শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাল্লেকেলে টেস্টের প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনে তামিম আউট হন ৯০ রানে।
বাংলাদেশের রান তখন ২ উইকেটে ১৫২।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ শক্ত ভিত পায় তামিমের ব্যাটেই। শুরুতে সাইফ হাসানকে হারালেও তা বুঝতে দেননি তামিম। সবুজাভ উইকেটেও দারুণ সব শটের প্রদর্শনীতে তিনি এলোমেলো করে দেন শ্রীলঙ্কান পেসারদের।
৫৩ বলে তামিম স্পর্শ করেন ২৯তম টেস্ট ফিফটি। লাঞ্চ বিরতিতে যান ৬৫ রান নিয়ে।
লাঞ্চের পরও দারুণ খেলে ছুটতে থাকেন। দারুণ সব ড্রাইভ, ফ্লিক, ব্যাকফুট পাঞ্চ, উইকেটের চারপাশে শট খেলে বাড়াতে থাকেন রান। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে জুটিতে এগিয়ে নেন দলকে।
অপেক্ষা যখন তার দশম টেস্ট সেঞ্চুরির, তখনই করে বসেন ‘আত্মহত্যা।’ বাঁহাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্টিয়ার কিংবা গ্লাইড করার চেষ্টা করেন। বল একটু বেশি লাফিয়ে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আশ্রয় নেয় একমাত্র স্লিপ ফিল্ডারের হাতে।
হতাশায় নুয়ে পড়েন তামিম। কিন্তু তখন আর কিছুই করার নেই। ১০১ বলে ১৫ চারের ইনিংসের সমাপ্তি।
শান্তর সঙ্গে তার জুটি থামে ১৪৪ রানে। দেশের বাইরে প্রায় ১২ বছর পর যেটি দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশের শতরানের জুটি। সবশেষ ছিল ২০০৯ সালের জুলাইয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট ভিনসেন্ট টেস্টে তামিম ও জুনায়েদ সিদ্দিকের ১৪৬।