জাদেজার খুনে ব্যাটিংয়ে ওভারে ৩৭ রান

আউট হতে পারতেন শূন্য রানে। সেই রবীন্দ্র জাদেজা বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ২৮ বলে করলেন ৬২ রান। খুনে ইনিংস খেলার পথে পাঁচ ছক্কায় এক ওভারেই নিলেন ৩৭ রান! স্পর্শ করলেন আইপিএলে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান নেওয়ার রেকর্ড। 

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2021, 01:40 PM
Updated : 25 April 2021, 02:14 PM

চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে রোববার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন জাদেজা। পেসার হার্শাল প্যাটেলের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ওই তাণ্ডব চালান তিনি।

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জাদেজা যখন উইকেটে যান, হার্শাল তখন পরপর দুই বলে সুরেশ রায়না ও ফাফ দু প্লেসিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের দুয়ারে। জাদেজা ঠেকিয়ে দেন সেই বল। পরের ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে ডিপ মিডউইকেটে তার ক্যাচ ফেলেন ড্যান ক্রিস্টিয়ান। ক্যাচটা নিতে পারলে জাদেজা ফিরতেন ৫ বলে শূন্য রান করে।

শেষ ওভারের আগে তার রান ছিল ২১ বলে ২৬। হার্শাল তখন পর্যন্ত ৩ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। শেষ ওভারে পাল্টে যায় চিত্র। তার প্রথম বল লং অন ও ডিপ মিড উইকেটের মাঝামাঝি দিয়ে ছক্কায় ওড়ান জাদেজা। দ্বিতীয় বল ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেলেন গ্যালারিতে।

পরের বলটা হার্শাল করেন প্রায় বুক উচ্চতায়, একই জায়গা দিয়ে আবার ছক্কায় ওড়ান জাদেজা। সঙ্গে ‘নো’ বল থেকে আসে বাড়তি এক রান। ফ্রি হিট পেয়ে আবার ছক্কায় উড়িয়ে জাদেজা ফিফটি স্পর্শ করেন ২৫ বলে।

পরের বলে এক্সট্রা কাভারে তার ক্যাচ নিতে পারেননি ফিল্ডার, আসে ২ রান। পঞ্চম বল লং অনের ওপর দিয়ে আবার ছক্কা। শেষ বলেও হতে পারতো ছক্কা, বাউন্ডারি লাইনের কয়েক গজ সামনে পড়ে হয়ে যায় চার।

ওভারে ৩৭ রান নিয়ে জাদেজা স্পর্শ করলেন ক্রিস গেইলের রেকর্ড। ২০১১ সালের আসরে বেঙ্গালোরের হয়ে কোচি টাস্কার্স কেরালার বিপক্ষে রান তাড়ায় প্রশান্থ পরমেশ্বরনের ওভারে ৪ ছক্কা ও ৩ চার মেরেছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। সেবারও ছিল একটি ‘নো’ বল।

টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি ৩৮ রান নেওয়ার রেকর্ড স্কট স্টাইরিসের। ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের ফ্রেন্ডস লাইফ টি-টোয়েন্টিতে সাসেক্সের হয়ে গ্লস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৩৭ বলে ১০০ রানের পথে জেমস ফুলারের ওভারে ওই তাণ্ডব চালিয়েছিলেন তিনি। ওভারে তার ব্যাটে ছিল তিনটি করে ছক্কা ও চার। সেই ওভারে ছিল দুটি ‘নো’ বল। এর একটিতে বাই থেকে হয় বাউন্ডারি। ওই টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি নো বলের জন্য ছিল দুটি করে অতিরিক্ত রান।