পাল্লেকেলে টেস্টের দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ বিরতিতে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৭৮।
বৃহস্পতিবার প্রথম সেশনে রান উঠেছে ৭৬।
নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিকে শান্ত নিয়ে গেছেন দেড়শ ছাড়িয়ে। ১২৬ রানে দিন শুরু করা ব্যাটসম্যান অপরাজিত আছেন ৩৬০ বল খেলে ১৫৫ রানে।
৬৪ রানে মাঠে নামা মুমিনুল পেয়েছেন বিদেশের মাঠে আরাধ্য প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের একাদশ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক টিকে আছেন ২৪৬ বলে ১০৭ রান নিয়ে।
দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ২২৬। বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় উইকেটে সেরা জুটির রেকর্ড ২৩৬। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে যে জুটিতে মুমিনুলের সঙ্গী ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
দিনের খেলা শুরুর আগে টিভি সাক্ষাৎকারে শ্রীলঙ্কার কোচ মিকি আর্থার বলেন, “প্রথম দিনে উইকেট শিকারের আশায় আগ্রাসী বল করতে গিয়ে আমরা অনেক বেশি এলোমেলো বল করেছি। আরেকটু ধৈর্য ধরা উচিত ছিল। আজকে আমাদের চেষ্টা থাকবে বোলিংয়ে শৃঙ্খলা ধরে রাখার।”
খেলা শুরুর পর লঙ্কানদের বোলিংয়েও সেটির প্রতিফলন পড়ে। আগের দিন নেওয়া নতুন বলের বয়স ছিল কেবল ১০ ওভার। সেই বলে পেসাররা আগের দিনের চেয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। শান্ত ও মুমিনুলও তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে কাটিয়ে দেন সময়।
দিনের দ্বিতীয় ওভারে বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে স্কয়ার ড্রাইভে একটি বাউন্ডারি মারেন মুমিনুল। এরপর আর সুযোগ সেভাবে দেননি লঙ্কান পেসাররা। প্রথম ঘণ্টায় বাউন্ডারি এসেছে আর কেবল একটি। বিশ্বর বলেই অফ ড্রাইভে চার মারেন শান্ত।
বোলিং আগের দিনের চেয়ে ভালো হলেও সুযোগ সেভাবে পায়নি শ্রীলঙ্কা। সুরাঙ্গা লাকমলের বলে একবার মুমিনুলের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্লিপের সামনে পড়ে বল। দিনের শুরুতেই সরাসরি থ্রোয়ে মুমিনুলকে রান আউট করার সুযোগ ছিল। এছাড়া আর বিপাকে পড়তে হয়নি দুই ব্যাটসম্যানের কাউকে।
প্রথম ঘণ্টায় ১৩ ওভারে আসে ৩১ রান। পরের ঘণ্টায় একটু বাড়ে রানের গতি।
দেশের বাইরে নিজের আগের সর্বোচ্চ ৭৭ পেরিয়ে এগিয়ে যান মুমিনুল। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার অফ স্পিনে কাট করে বাউন্ডারি মেরে তিনি শতরান স্পর্শ করেন ২২৪ বলে।
ধনাঞ্জয়ার পরের ওভারেই বাউন্ডারিতে দেড়শ ছাড়ান শান্ত, ৩৪৩ বল খেলে।
মাইলফলকের পর বাকি সময়টুকুও নির্বিঘ্নে খেলে অপরাজিত থেকে লাঞ্চে যান দুজন।