১০৭ রানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস ঘোষণা

পঞ্চম দিন সকালে মিলে গেল যেন দুই দলের চাওয়া। উইকেটবিহীন পুরো একটি দিনের পর এক সেশনেই বাংলাদেশ নিতে পারল পাঁচ উইকেট। তবে একের পর এক উইকেট হারিয়েও শ্রীলঙ্কা রান তুলতে পারল ওভারপ্রতি প্রায় পাঁচ করে। ঘটনাবহুল সেশনের পর লাঞ্চ বিরতিতে এলো ইনিংস ঘোষণা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2021, 06:59 AM
Updated : 25 April 2021, 07:34 AM

পাল্লেকেলে টেস্টের পঞ্চম দিনে ৮ উইকেটে ৬৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। লিড তাদের ১০৭ রানের।

রোববার প্রথম সেশনে লঙ্কানরা ৩০ ওভারে তোলে ১৩৬ রান।  

সকালে বাংলাদেশের জন্য বড় স্বস্তি ছিল দিমুথ করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বিশাল জুটি থামানো। দুজনকেই ফেরান তাসকিন আহমেদ।

২৩৪ রানে দিন শুরু করেন করুনারত্নে, ১৫৪ রানে ধনাঞ্জয়া। প্রথম ৩ ওভারে ১৮ রান তুলে তারা জানিয়ে দেন দলের লক্ষ্য।

এরপর বাংলাদেশকে অনেক প্রতীক্ষার উইকেট এনে দেন তাসকিন। তার শর্ট অব লেংথ বল ধনাঞ্জয়ার ব্যাট ছুঁয়ে আঘাত করে স্টাম্পে। তিন দিন মিলিয়ে ৯১.১ ওভার পর উইকেটের উল্লাস করতে পারে বাংলাদেশ।

২২ চারে ২৯১ বলে ১৬৬ রানে আউট হন ধনাঞ্জয়া। করুনারত্নের সঙ্গে তার জুটি থামে ৩৪৫ রানে, বাংলাদেশের বিপক্ষে যে কোনো জুটিতে যা শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ।

নিজের পরের ওভারেই আরেকবার উদযাপনের উপলক্ষ্য পান তাসকিন। এবার তার ১৪১ কিলোমিটার গতির শর্ট বল পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ দেন করুনারত্নে।

২৪৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ফিরছেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। ছবি: শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।

লঙ্কান অধিনায়কের ৬৯৮ মিনিটের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস থামে ৪৩৭ বল খেলে ২৪৪ রানে। বাউন্ডারি সেখানে ২৬টি।

আগের দুই দিনের মতোই নিজেকে উজার করে বোলিং করেন তাসকিন। নিষ্প্রাণ উইকেটে, প্রচণ্ড গরমেও ধরে রাখেন গতি আর আগ্রাসন।

জোড়া ধাক্কার পর পাথুম নিসানকা টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ইবাদত হোসেনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে কিপারের হাতে ধরা পড়েন তিনি ১২ রানে।

সহজাত আগ্রাসী ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকভেলা আদর্শ পরিস্থিতি পেয়ে খেলতে থাকেন নিজের মতো। তার ৩৩ বলে ৩১ রানের ইনিংস থামে রান আউটে।

এরপরও অবশ্য লঙ্কানদের রানের গতি কমেনি। সুরাঙ্গা লাকমলকে নিয়ে ওয়ানডের গতিতে কার্যকর জুটি গড়ে তোলেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। ফিল্ডিং ছিল ছড়ানো, বোলিং রক্ষণাত্মক। তার পরও রান আসতে থাকে তিময়তায়।

লাঞ্চের একটু আগে তাইজুলের একটু জোরের ওপর করা ডেলিভারি অন সাইডে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন হাসারাঙ্গা (৫৫ বলে ৪৩)। লাকমলের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ৬৪ বলে ৬২ রান।

লাঞ্চের পর আর ব্যাটিংয়ে নামেনি লঙ্কানরা। দিনের খেলার বাকি ৬৮ ওভার। বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, লাহিরু কুমারাকে না পাওয়া। চোটের কারণে সিরিজ শেষ হয়ে গেছে গতিময় এই পেসারের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: (লাঞ্চ পর্যন্ত)

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫৪১/৭ (ডি.)

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস:  ১৭৯ ওভারে ৬৪৮/৮ (ডি.) (আগের দিন ৫১২/৩) (করুনারত্নে ২৪৪, ধনাঞ্জয়া ১৬৬, নিসানকা ১২, ডিকভেলা ৩১, হাসারাঙ্গা ৪৩, লাকমল ২২*, বিশ্ব ০*; আবু জায়েদ ১৯-২-৭৬-০, তাসকিন ৩০-৬-১১২-৩, ইবাদত ২১-১-৯৯-১, মিরাজ ৫৮-৬-১৬১-১, তাইজুল ৪৫-৯-১৬৪-২, মুমিনুল ৪-০-১৮-০, সাইফ ২-০-৫-০)।