ইংল্যান্ডের হয়ে ১৫টি টেস্ট খেলেছেন মালান। ১ সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটি করেছেন, কিন্তু ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি। ব্যাটিং গড় মোটে ২৭.৮৪। ২০১৮ সালের অগাস্টের পর থেকে থমকে আছে টেস্ট ক্যারিয়ার, সেখানে নতুন গতি পাওয়ার সম্ভাবনা সামান্যই।
এই সময়ে নাটকীয় উত্থান হয়েছে টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান মালানের। শুরু থেকেই অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা দেখিয়ে মাত্র ১৬ টি-টোয়েন্টি খেলেই তিনি উঠে গেছেন র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। সবার ওপরে আছেন এখনও, গড়েছেন এই সংস্করণে দ্রুততম হাজার রানের রেকর্ড।
এবার তিনি প্রথমবার খেলবেন আইপিএলে। নিলামে তাকে দলে নিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। বিপিএল, পিএসএল, বিগ ব্যাশে খেললেও আইপিএল নাম লেখাতে কেন এত দেরি, টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেটি ব্যাখা করলেন মালান।
“ এই টুর্নামেন্টে দল পেতে হলে যথেষ্ট ভালো হতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়মিত না খেললে এখানে সুযোগ পাওয়া কঠিন। আমার স্বপ্ন সবসময়ই ছিল টেস্ট ক্রিকেটকে ঘিরে। আইপিএলে নাম দিলে তাই প্রতিবারই মৌসুমের প্রথম চার-পাঁচটি চারদিনের ম্যাচ (কাউন্টি ক্রিকেটে) মিস হতো। পাঁচ-ছয় বছর আগে নিলামে নাম তোলার মতো যথেষ্ট ভালো সম্ভবত আমি ছিলাম না।”
মালান টেস্ট ক্রিকেটে পেরে ওঠেননি সেরাটা মেলে ধরতে, বিশ্বজুড়ে তরুণ ক্রিকেটারদের অনেকে আবার শুরু থেকেই ঝুঁকছে টি-টোয়েন্টিতে। টেস্ট বনাম টি-টোয়েন্টির চলমান আলোচনায় নিজের অবস্থান তুলে ধরলেন ৩৩ বছর বয়সী এই বাঁহাতি।
“ সময় বদলাচ্ছে বটে। পাশাপাশি এটাও বলতে হবে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সেরা যারা, বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইলরা সবাই লাল বলের ক্রিকেট খেলেছে এবং সবার মৌলিক ভিত মজবুত।”
“ তরুণদের উচিত সবকিছু ঠিকমতো না এগোলে তাদের ভিত ও মৌলিকত্বে মনোযোগ দেওয়া। টেস্ট ক্রিকেট এখনও খেলাটির মূল কাঠামো। মৌলিক জায়গা ঠিক না থাকলে ভরসা করার কিছু থাকে না।”