ওই শটের আগ পর্যন্ত স্যামসনের পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। আইপিএলে সোমবার মুম্বাইয়ে পাঞ্জাব কিংসের ২২১ রান তাড়ায় অধিনায়কের ব্যাটেই টিকে ছিল রাজস্থানের আশা। দুর্দান্ত সব শটের ভেলায় দলকে জয়ের ঠিকানার কাছে নিয়ে যান তিনি।
আইপিএলে নেতৃত্বের অভিষেকে সেঞ্চুরি করা প্রথম ক্রিকেটার হয়ে যান তিনি। স্বাদ পান আইপিএলে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরির। বাকি ছিল কেবল স্রেফ ম্যাচ জয়। দুই বলে যখন প্রয়োজন পাঁচ রান, সিঙ্গেলের সুযোগ থাকলেও নেননি। দায়িত্ব নেন নিজের কাঁধেই। শেষ বলে প্রয়োজন পড়ে পাঁচ রান।
বাঁহাতি পেসার আর্শদিপ সিংয়ের বলটি ছিল মারার মতোই। অফ স্টাম্পের বাইরে হাফ ভলি ধরনের। এক বল আগে প্রায় একই ডেলিভারিতেই এক্সট্রা কাভার দিয়ে ছক্কা মারেন স্যামসন। শেষ বলেও সেই চেষ্টা করেন। তবে এবার শটে বেশি জোর দিতে গিয়েই হয়তো বল আকাশে উঠে যায় বেশি, কিন্তু সীমানা পার হয় না। সীমানার কাছ থেকে ক্যাচ নেন দিপক হুডা। পাঞ্জাব জিতে যায় চার রানে।
১২ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৩ বলে ১১৯ রানের ইনিংস খেলেও শেষ পর্যন্ত হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় স্যামসনকে।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই টিভি ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল জানতে চাইলেন স্যামসনের প্রতিক্রিয়া। রাজস্থান অধিনায়কের মুখে ফুটে উঠল আক্ষেপের হাসি।
“ সেটা (প্রতিক্রিয়া) জানানোর ভাষা নেই আমার। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচ ছিল। দলের হয়ে শেষটা ভালো করতে পারলে ভালো লাগত, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে… ভাবনা প্রকাশের ভাষা নেই আসলে…।”
স্যামসন বললেন, শেষ বলে শটটি খেলে খুশি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
“আমার মনে হয় না, এর চেয়ে বেশি কিছু আর করতে পারতাম। টাইমিং খুব ভালো করেছিলাম। ভেবেছিলাম, ছক্কা হয়েই গেছে! কিন্তু কোনোভাবে এটি সীমানার ভেতরেই থেকে গেছে।”