পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দারুণ এক সেঞ্চুরি উপহার দেন মুমিনুল। তার ক্যারিয়ারের যেটি একাদশ সেঞ্চুরি, দেশের বাইরে প্রথম।
অধিনায়ক হিসেবে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। এই তিন সেঞ্চুরি এলো সবশেষ ছয় ইনিংসেই।
২০১৮ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর হাসছিল না মুমিনুলের ব্যাট। পরের আট ইনিংসে ফিফটি ছিল কেবল একটি, ৫২ রান। বাকি সাত ইনিংসে থামেন ত্রিশের আগে।
২০১৯ সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার পর হঠাৎ করেই ভারত সফরের আগে পান টেস্ট দলের নেতৃত্ব। প্রথম টেস্টে করেন ৩৭ ও ৭। পরের টেস্টে কলকাতায় দুই ইনিংসেই ফেরেন শূন্য রানে। তার ক্যারিয়ারের সেটি ছিল প্রথম ‘পেয়ার।’
সেই কঠিন সময় কীভাব পার করেছেন মুমিনুল, চোখের সামনেই দেখেছেন ডমিঙ্গো। টেস্ট অধিনায়কের পরিশ্রম, তার নিবেদন দাগ কেটেছে কোচের মনে।
পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ কোচের কণ্ঠে ঝরল মুমিনুল-স্তুতি।
“আমি মনে করি, মুমিনুল নিজের খেলাটা খুব ভালো বোঝে। খুব শান্ত একজন মানুষ। আমার ধারণা, তার মানসিক গঠন তাকে গোছানো একজন ব্যাটসম্যান হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। নিজের প্রস্তুতি নিয়ে খুব যত্নবান। কঠোর পরিশ্রম করে, জানে নিজের শক্তি-দুর্বলতা।”
“আমার কাছে, সে অসাধারণ একজন টেস্ট ব্যাটসম্যান। দলকে নেতৃত্ব দিতে সে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিল, এখানেও একটি করল। সম্ভবত টেস্টে ওর ১১ সেঞ্চুরি হলো। এটা দারুণ অর্জন।”