সিরিজের প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কা চতুর্থ দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ৫১২ রানে। এ দিন খেলা হওয়া ৭৬ ওভারে বাংলাদেশ নিতে পারেনি কোনো উইকেট। এখনও ২৯ রানে পিছিয়ে আছে লঙ্কানরা। সফরকারীরা প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল ৭ উইকেটে ৫৪১ রানে।
চতুর্থ দিনেও উইকেটের আচরণে নেই কোনো পরিবর্তন। পাল্লেকেলের ২২ গজ এখনও ব্যাটসম্যানদের জন্য ব্যাটিং স্বর্গ। শনিবার দিনের খেলা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আর্থার জানান, জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছেন না তারা।
“অবশ্যই আমরা জয়ের কথা ভাবছি। এভাবেই আমরা ক্রিকেট খেলতে চাই। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ সংস্কৃতি।”
“ওয়েস্ট ইন্ডিজে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে আমরা আপোষহীন ক্রিকেট খেলেছি। আগামীকাল আমরা অভিপ্রায় দেখাব, কে জানে দিনটি কোথায় গিয়ে শেষ হয়। এই উইকেট খুবই ব্যাটিং সহায়ক, তবে চাপ মজার একটা জিনিস। যদি আমরা যথেষ্ট এগিয়ে থাকতে পারি এবং বোলারদের পর্যাপ্ত ওভার দিতে পারি, কে জানে কী হয়।”
এজন্য শ্রীলঙ্কা কোচ তাকিয়ে আছেন লেগ স্পিনার ভানিন্দু হাসারাঙ্গার দিকে, প্রথম ইনিংসে যিনি ৩৬ ওভার বোলিং করে ছিলেন উইকেটশূন্য।
“নতুন বলে ফাস্ট বোলারদের কাছ থেকে বিস্ফোরক কিছু আসবে। কিন্তু যদি কাল জয়ের কাছে যেতে চাই, সেখানে নিয়ে যাওয়া ভানিন্দু হাসারাঙ্গার পক্ষে সম্ভব। খুব বেশি চাপ দিতে চাই না তাকে। আমি শুধু মনে করি, সে অসাধারণ একজন ক্রিকেটার।”
শ্রীলঙ্কা কোচ স্বীকার করলেন, উইকেট যেমন হবে বলে তারা ভেবেছিলেন, তা হয়নি। উইকেট বুঝতে ভুল করেছেন।
“উইকেট খুবই ফ্ল্যাট। উইকেটের ধরন বোঝার জন্য পাল্লেকেলেতে এটা আমার প্রথম টেস্ট। কৌশলগত দিক থেকে সম্ভবত এটা আমার জন্য ছিল কিছুটা বোকামি। আমরা বাংলাদেশকে গতি ও বাউন্সে পরাস্ত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এটা চূড়ান্ত পর্যায়ের ফ্ল্যাট।”
“উইকেট আমাদের পুনরায় মূল্যায়ন করতে হবে। দ্বিতীয় টেস্টের উইকেট কেমন হবে, এটা আমাদের দেখতে হবে। পরের টেস্ট নিয়ে আগামীকাল আমরা আলোচনা করব, তবে আগে এই টেস্ট শেষ হোক।”
একই মাঠে আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।