ম্যাচ পাতাইনি: হিথ স্ট্রিক

আইসিসি দুর্নীতি বিরোধী বিধির কয়েকটি ধারা ভঙ্গের দায়ে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হিথ স্ট্রিক তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তবে কোনো ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক এই অধিনায়ক ও কোচ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2021, 01:33 PM
Updated : 29 April 2021, 01:33 PM

শুরুতে প্রতিবাদ করলেও পরে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী পাঁচটি ধারা ভঙ্গের দায় স্বীকার করেন তিনি। এই মাসের মাঝামাঝি স্ট্রিককে নিষিদ্ধ করার কথা জানায় আইসিসি। শাস্তিও মেনে নেন ৪৭ বছর বয়সী সাবেক এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের কোচ থাকার সময় ও নানা সময়ে বিভিন্ন ঘরোয়া দলের কোচ থাকার সময় বিধি ভঙ্গের ঘটনাগুলোয় তিনি জড়িত হন।

২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে বাংলাদেশে ত্রিদেশীয় সিরিজ, ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান সিরিজ, ২০১৮ আইপিএল ও ২০১৮ আফগান প্রিমিয়ার লিগের সময় ভেতরের তথ্য বাইরে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন স্ট্রিক। তবে সরাসরি কোনো ম্যাচকে প্রভাবিত করেননি বলে দাবি তার।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো মুখ খোলেন স্ট্রিক। ‘আফ্রিকার ক্রিকেটে বিনিয়োগে আগ্রহী ব্যক্তি’ ও তার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বিবৃতিতে।  তার আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন বাংলাদেশের সাবেক এই বোলিং কোচ।

“কোনো ম্যাচ ফিক্সিং, স্পট ফিক্সিং বা ম্যাচকে প্রভাবিত করার চেষ্টা বা ম্যাচ চলাকালীন ড্রেসিং রুম থেকে তথ্য প্রকাশ করার সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম না। আইসিসি নিজেই তার বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।”

যে ব্যক্তির সঙ্গে জড়িয়ে স্ট্রিক বিধিগুলো ভেঙেছেন, তিনি জুয়াড়ি দিপক আগারওয়াল ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ব্যক্তিটি যে জুয়াড়ি ছিলেন, তা জানার কথা অস্বীকার করেন স্ট্রিক।

“২০১৭ সালে, আফ্রিকার ক্রিকেটে বিনিয়োগের জন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে আমি দেখা করি, বিশেষ করে তারা জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টকে স্পন্সর করতে চেয়েছিল, যেটির নাম হবে সাফারি ব্লাস্ট। পরবর্তীতে সেই ব্যক্তিকে যথাযথ প্রোটোকলের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়েছিল। সত্যি বলতে বন্ধুত্ব এবং সম্ভাব্য ব্যবসায়ের অংশীদারিত্ব প্রসারিত করতেই আমি জড়িয়েছিলাম। আমাদের সম্পর্ক সবসময় ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। আমি বিশ্বাস করি, এটা নিরাপদ জায়গা ছিল...।”

“আমাদের বন্ধুত্ব থেকে শুধুমাত্র অন্য একটি জিনিস আমি গ্রহণ করেছিলাম, হুইস্কির বোতল এবং আমার স্ত্রীকে উপহার দেওয়া একটি ফোন। বেশ কয়েক মাস পর আইসিসি বিষয়টি আমার নজরে আনে যে, আমি যার সঙ্গে আমি কাজ করেছি এবং আমাদের বন্ধুত্ব চলাকালীন কিছু তথ্য ভাগাভাগি করেছি, তা অনলাইনে বেটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।”

নিজের কৃতকর্মের জন্য তার পরিবার ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট যেন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো ভোগান্তির শিকার না হয়, সেই অনুরোধ করেন স্ট্রিক। নিষেধাজ্ঞা শেষে ক্রিকেটে ফিরে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের উন্নতিতে সাহায্য করতে চান বলেও বিবৃতিতে জানান তিনি। 

সহসাই অবশ্য সবকিছু থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না স্ট্রিক। নিজ দেশেও তদন্তের মুখোমুখি হতে পারেন তিনি।