‘এমন ম্যাচ সবসময় দেখা যায় না’

ম্যাচ শেষ, কিন্তু রয়ে গেছে রেশ। রোমাঞ্চ-উত্তেজনা-আনন্দ-হতাশার বিপরীতমুখি অনুভূতি চলছে দুই দলে। অসাধারণ এক জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসে ভাসছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। হাতের মুঠো থেকে জয় ফেলে দিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স যেন অনেকটাই হতচকিত।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 April 2021, 05:49 AM
Updated : 14 April 2021, 08:17 AM

ক্রিকেটীয় অনিশ্চয়তার দারুণ এক বিজ্ঞাপন ছিল মঙ্গলবার আইপিএলে কলকাতা আর মুম্বাইয়ের ম্যাচ। চেন্নাইয়ে ১৫৩ রান তাড়ায় কলকাতা উদ্বোধনী জুটিতেই  তুলে ফেলে ৭২ রান। এরপর তিনটি উইকেট হারায় তারা অল্প সময়ের ব্যবধানে। তার পরও জয় ছিল নাগালেই। এক পর্যায়ে ৭ উইকেট নিয়ে ৩১ বলে প্রয়োজন ছিল ৩১ রান।

লেগ স্পিনার রাহুল চাহারের বলে তখনই বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন ৫৭ রান করা নিতিশ রানা। পরের ওভারে ক্রুনাল পান্ডিয়াকে স্লগ করতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান।

এরপর আন্দ্রে রাসেল ও দিনেশ কার্তিকের মতো টি-টোয়েন্টির দুই কার্যকর ব্যাটসম্যান থাকলেও মন্থর উইকেটে টাইমিং পেতে ধুঁকতে থাকেন দুজন। রানের গতি যায় থমকে। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৫ রানের।

সেখানেও ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে পেরে ওঠেনি কলকাতা। রাসেল আউট হন ১৫ বলে ৯ রান করে। প্যাট কামিন্স বোল্ড প্রথম বলেই। কার্তিক অপরাজিত থেকে যান ১১ বলে ৮ করে। মুম্বাই জিতে যায় ১০ রানে।

ম্যাচ শেষে মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন দলের মানসিকতার।

“ দলের প্রত্যেকেই অসাধারণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে দারুণ লড়াই করেছে। এই ধরনের ম্যাচ সবসময় দেখা যায় না। এটা ছিল পরিপূর্ণ দলীয় প্রচেষ্টা। সব বোলারের কৃতিত্ব প্রাপ্য।”

“ এই ধরনের উইকেটে থিতু হওয়া ব্যাটসম্যানদেরই কাজ শেষ করে ফিরতে হয়। চেন্নাইয়ের উইকেটের ধরনই এমন যে গিয়েই শট খেলা যায় না। পরিকল্পনা করে খেলতে হয়। আজকের ম্যাচ থেকে অনেক আত্মবিশ্বাস সামনে বয়ে নিয়ে যাব আমরা।”

উইকেটের আচরণ নিয়ে একই কথা শোনা গেল আন্দ্রে রাসেলের কণ্ঠেও। ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও শেষ দিকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় একের পর এক উইকেট হারান মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যানরা। রাসেল বল হাতে মাত্র ২ ওভারেই পেয়ে যান ৫ উইকেট। পরে তারা নিজেরাও হাঁটেন সেই একই পথেই।

রাসেল ম্যাচ শেষে বললেন, উইকেট ও পরিস্থিতির দাবি মেটাতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেই তাদের এমন পরাজয়।

“ ক্রিকেট খেলাটাই এমন। আমি শতশত টি-টোয়েন্টি খেলেছি। অনেক ম্যাচেই এরকম দেখেছি যে, একটা দল অনায়াসেই জয়ের পথে এগোচ্ছে, এরপর হুট করে দু-একটি উইকেট হারানোর পর খেলার চেহারা বদলে যাচ্ছে, নতুন ব্যাটসম্যান এসে ধুঁকছে। আজকেও এরকম হয়েছে। ”

“ ব্যাটিংয়ের জন্য এই উইকেট বেশ কঠিন। নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য শট খেলা সহজ নয়। এমনকি আমার জন্যও আজকে কঠিন ছিল। বল উঠা-নাম করছিল। যত ভালো ব্যাটসম্যানই হোক না কেন, মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে এখানে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ডিকে (কার্তিক) ও আমার মতো ভালো ফিনিশারও আজকে পারিনি। অবশ্যই আমরা এখান থেকে শিক্ষা নেব।”