ম্যাক্সওয়েল-ডি ভিলিয়ার্সের তাণ্ডব আর উপভোগের মন্ত্র

ছন্দে থাকলে যে কোনো বোলিং আক্রমণ গুঁড়িয়ে দিতে পারেন দুজনের যে কেউ। এমন দুজন একসঙ্গে জ্বলে উঠলে কী আর প্রতিপক্ষের রক্ষা আছে! গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং উত্তাপে খাক হয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ব্যাটিং তাণ্ডবের ম্যাচ শেষে ডি ভিলিয়ার্স বললেন, ২২ গজে পরস্পরের সঙ্গ দারুণ উপভোগ করেন তারা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2021, 06:31 AM
Updated : 19 April 2021, 06:31 AM

আইপিএলে রোববার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের ৩৮ রানের জয়ে নায়ক এই দুজন। চারে নেমে ম্যাক্সওয়েল করেন ৪৯ বলে ৭৮, পাঁচে নেমে ডি ভিলিয়ার্স ৩৪ বলে অপরাজিত ৭৬।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বেঙ্গালোর ২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে যখন নড়বড়ে, সেখান থেকেই পাল্টা আক্রমণে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যান ম্যাক্সওয়েল। তৃতীয় উইকেটে দেবদুত পাডিক্কালের সঙ্গে ৫৮ বলে ৮৬ রানের জুটি হয় তার। জুটিতে পাডিক্কালের রান ছিল কেবল ২৩ বলে ২৩, ম্যাক্সওয়েলের ৩৪ বলে ৬০!

ইনিংসের পরের ভাগে চোখধাঁধানো সব শটের মহড়ায় দলের রান ২০০ পার করিয়ে নিয়ে যান ডি ভিলিয়ার্স।

ডি ভিলিয়ার্স উইকেটে যান দ্বাদশ ওভারে। চেন্নাইয়ের প্রচণ্ড গরমে ততক্ষণে কিছুটা কাহিল ম্যাক্সওয়েল। তার পরও বেশ জমে ওঠে দুজনের জুটি। ৬.১ ওভারে সেই জুটিতে আসে ৫৩ রান।

ম্যাচের পর ডি ভিলিয়ার্স বললেন, দুজনের ঘরানা একই বলে ব্যাটিংও উপভোগ্য।

“ আমি উইকেটে যাওয়ার পর বুঝতে পারি, ম্যাক্সওয়েল বেশ ক্লান্ত। সে আমাকে বলে, খুব বেশি দৌড়াতে চায় না। সত্যি বলতে, আমরা একসঙ্গে ব্যাটিং করতে উপভোগ করি। আমরা প্রাণশক্তিতে ভরপুর একই ধরনের ব্যাটসম্যান এবং দলে প্রভাব রাখতে পছন্দ করি।”

“ উইকেটে যাওয়ার পর আমার লক্ষ্য ছিল ভিত্তি আরও মজবুত করা ও জুটি এগিয়ে নেওয়া। জানতাম, আমরা দুজন যদি জুটি গড়তে পারি, ওদের দুর্বলতা আরও ফুটে উঠবে। সেটিই আমরা করতে পেরেছিলাম।”

চেন্নাইয়ের ওই উইকেটে ২০৪ রান তুলেই অনেকটা ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় বেঙ্গালোর। কলকাতা ১৬৬ পর্যন্ত যেতে পারে শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেলের ২০ বলে ৩১ রানের ক্যামিওর সৌজন্যে।