।
দুজনের জুটি এগিয়ে যাচ্ছিল শতরানের পথে। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কা সফরেই গলে তামিম ও সৌম্য সরকারের ১১৮ রানের জুটির পর আর শুরুতে জুটিতে একশ পায়নি বাংলাদেশ। হলো না এবারও।
প্রাভিন জয়াবিক্রমার দারুণ ফ্লাইট, লুপ ও ড্রিফটে বিভ্রান্ত সাইফ ক্যাচ দেন স্লিপে। অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার পান প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ।
সেই উইকেটের রেশ থাকতেই পতন আরেক উইকেটে। লাঞ্চের আগে শেষ বলে আউট হন শান্ত। মেন্ডিসের ফ্লাইট ও বাউন্সে ক্যাচ দেন তিনি স্লিপে। সিরিজের প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রানের ইনিংসের পর টানা দুই ইনিংসে ফিরলেন তিনি শূন্য রানে।