ওপেনার সাইফ হাসান শূন্য রানে ফিরলেও আরেক ওপেনার তামিম ও তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তর সৌজন্যে পাল্লেকেলে টেস্টের প্রথম সেশন নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। সবুজাভ উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা দল লাঞ্চ বিরতিতে গেছে ২৭ ওভারে ১ উইকেটে ১০৬ রান নিয়ে।
দুর্দান্ত সব শটের পসরা সাজিয়ে তামিম ইকবাল অপরাজিত ৬৫ রানে। তার ৭২ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি ১২টি। নাজমুল হোসেন শান্ত খেলছেন ৮৬ বলে ৩৭ রান নিয়ে।
দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ৯৮। তামিমের উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী সাইফ হাসান আউট শূন্য রানে। টেস্ট ক্যারিয়ারে আগের দুই টেস্টে তার স্কোর ০, ১৬ ও ৮।
সবুজ উইকেট দেখে অতি রোমাঞ্চ থেকেই কিনা লঙ্কান পেসাররা এলোমেলো বল করেন বেশ। বিশেষজ্ঞ কোনো স্পিনার নেই দলে, হাত ঘোরান দুই স্পিনিং অলরাউন্ডার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। লাঞ্চের আগেই ছয়জন বোলার ব্যবহার করেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে।
ধনাঞ্জয়ার বলেই একটি সুযোগ অবশ্য এসেছিল। ২৮ রানে শান্তর ব্যাট ছুঁয়ে আসা সেই বল গ্লাভসে জমাতে পারেননি কিপার নিরোশান ডিকভেলা।
সকালে পিচ রিপোর্টে ধারাভাষ্যকার ও সাবেক পাকিস্তানি ওপেনার আমির সোহেল বলছিলেন, “উইকেটে ঘাস অনেক। শুরুতে ব্যাটসম্যানদের কাজ হবে বেশ কঠিন। তবে রোদ ওঠার পর আর্দ্রতা কমে গেলে ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ হয়ে উঠবে।”
ম্যাচের প্রথম বলটি সুরাঙ্গা লাকমল ভেতরে ঢোকান তামিমের জন্য, পরেরটি নেন বাইরে। তৃতীয় বলেই দারুণ ফ্লিক শটে বাউন্ডারিতে তামিমের পাল্টা জবাব দেওয়ার শুরু। এক বল পর বাউন্ডারি মারেন আরেকটি।
পরের ওভারেই শ্রীলঙ্কা পায় সাফল্য। বাঁহাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দোর ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ সাইফ। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয় লঙ্কানরা।
তামিমের সৌজন্যে অবশ্য চাপটা অনুভব করেনি দল। বিশ্বর এক ওভারে দুর্দান্ত তিনটি বাউন্ডারি মারেন তিনি, অভিজ্ঞ লাকমলের বলেও নিয়মিত আদায় করেন বাউন্ডারি।
ইনিংসে ভুল শট সম্ভবত একটিই খেলেন তামিম। লাহিরু কুমারার শর্ট বল ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন, বল তার ব্যাটে ছোবল দিয়ে বাউন্ডারি হয় উইকেটের পেছন দিয়ে। পরের বলেই দৃষ্টিনন্দন স্কয়ার ড্রাইভে আরেকটি চার মেরে বাঁহাতি এই ওপেনার জানান দেন, নড়বড়ে হয়ে যাননি।
আরেক পাশে শান্ত সময় নিয়ে থিতু হন উইকেটে। প্রথম ঘণ্টায় দুজনের জুটি স্পর্শ করে ফিফটি।
তামিম টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৯তম ফিফটি স্পর্শ করেন ৫৩ বলে। সময়ের সঙ্গে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন শান্তও। সেশনের শেষ দিকে নিরাপদে ব্যাট করে অবিচ্ছিন্ন থেকেই লাঞ্চে যান দুজন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৭ ওভারে ১০৬/১ (তামিম ৬৫*, সাইফ ০, শান্ত ৩৭*; লাকমল ৭-৩-২৩-০, কুমারা ৬-১-২৭-১, বিশ্ব ৫-০-২৫-০, ম্যাথিউস ৩-১-৬-০, ধনাঞ্জয়া ৪-০-২১-০, হাসারাঙ্গা ২-০-৩-০)।