টেস্টে দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে এবার শ্রীলঙ্কার চ্যালেঞ্জ। সবশেষ ৯ টেস্টের আটটিতেই হেরে দ্বীপদেশটিতে খেলতে গেছে মুমিনুলের দল। পাল্লেকেলেতে বুধবার শুরু হবে প্রথম টেস্ট। এর আগের দিন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের অনুপস্থিতিতে একাদশ সাজাতে ভোগান্তির কথা জানান অধিনায়ক।
সময়ের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব না থাকলে যে কোনো সংস্করণেই একাদশ সাজাতে ভুগতে হয় বাংলাদেশের। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তবুও কোনো না কোনোভাবে কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। তবে টেস্টে কাজটা অনেক কঠিন। বিকল্প তেমন কোনো অলরাউন্ডার নেই দলে।
২০১৭ সালে সবশেষ লঙ্কা সফরে একটি টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম সেই জয়ে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বড় অবদান ছিল সাকিবের। প্রথম ইনিংসে করেন সেঞ্চুরি- ১১৬ রান। দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ৬ উইকেট।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪ ইনিংসে ৪০.৫৩ গড়ে সাকিবের রান ৫২৭।
দলটির বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাকিব বোলিংয়ে সেরা। ১২ ইনিংসে ৪১.১৭ গড়ে নিয়েছেন ২৯ উইকেট। ২০ এর বেশি উইকেট আছে কেবল আর পেসার শাহাদাত হোসেনের (২৪)। চলতি সিরিজের দলে থাকা বোলারদের মধ্যে কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ (১৫) ও তাইজুল ইসলামের (১৪) আছে ১০ এর বেশি উইকেট।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশের ইনিংসে ৫ উইকেট কেবল চারটি। একাধিকবার এই কৃতিত্ব আছে কেবল সাকিবের। একবার করে শাহাদাত ও মোহাম্মদ রফিকের।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শেষের দুয়ারে। এখনও পয়েন্টের খাতা খুলতে না পারা বাংলাদেশের শেষ সুযোগ এই সিরিজ। আইপিএলে খেলায় এই সিরিজে নেই সাকিব। স্বাভাবিকভাবেই তার অভাব অনুভব করার কথা জানালেন মুমিনুল।
“সাকিব ভাই বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার। যেকোনো ফরম্যাটে দলের জন্য খুব কার্যকরী ক্রিকেটার। আমার দলের ক্ষেত্রেও একই। তিনি দলে না থাকলে কম্বিনেশন নিয়ে কিছুটা সংগ্রাম করতে হয়। অবশ্যই আমরা তাকে মিস করব।”
“তবে দলে যারাই আছে, সবার ভালো করার সামর্থ্য আছে। সাকিব ভাইয়ের জায়গায় যেই আসবে, তার জন্য দলে অবদান রাখার এটা ভালো সুযোগ।”