‘অসাধারণ করেছে তাসকিন, কষ্টের ফল পেয়েছে’

উইকেটে বোলারদের জন্য কিছু নেই। কিন্তু তাসকিন আহমেদের শরীরে তো দম আছে! পাল্লেকেলে টেস্টে সেটিই দেখান বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার। প্রাণহীন উইকেটেও প্রাণের সঞ্চার করেন তিনি ম্যাচ জুড়ে। তার এই পারফরম্যান্সে মুগ্ধ মুমিনুল হক। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের মতে, পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন তাসকিন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2021, 03:38 PM
Updated : 25 April 2021, 04:25 PM

পাল্লেকেলেতে ৩০ ওভার বোলিং করে ১১২ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। তার বোলিং বিশ্লেষণ দেখে অবশ্য বোঝার উপায় নেই, কতটা দুর্দান্ত ছিল ২২ গজের পারফরম্যান্স।

প্রচণ্ড গরমে অমন ব্যাটিং স্বর্গ উইকেটেও ওভারের পর ওভার ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করে গেছেন তিনি, মরা উইকেট থেকে আদায় করে নেন বাড়তি বাউন্স। আগ্রাসন, শরীরী ভাষা ছিল দুর্দান্ত। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে ২৬ বছর বয়সী বোলারের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া।

একটা সময় গতি ও ধার হারিয়ে জাতীয় দল থেকে অনেক দূরে ছিটকে গিয়েছিলেন তাসকিন। ফিটনেস সমস্যা তো লেগেই ছিল। ক্রিকেটের প্রতি তার নিবেদন নিয়েও প্রশ্ন উঠছিল নিয়মিত। আত্মউপলব্ধি থেকে পরে তিনি চেষ্টা করতে থাকেন নিজের ক্যারিয়ার নতুন করে সাজাতে। ফিটনেস নিয়ে অনেক ঘাম ঝরানো, স্কিল নিয়ে কাজ করা, চলতে থাকে সবই।

বিশেষ করে গতবছর কোভিডের প্রকোপে পড়া বিরতিকে তিনি কাজে লাগান আরও ফিট হয়ে উঠতে। বিরতির পর জাতীয় দলের বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের সঙ্গে কাজ করেন নিজেকে শানিত করে তুলতে। এরপর প্রেসিডেন্ট’স কাপ, বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় এলো এবার টেস্টের এই পারফরম্যান্স।

টেস্ট শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুমিনুল বললেন, অনেক ঘামের মূল্যে কেনা তাসকিনের এই সাফল্য।

“তাসকিন অসাধারণ করেছে, অনেক চেষ্টা করেছে। আমি তাসকিনের বোলিং খুবই উপভোগ করেছি। এই টেস্ট নিয়ে মাত্র ৬টি টেস্ট খেলছে ও, কোনোভাবেই দেখে মনে হয়নি যে মাত্র ৬ টেস্ট খেলা বোলার। গত এক-দেড় বছর ধরে ও অনেক চেষ্টা করছে, অনেক কষ্ট করছে। আমার মনে হয়, এটা কষ্টের ফল।”

একসময় তাসকিনের বোলিংয়ের বড় একটা সমস্যা ছিল, শুরুর গতি পরের স্পেলগুলোতে ধরে রাখতে না পারা, বোলিংয়ে যথেষ্ট ধারাবাহিক হতে না পারা। সেই তাসকিন প্রথমবারের মতো এবার টেস্টে এক ইনিংসে বোলিং করলেন ৩০ ওভার, সবই প্রায় একই গতি ও আগ্রাসনে। তার এই উন্নতিতে দারুণ সন্তুষ্ট অধিনায়ক।

“সত্যি কথা বলতে, দলের জন্য যখন যা দরকার, তখন তাই করেছে ও। এই কন্ডিশনে এত লম্বা সময় বোলিং করা কঠিন। ও অনেক কষ্ট করেছে দলের জন্য অবদান রাখার। আমি খুবই খুশি ওর স্পেল নিয়ে।”