পাল্লেকেলে টেস্টের প্রথম দিন প্রথম সেশনে কোনো উইকেট নিতে পারেনি টস হেরে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশ। লাঞ্চ বিরতিতে শ্রীলঙ্কার রান ২৭ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৬।
প্রথম ঘণ্টায় ১৪ ওভারে রান ছিল ২২, বাউন্ডারি মোটে একটি। দ্বিতীয় ঘণ্টায় ১৩ ওভারে রান হয় ৪৪, বাউন্ডারি ৮টি।
আগের টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরি দিমুথ করুনারত্নে এবারও উইকেটে জমাট। লঙ্কান অধিনায়ক অপরাজিত ৮৫ বলে ৩২ রান নিয়ে। এই পরিক্রমায় দশম লঙ্কান ব্যাটসম্যান হিসেবে স্পর্শ করেন ৫ হাজার টেস্ট রান।
তার সঙ্গী লাহিরু থিরিমান্নের রানও ৩২, বল খেলেন তিনি ৭৮টি।
আউট হতে পারতেন দুই ব্যাটসম্যানই। ২৮ রানে তাসকিন আহমেদের বলে মিড অফে ক্যাচের মতো দেন করুনারত্নে। কিন্তু শুরুতে বুঝে উঠতে একটু দেরি করায় বলের কাছে সময়মতো যেতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। দুই বল পরই স্লিপে তুলনামূলক সহজ ক্যাচ হাতে জমাতে ব্যর্থ হন নাজমুল হোসেন শান্ত।
একটু পর সুযোগ দেন থিরিমান্নে। তাসকিনের বলেই গালি দিয়ে বল বেরিয়ে যায় বাউন্ডারিতে। মেহেদী হাসান মিরাজ ঝাঁপিয়েও পারেননি। এটা যদিও ছিল অনেক কঠিন।
গত টেস্টের মতো এবার ঘাস নেই উইকেটে। ম্যাচের শুরুতে তাই উইকেট আরও বেশি ব্যাটিং সহায়ক। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত জানাতে খুব দেরি হয়নি করুনারত্নের।
বাংলাদেশ শুরুটা করে উজ্জীবিত বোলিংয়ে। তাসকিনের করা ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই এলবিডব্লিউর আবেদন হয় দুটি। বেশ অস্বস্তিতে ফেলেন তিনি করুনারত্নেকে। প্রথম ঘণ্টাজুড়েই সেই দৃশ্য দেখা যায় নিয়মিত। তাসকিন, আবু জায়েদ চৌধুরি, অভিষিক্ত শরিফুল ইসলামরা বেশ কবারই বিপাকে ফেলেন দুই লঙ্কান ওপেনারকে।
তাসকিন ও আবু জায়েদের প্রথম বোলিং বিশ্লেষণ একটা সময় ছিল হুবুহু এক, ৪-১-৫-০। দুই বাঁহাতি ওপেনারের জন্য চার ওভারেরই পরই মিরাজের অফ স্পিন বাজিয়ে দেখেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
প্রথম ঘণ্টায় কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়ে একটি রিভিউও হারায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ঘণ্টার শুরু থেকেই হুট করে দিশা হারায় বাংলাদেশের বোলিং। আলগা হয় লঙ্কানদের চাপ। বাউন্ডারি আসতে থাকে নিয়মিত।
তাসকিন দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে সুযোগ সৃষ্টি করেন। আগের টেস্টে দারুণ বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা এই ম্যাচেও বয়ে আনেন। গতির পাশাপাশি মুভমেন্টও কিছু আদায় করেন তিনি। কিন্তু পাশে পাননি সতীর্থদের।