ফিল্ডিং অনুশীলন খুব বেশি করেন না পান্ডিয়া!

রান মোটে সাত, বোলিংয়ের সুযোগ পাননি। তার পরও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান হার্দিক পান্ডিয়ার। ফিল্ডিংয়েই যে তিনি গড়ে দিয়েছেন বড় পার্থক্য! দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে দলকে এনে দিয়েছেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। অথচ এই অলরাউন্ডার নিজেই বলছেন, খুব বেশি ফিল্ডিং অনুশীলন তিনি করেন না!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2021, 06:00 AM
Updated : 18 April 2021, 06:00 AM

আইপিএলের ম্যাচে চেন্নাইয়ে শনিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে পান্ডিয়ার ফিল্ডিংয়ের শিকার থিতু হয়ে যাওয়া ডেভিড ওয়ার্নার ও বিপজ্জনক আব্দুল সামাদ।

সানরাইজার্সের রান তাড়ার দ্বাদশ ওভারে কাইরন পোলার্ডের বল আলতো করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে খেলেই রান নিতে ছোটেন বিরাট সিং। নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন ওয়ার্নার। ফিল্ডার পান্ডিয়া নিমেষেই বলের কাছে গিয়ে চমৎকার সরাসরি থ্রোয়ে বল লাগান স্টাম্পে। ওয়ার্নারের মতো দ্রুতগতির একজনও যেতে পারেননি ক্রিজের কাছাকাছি। আউট হন ৩৬ রানে।

সানরাইজার্সের ইনিংসের পথ হারানোর শুরু ওই আউট দিয়ে। শেষ দিকে বড় শটে রান-বলের টানাপোড়েন মিটিয়ে সানরাইজার্সকে জয় এনে দিতে পারতেন যিনি, সেই আব্দুল সামাদও কাটা পড়েন পান্ডিয়ার অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে।

ট্রেন্ট বোল্টের ফুল লেংথ বল কাভারের দিকে খেলেই রান নিতে ছুটতে থাকেন সামাদ। এবারও পান্ডিয়া চোখের পলকে ছুটে এসে নিখুঁতভাবে বল ধরে গুলির বেগে থ্রো করেন। তার পজিশন থেকে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে স্রেফ একটি স্টাম্পই দেখা যাচ্ছিল, তবু নিশানায় কোনো ভুল নেই। ওয়ার্নারের মতো সামাদও ক্রিজের ধারেকাছে যেতে পারেননি।

সাধারণত অনেক অনুশীলন করেই এমন ফিল্ডিং রপ্ত করতে হয়। অনেকে আবার অনেক সাধনায়ও পারেন না। ম্যাচ শেষে ধারাভাষ্যকার মার্ক নিকোলাস তাই খুব উৎসাহ নিয়ে জানতে চাইলেন, ‘নিশ্চয়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলনের ফসল এমন ফিল্ডিং?’ পান্ডিয়া চমকে দিলেন তার উত্তরে।

“ সত্যি বলতে, তা নয়। আমি আসলে ফিল্ডিংয়ে খুব বেশি সময় দেই না। স্রেফ নিশ্চিত করতে চাই, প্রয়োজনীয় কাজগুলি করছি কিনা। নিশ্চিত করতে চাই, যতটা দরকার, ততটা প্রস্তুত কিনা আমি।”

“ ওয়ার্নারের রান আউটের ক্ষেত্রে, ধারণাও করতে পারিনি যে সে এতটা দূরে থাকবে। আমি থ্রো করেছিলাম স্রেফ বলকে পুরনো করে তুলতে (স্পিনারদের উপযোগী করতে)। স্টাম্পে লাগার পর বুঝলাম যে সে অনেকটা দূরে থেকেই আউট।”

১৫১ রান তাড়ায় এক পর্যায়ে সানরাইজার্সের রান ছিল ২ উইকেটে ৯০। দ্বাদশ ওভারে ওয়ার্নারের বিদায়ের পর দিশা হারিয়ে তারা ম্যাচও হেরে যায় ১৩ রানে।