তামিমের হতাশাময় বিদায়, শান্তর নির্ভরতা

দুর্দান্ত খেলে সেঞ্চুরির সুবাস, এরপর বাজে শটে মিলিয়ে যাওয়া। তামিম ইকবালের ইনিংস হয়ে থাকল যেন হর্ষ-বিষাদের আদর্শ প্রতিচ্ছবি। তবে আশার ছবি দেখাচ্ছে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2021, 09:42 AM
Updated : 21 April 2021, 09:42 AM

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলে টেস্টে বাংলাদেশ অবশ্য পেয়ে গেছে বড় স্কোর গড়ার শক্ত ভিত। প্রথম দিন চা-বিরতিতে রান ২ উইকেটে ২০০।

স্ট্রোকের ফোয়ারা ছুটিয়ে তামিম আউট ১০১ বলে ৯০ রান করে। শান্ত অপরাজিত ১৭২ বলে ৭৮ রানে।

ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে সকালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই সুরাঙ্গা লাকমলকে দুটি বাউন্ডারিতে তামিম জানিয়ে দেন উইকেট দেখে ঘাবড়ে না যাওয়ার বার্তা।

তামিমের সঙ্গে ইনিংস শুরু করার সুযোগ পাওয়া সাইফ হাসান অবশ্য ব্যর্থ পুরোপুরি। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই বিশ্ব ফার্নান্দোর ভেতরে ঢোকা বলে তিনি এলবিডব্লিউ শূন্য রানে।

টেস্ট ক্যারিয়ারে আগের দুই টেস্টে সাইফের স্কোর ছিল ০, ১৬ ও ৮।

তামিম ইকবালকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের উল্লাস। ছবি: শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট

সবুজ উইকেট দেখে অতি রোমাঞ্চ থেকেই কিনা লঙ্কান পেসাররা এলোমেলো বল করেন বেশ। তামিম কাজে লাগান নান্দনিক সব ক্রিকেট শট খেলে। শুরুতে একটু আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলেও শান্ত ক্রমেই খুঁজে পান ছন্দ।

৫৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন তামিম। এগিয়ে যান আরও। লাঞ্চের পর শান্তর সঙ্গে তার জুটি ছাড়িয়ে যায় শতরান।

২৮ রানে অবশ্য একটি সুযোগ দিয়েছিলেন শান্ত। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ক্যাচ নিতে পারেননি কিপার নিরোশান ডিকভেলা।

তামিমের সেঞ্চুরি যখন মনে হচ্ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার, তখনই হারিয়ে ফেলেন মনোযোগ। বিশ্ব ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে ধরা পড়েন স্লিপে। ১৫ চারের ইনিংস শেষ হয় সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে।

শান্তর সঙ্গে তামিমের জুটি থামে ১৪৪ রানে।

শান্ত অবশ্য আর ভুল করেননি। টানা ব্যর্থতায় প্রবল চাপে থাকা ব্যাটসম্যান সপ্তম টেস্টে দেখা পান নিজের দ্বিতীয় ফিফটির। মুমিনুলও উইকেটে গিয়ে থিতু হয়ে যান বেশ দ্রুত।

চা বিরতির সময় শান্ত-মুমিনুলের অবিচ্ছন্ন জুটি রান ৪৮।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫৩ ওভারে ২০০/২ (তামিম ৯০, সাইফ ০, শান্ত ৭৮*, মুমিনুল ২১*; লাকমল ১১-৫-৩৪-০, কুমারা ১১-১-৫২-২, বিশ্ব ১২-১-৫৩-০, ম্যাথিউস ৫-১-৮-০, ধনাঞ্জয়া ৮-০-৩৬-০, হাসারাঙ্গা ৬-০-১৬-০)।