আইপিএলে না থাকা লাবুশেনের ‘শাপেবর’

আইপিএলের অংশ হওয়ার তাড়না কার না থাকে! বিশেষ করে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে ভারতে আইপিএল খেলতে পারা বড় একটি সুযোগও। মার্নাস লাবুশেনেরও সেই চাওয়া ছিল প্রবলভাবেই। তবে এখন সার্বিক পরিস্থিতি দেখে এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানের মনে হচ্ছে, আইপিএলে দল না পাওয়াই তার জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 April 2021, 05:04 AM
Updated : 29 April 2021, 05:05 AM

আইপিএলের নিলামে এবার নাম থাকলেও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখায়নি লাবুশেনের প্রতি। তাতে তার হতাশাও ছিল স্বাভাবিকভাবেই। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ও ওয়ানডে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিনি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি দলের ধারেকাছে নেই এখনও। এই সংস্করণে নিজেকে বিবেচনায় আনতে হলে এবং আগামী অক্টোবরে বিশ্বকাপে খেলতে হলে আইপিএল হতে পারত বড় মঞ্চ।

কিন্তু তার সেই ভাবনা বদলে গেছে এখন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটকে নিজের উপলব্ধির কথা জানালেন লাবুশেন।

“ এখন সত্যিকার অর্থেই মনে হচ্ছে, এটা (আইপিএল খেলতে না পারা) শাপেবর হয়েছে। আইপিএলে খেলতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগত। এটা দারুণ টুর্নামেন্ট। কিন্তু সবসময়ই মুদ্রার দুটো পিঠ আছে।”

“ আইপিএলে থাকলে দেশ থেকে দূরে থাকতে হতো। শেফিল্ড শিল্ড জয়ের স্বাদ পাওয়া হতো না। এই সুযোগ তো সবসময় হয় না! দ্বিতীয়ত, ভারতের এখন যা অবস্থা, পরিস্থিতি খুব ভালো মনে হচ্ছে না।”

কুইন্সল্যান্ডের হয়ে এবার শেফিল্ড শিল্ড জয়ের স্বাদ পেয়েছেন লাবুশেন। টুর্নামেন্টে সুদীর্ঘ পথচলায় দলটির মাত্র নবম শিরোপা এটি। ফাইনালে তারা হারিয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিযোগিতার সফলতম দল নিউ সাউথ ওয়েলসকে।

সেই শিরোপা জয়ে বড় অবদান ছিল লাবুশেনের। টুর্নামেন্টে অসাধারণ ধারাবাহিকতায় ৮২.১০ গড়ে তিনি ৮২১ রান করেছেন ৪ সেঞ্চুরিতে। ফাইনালে ১৯২ রানের ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। বাড়তি তৃপ্তি তাই থাকারই কথা।

‘ভারতের অবস্থা’ বলতে লাবুশেন বুঝিয়েছেন সেখানে কোভিড পরিস্থিতির ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের কথা। দেশে ফেরা নিয়ে শঙ্কার কারণে এর মধ্যেই আইপিএল থেকে ফিরে গেছেন অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার অ্যাডাম জ্যাম্পা, কেন রিচার্ডসন ও অ্যান্ড্রু টাই। আরও অনেকেই উদ্বিগ্ন সামগ্রিক পরিস্থিতিতে।

অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলে নিজের দাবি জানানোর জন্য এখন লাবুশেন তাকিয়ে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের দিকে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে লাবুশেন ম্যাচই খেলেছেন মাত্র ১৬টি। তবে এই সংস্করণে নিজের সামর্থ্য কিছুটা দেখাতে পেরেছেন এবারের বিগ ব্যাশে।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে ৬টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান বিগ ব্যাশে। তাতে রান করেন ১৭৬, লেগ স্পিনে উইকেট নেন ১০টি।

কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ ও টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে লাবুশেন খেলবেন গ্ল্যামরগনের হয়ে। ওয়েলসের দলটির হয়ে ২০১৯ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ ম্যাচে ১ হাজার ১১৪ রান করার পরই অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে ডাক পান তিনি, শুরু হয় স্বপ্নময় পথচলার। এবার টি-টোয়েন্টি নিয়েও তেমন কিছুর আশা করছেন ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

“ অবশ্যই আমি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সব সংস্করণে খেলতে চাই। কিন্তু মাত্র ১৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেই অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলের বিবেচনায় আসা কঠিন।”

 “ টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে ১৪টি ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা আছে। ম্যাচগুলি খেলতে পারলে আমার টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন হয়ে যাবে। এই হাতছানি রোমাঞ্চকর। কারণ, আমার খেলার এই দিকটিতে উন্নতির খুব বেশি সুযোগ আগে পাইনি।”